User:T12/PSB: Difference between revisions

From Sarkarverse
Jump to navigation Jump to search
(→‎117: new section)
m (Abhidevananda moved page User:Tito Dutta/PSB to User:T12/PSB: Automatically moved page while renaming the user "Tito Dutta" to "T12")
 
(438 intermediate revisions by 2 users not shown)
Line 6: Line 6:
* This page will not be indexed in world wide web.  
* This page will not be indexed in world wide web.  
* Punctuations followed according to the book.
* Punctuations followed according to the book.
* Older content may be found at [[/RA]]</div>}}
* Older content may be found at '''[[/RA]]'''
 
* Editor's own library is available at [[/library]]</div>}}
----
; Sub-page
; Sub-page
* [[/RA]]
* [[/RA]]
----




== 101 ==
{{Status|done}}
<poem>
শীতের শেষেতে নব পাতা আসে, পুরোনোরা যায় ঝরে'
বসন্ত এলো দ্বারে নৃত্যের তালে তালে
নৃত্যের তালে বেণী উপচিয়া কবরী খসিয়া পড়ে
শীতের শেষেতে অপুষ্পতরু কলিতে ভরিয়া পড়ে
তুষার গলিবে এই ভরসায় অঙ্কুর সব হাসিমুখে চায়
পাখীরা কুলায় তার গান গায়, নব সাজ সব পরে
</poem>
== 102 ==
{{Status|done}}
<poem>
আশোকে পলাশে নব উল্লাসে ঋতুরাজ আজ আসে
মলয় পবনে সঘন স্বপনে ফুলের পরাগ ভাসে
ফুলের সুবাস সঙ্গে এলেছে, সকল মাধুরী লুটায়ে দিয়েছে
বিশ্বনিখিলে কবোষ্ণোনিলে প্রাণের প্রদীপ হাসে
বর্ণচ্ছটায় তব মহিমায় ধরা ভাসে উল্লাসে
</poem>
== 103 ==
{{Status|done}}
<poem>
বসন্ত আজ জাগলো আম্রমুকুল-বকুল-শিমুল-পারুল-পলাশে
ফুলের বনের অনাহুতের রবাহুতের পাশে
এসো বন্ধু, আমরা সবাই তোমার তালে তাল দিয়ে যাই
তোমার ছন্দে ছন্দ মিলাই নূতন পরিবেশে সকলের সকাশে
ফুলে ভরে যাওয়া কাঞ্ছন বনে কোকিল মেতেছে নূতনের গানে
ফুলের সুবাসে সেই গান আজ তোমা' পানে যায় ভেসে' অনাবিল আবেশে
</poem>
== 104 ==
{{Status|done}}
<poem>
নৃত্যের তালে তালে নৃত্যের ছন্দে ওই আসে বসন্ত, ওই আসে
কুয়াসায় ঢাকা তবু আলোঝলমল হয়ে নব কিশলয় ফুলে পুনঃ হাসে
বনফুল-আভরণ সারা তনু ঢাকিয়া, আলুথালু এলোকেশ আকাশে মেলিয়া
পূর্বাশা নৃত্যের ছন্দে ছুটিয়া চলে সুশোভনা প্রকৃতি মধুমাসে
মলয়ের ঢেউ আসে, উষ্ণ জলধি হাসে, সরে' যাওয়া মধুরিমা ফিরে আসে
যার এই মধুরিমা যাহার এই গরিমা তাহার কথাটি সদা মনে ভাসে
</poem>
== 105 ==
{{Status|done}}
<poem>
(আজি) বসন্ত পবনে লীলায়িত চরণে নেচে' যাই, নেচে' যাই ঝরণা সম
নির্মেঘ গগনে অঞ্জিত নয়নে এঁকে' যাই, এঁকে' যাই মাধুরী মম
আজ এগিয়ে চলি তব ছন্দে, সুরভিত হই তব গন্ধে
হাসিয়া বেড়াই আনন্দে,
