User:T12/PSB: Difference between revisions
(→111: new section) |
(→112: new section) |
||
Line 184: | Line 184: | ||
রুদ্র দেবতা, এ কী তব খেলা অনল দাহনে অকরুণ লীলা | রুদ্র দেবতা, এ কী তব খেলা অনল দাহনে অকরুণ লীলা | ||
বর্ষার সুর আরও কত দূর, চাতক যাচিছে মরুতৃষায় | বর্ষার সুর আরও কত দূর, চাতক যাচিছে মরুতৃষায় | ||
</poem> | |||
== 112 == | |||
{{Status|done}} | |||
<poem> | |||
ঈশান কোণেতে মেঘ জমিয়াছে, খরতর বায়ু বহিতেছে | |||
(আজি) কালবৈশাখী আসিয়াছে | |||
গবাক্ষদ্বার বন্ধ করিয়া, অশনি ধ্বনিতে ত্রস্ত হইয়া | |||
গৃফকোণে বসে' সকলে এখন নীরনর্ত্তন শুণিতেছে | |||
কত প্রিয় তরু উপড়িয়া যায়, আহত ফলেরা ঝরে' পড়ে' যায় | |||
ঝঞ্ঝা গতিতে শিলাবৃষ্টিতে নীড়হারা পাখী কি কাঁদিতেছে | |||
নিদাঘের মাঝে বজ্ররূপেতে রুদ্র দেবতা এ কি নাচে মাতে! | |||
জলে থাকা তরী মহা আতঙ্কে ঢেউয়ের দোলায় দুলিতেছে | |||
</poem> | </poem> |
Revision as of 05:01, 20 January 2014
Tito Dutta | Talk | Editing events | Sandbox | Tasks | Extensions | PSB | PSS |
|
- Sub-page
101
Status: Done
শীতের শেষেতে নব পাতা আসে, পুরোনোরা যায় ঝরে'
বসন্ত এলো দ্বারে নৃত্যের তালে তালে
নৃত্যের তালে বেণী উপচিয়া কবরী খসিয়া পড়ে
শীতের শেষেতে অপুষ্পতরু কলিতে ভরিয়া পড়ে
তুষার গলিবে এই ভরসায় অঙ্কুর সব হাসিমুখে চায়
পাখীরা কুলায় তার গান গায়, নব সাজ সব পরে
102
Status: Done
আশোকে পলাশে নব উল্লাসে ঋতুরাজ আজ আসে
মলয় পবনে সঘন স্বপনে ফুলের পরাগ ভাসে
ফুলের সুবাস সঙ্গে এলেছে, সকল মাধুরী লুটায়ে দিয়েছে
বিশ্বনিখিলে কবোষ্ণোনিলে প্রাণের প্রদীপ হাসে
বর্ণচ্ছটায় তব মহিমায় ধরা ভাসে উল্লাসে
103
Status: Done
বসন্ত আজ জাগলো আম্রমুকুল-বকুল-শিমুল-পারুল-পলাশে
ফুলের বনের অনাহুতের রবাহুতের পাশে
এসো বন্ধু, আমরা সবাই তোমার তালে তাল দিয়ে যাই
তোমার ছন্দে ছন্দ মিলাই নূতন পরিবেশে সকলের সকাশে
ফুলে ভরে যাওয়া কাঞ্ছন বনে কোকিল মেতেছে নূতনের গানে
ফুলের সুবাসে সেই গান আজ তোমা' পানে যায় ভেসে' অনাবিল আবেশে
104
Status: Done
নৃত্যের তালে তালে নৃত্যের ছন্দে ওই আসে বসন্ত, ওই আসে
কুয়াসায় ঢাকা তবু আলোঝলমল হয়ে নব কিশলয় ফুলে পুনঃ হাসে
বনফুল-আভরণ সারা তনু ঢাকিয়া, আলুথালু এলোকেশ আকাশে মেলিয়া
পূর্বাশা নৃত্যের ছন্দে ছুটিয়া চলে সুশোভনা প্রকৃতি মধুমাসে
মলয়ের ঢেউ আসে, উষ্ণ জলধি হাসে, সরে' যাওয়া মধুরিমা ফিরে আসে
যার এই মধুরিমা যাহার এই গরিমা তাহার কথাটি সদা মনে ভাসে
105
Status: Done
(আজি) বসন্ত পবনে লীলায়িত চরণে নেচে' যাই, নেচে' যাই ঝরণা সম
নির্মেঘ গগনে অঞ্জিত নয়নে এঁকে' যাই, এঁকে' যাই মাধুরী মম
আজ এগিয়ে চলি তব ছন্দে, সুরভিত হই তব গন্ধে
হাসিয়া বেড়াই আনন্দে,
রঞ্জিত করি পথ কিংশুকরঞ্জনে তব লাগি' অন্তরতম
আজ এগিয়ে চলায় নাহি বাঁধা, মোর হিয়া তব হারে গাঁথা,
মোর গান তব সুরে সাধা
(আজ) পিকতানে মধুগানে সব কুছু মোর ভেসে' যায়