রঞ্জিত করি পথ কিংশুকরঞ্জনে তব লাগি' অন্তরতম
আজ এগিয়ে চলায় নাহি বাঁধা, মোর হিয়া তব হারে গাঁথা,
মোর গান তব সুরে সাধা
(আজ) পিকতানে মধুগানে সব কুছু মোর ভেসে' যায়
ভেসে' যায় যার পানে তাকে নমো নমো নমঃ
</poem>
== 106 ==
{{Status|done}}
<poem>
ফুলের সাজি সাথে নিয়ে কে এলো গো, কে এলো
গানের মালা হাতে নিয়ে সুরের স্রোতে ভাসালো
বকুল-বেলা চোখ মেলে' চায়, মধুক-পুশপ নেশা ধরায়,
ভ্রমর কথা শোণাতে চায়, মধুপ গন্ধে মাতালো
দূর আকাশের তারা হাসে, ফুলের পরাগ হাওয়ায় ভাসে
প্রাণের ভূবন তাতে মিশে বিশ্বভূবন রাঙালো
সুদীর্ঘ কাল বসে' বসে' ছিনু যাহার আসার আশে
সে এই প্রাতে নিজের হাতে বসন্তদোল দোলালো
</poem>
== 107 ==
{{Status|done}}
<poem>
বসন্ত আজ হাসলো, শুধু হাসিখুশী এই ধরণীতে,
ফুলের মিষ্টি চাহনিতে, ফুলের মধুর মধুতে
আজ ছুটে যাই চলো দ্যুলোকের পানে ছন্দে ও গানে কেকা-পিকতানে
মুছে' ফেলে' দাও সব মলিনতা, ডাক দেয় পাখী মধু রাতে
ঋতুরাজ আজ দ্বারে সমাগত, কোরকেরা আজ সদা জাগ্রত
সরাইয়া দাও সকল জড়তা প্রাণের উষ্ণ প্রবাহেতে
প্রাণের পরশে সব কিছু হাসে, সব কিছু ভাসে তারই স্রোতে
</poem>
== 108 ==
{{Status|done}}
<poem>
রৌদ্রের খরতাপে গ্রীষ্মের দাবদাহে,
বেলা-মালতীর স্নিগ্ধ সমীর কিছু শীতলতা আনে
মন আরো শীতলতা চাহে
সহকারশাখা ভারেতে আনত, থরে থরে ফুল জম্বুক নত
প্রচণ্ড তাপ সহে না যে আর, মন সদা এই কহে
নৈশ বাতাশে কুসুম সুবাসে কিছু উপশম আনে,
মন আরো উপশম চাহে
শত জনমের শত ক্লেশ যত
গ্রীষ্মেতে যেন হলো একীভূত
রুদ্র দেবতা বৃষ্টি নামাও
মন সদা এই কহে
</poem>
== 109 ==
{{Status|done}}
<poem>
বন্ধু, তোমার গোপন কথা কয়ে যাও মোর কাণে কাণে
গ্রীষ্মকালের সবার ব্যাথা জানাও আমার গানে গানে
ফুটল যে ফুল সে যায় পুড়ে', ফোটে নি যে যায় সে ঝরে'
অর্ধপথে নদীর ধারা বাষ্পতে যায় উড়ে'
এ কি শুধু আমার ব্যাথা, জীবের ব্যাথা, এ কি নয় তোমার ব্যাথা সব খানে
তৃণের আঁকুর জাগিতে চায়, জাগে না সে দাহেরই ভয়
তুষারপুঞ্জ উষ্ণতাতে অশ্রু হয়ে বয়
</poem>
== 110 ==
{{Status|done}}
<poem>
গ্রীষ্মাবকাশে সে যদি আসে দু'হাত ভরিয়া দোব ফুল, দোব ফুল, শুধু ফুল
অরুণাকাশে বেলা-চাঁপা পাশে ছন্দময় চরণ রাতুল
নিয়ে ছন্দময় চরণ রাতুল
কোকিল এখনও কিছু কথা কয়, সন্ধ্যা-সকালে মলয়জ বয়
কিংশুক শাখে পাপিয়া ডাকিছে, বিশুষ্কপ্রায় নদীকুল
আশোকপুষ্প প্রায় ঝরোঝর, শাল্মলী তরু বীজে ভরোভর
দ্রাক্ষার থোকা ফলে থরোথর
মাধবীকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে আলি গুঞ্জরে পেয়ে' ফুল
</poem>
== 111 ==
{{Status|done}}
<poem>
আজি বেণুকার বন কী কথা কয়,