ভেসে' যায় যার পানে তাকে নমো নমো নমঃ
106
Status: Done
ফুলের সাজি সাথে নিয়ে কে এলো গো, কে এলো
গানের মালা হাতে নিয়ে সুরের স্রোতে ভাসালো
বকুল-বেলা চোখ মেলে' চায়, মধুক-পুশপ নেশা ধরায়,
ভ্রমর কথা শোণাতে চায়, মধুপ গন্ধে মাতালো
দূর আকাশের তারা হাসে, ফুলের পরাগ হাওয়ায় ভাসে
প্রাণের ভূবন তাতে মিশে বিশ্বভূবন রাঙালো
সুদীর্ঘ কাল বসে' বসে' ছিনু যাহার আসার আশে
সে এই প্রাতে নিজের হাতে বসন্তদোল দোলালো
107
Status: Done
বসন্ত আজ হাসলো, শুধু হাসিখুশী এই ধরণীতে,
ফুলের মিষ্টি চাহনিতে, ফুলের মধুর মধুতে
আজ ছুটে যাই চলো দ্যুলোকের পানে ছন্দে ও গানে কেকা-পিকতানে
মুছে' ফেলে' দাও সব মলিনতা, ডাক দেয় পাখী মধু রাতে
ঋতুরাজ আজ দ্বারে সমাগত, কোরকেরা আজ সদা জাগ্রত
সরাইয়া দাও সকল জড়তা প্রাণের উষ্ণ প্রবাহেতে
প্রাণের পরশে সব কিছু হাসে, সব কিছু ভাসে তারই স্রোতে
108
Status: Done
রৌদ্রের খরতাপে গ্রীষ্মের দাবদাহে,
বেলা-মালতীর স্নিগ্ধ সমীর কিছু শীতলতা আনে
মন আরো শীতলতা চাহে
সহকারশাখা ভারেতে আনত, থরে থরে ফুল জম্বুক নত
প্রচণ্ড তাপ সহে না যে আর, মন সদা এই কহে
নৈশ বাতাশে কুসুম সুবাসে কিছু উপশম আনে,
মন আরো উপশম চাহে
শত জনমের শত ক্লেশ যত
গ্রীষ্মেতে যেন হলো একীভূত
রূদ্র দেবতা বৃষ্টি নামাও
মন সদা এই কহে
109
Status: Done
বন্ধু, তোমার গোপন কথা কয়ে যাও মোর কাণে কাণে
গ্রীষ্মকালের সবার ব্যাথা জানাও আমার গানে গানে
ফুটল যে ফুল সে যায় পুড়ে', ফোটে নি যে যায় সে ঝরে'
অর্ধপথে নদীর ধারা বাষ্পতে যায় উড়ে'
এ কি শুধু আমার ব্যাথা, জীবের ব্যাথা, এ কি নয় তোমার ব্যাথা সব খানে
তৃণের আঁকুর জাগিতে চায়, জাগে না সে দাহেরই ভয়
তুষারপুঞ্জ উষ্ণতাতে অশ্রু হয়ে বয়
110
Status: Done
গ্রীষ্মাবকাশে সে যদি আসে দু'হাত ভরিয়া দোব ফুল, দোব ফুল, শুধু ফুল
অরুণাকাশে বেলা-চাঁপা পাশে ছন্দময় চরণ রাতুল
নিয়ে ছন্দময় চরণ রাতুল
কোকিল এখনও কিছু কথা কয়, সন্ধ্যা-সকালে মলয়জ বয়
কিংশুক শাখে পাপিয়া ডাকিছে, বিশুষ্কপ্রায় নদীকুল
আশোকপুষ্প প্রায় ঝরোঝর, শাল্মলী তরু বীজে ভরোভর
দ্রাক্ষার থোকা ফলে থরোথর
মাধবীকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে আলি গুঞ্জরে পেয়ে' ফুল
111
Status: Done
আজি বেণুকার বন কী কথা কয়,
পাতা ঝরিবার বেদনাতে হায় মূক মুখে সে যে চাহিয়া রয়
হারায়েছে সে যে সব শ্যামলিমা, ধূলিঝঞ্ঝায় সকল সুষমা
বেতসকুঞ্জে নীপনিকুঞ্জে মধু বায়ু আর নাহি বয়
রুদ্র দেবতা, এ কী তব খেলা অনল দাহনে অকরুণ লীলা
বর্ষার সুর আরও কত দূর, চাতক যাচিছে মরুতৃষায়
112
Status: Done
ঈশান কোণেতে মেঘ জমিয়াছে, খরতর বায়ু বহিতেছে
(আজি) কালবৈশাখী আসিয়াছে
গবাক্ষদ্বার বন্ধ করিয়া, অশনি ধ্বনিতে ত্রস্ত হইয়া
গৃফকোণে বসে' সকলে এখন নীরনর্ত্তন শুণিতেছে
কত প্রিয় তরু উপড়িয়া যায়, আহত ফলেরা ঝরে' পড়ে' যায়
ঝঞ্ঝা গতিতে শিলাবৃষ্টিতে নীড়হারা পাখী কি কাঁদিতেছে
নিদাঘের মাঝে বজ্ররূপেতে রুদ্র দেবতা এ কি নাচে মাতে!
জলে থাকা তরী মহা আতঙ্কে ঢেউয়ের দোলায় দুলিতেছে