পাতা ঝরিবার বেদনাতে হায় মূক মুখে সে যে চাহিয়া রয়
হারায়েছে সে যে সব শ্যামলিমা, ধূলিঝঞ্ঝায় সকল সুষমা
বেতসকুঞ্জে নীপনিকুঞ্জে মধু বায়ু আর নাহি বয়
রুদ্র দেবতা, এ কী তব খেলা অনল দাহনে অকরুণ লীলা
বর্ষার সুর আরও কত দূর, চাতক যাচিছে মরুতৃষায়
</poem>
== 112 ==
{{Status|done}}
<poem>
ঈশান কোণেতে মেঘ জমিয়াছে, খরতর বায়ু বহিতেছে
(আজি) কালবৈশাখী আসিয়াছে
গবাক্ষদ্বার বন্ধ করিয়া, অশনি ধ্বনিতে ত্রস্ত হইয়া
গৃফকোণে বসে' সকলে এখন নীরনর্ত্তন শুণিতেছে
কত প্রিয় তরু উপড়িয়া যায়, আহত ফলেরা ঝরে' পড়ে' যায়
ঝঞ্ঝা গতিতে শিলাবৃষ্টিতে নীড়হারা পাখী কি কাঁদিতেছে
নিদাঘের মাঝে বজ্ররূপেতে রুদ্র দেবতা এ কি নাচে মাতে!
জলে থাকা তরী মহা আতঙ্কে ঢেউয়ের দোলায় দুলিতেছে
</poem>
== 113 ==
{{Status|done}}
<poem>
বিশাখাতনয় বৈশাখ তুমি ভৈরবদ্যুতি নিয়ে এসেছো
ধরার প্রতিটি অণুতে অণুতে রুদ্র ঝলক ভরে' দিয়েছো
ধূলিঝঞ্ঝায় সবে ধূসরিত, সবুজের শোভা প্রায় বিলুপ্ত
তপ্ত ভূমেতে শুষ্ক তৃণেতে ঋতু-পরিচয় বলে' দিয়েছো
সরিতার জল সরিয়া গিয়াছে, নির্মেঘ রাত তারায় ভাসিছে
যাহার লীলায় সব কিছু হয় অপরূপ রূপে তারে এনেছো
</poem>
== 114 ==
{{Status|done}}
* '''Note''': Please check the spelling of "nupur" first line, second last word
<poem>
কেকা-কলরবমুখরিত প্রাতে কে গো এলে নুপুর পা'য়
শত বীণানন্দিত মধুর নিক্কনে জলদের ছটা মেখে' গা'য়
তালী-তমালেরা আজ নব রূপে সেজেছে, নীপনিকুঞ্জ সুবাসে হেসেছে
স্নিগ্ধ সমীরণ কেতকীপরাগ মাখি' দূর নীলিমায় ভেসে' যায়
দর্দুরেরা আজ আনন্দে মেতেছে, যুথিকারা আজ তার সনে কী যেন কী কহিছে
সলাজ কামিনী ফুল সুগন্ধ ছড়ায়ে কার পানে বারে বারে চায়
</poem>
== 115 ==
{{Status|done}}
<poem>
বরষার রাতে তুমি এসেছিলে রজনীগন্ধা-বনে
আমি ছিনু অভিমানে অর্গল-দেওয়া ঘরে, ছিনু ছোট্ট গৃহকোণে
ঝটিকার পর ঝটিকা এসেছে, আঘাতের পর আঘাত লেগেছে
তবু তুমি সারা রাত জেগেছিলে সুরের ঐকতানে
মুষলধারায় বৃষ্টি নেমেছে, ঝাপ্টার পর ঝাপ্টা লেগেছে
তবু তুমি সারা রাত জেগেছিলে মমতামধুর তানে
ঝড়ের রাতে তুমি এসেছিলে রজনীগন্ধা-বনে
আমি ছিনু আনমনে অর্গল-দেওয়া ঘরে, রজনীগন্ধা জানে
</poem>
== 116 ==
{{Status|done}}
<poem>
বরষা এসেছে নীপনিকুঞ্জে বেতসকুঞ্জে নাচিতে নাচিতে
শিখীরা সকলে ছন্দে মেতেছে
বীনার ধ্বনিতে মন্দ্রিত গীতিতে ছন্দহারা ধরা প্রাণ পেয়েছে
যুথির সুবাস ভাসে সজল হাওয়ায়, মনের পরাগ হাসে মধুর মায়ায়
ছন্দে ছন্দে বিপুলানন্দে আধমরা তবু সব জেগে' উঠেছে
</poem>


== 117 ==
== 0307 ==


{{Status|done}}
{{Status|done}}
<poem>
<poem>
বরষার দিনে সবাকার সনে ঐকতানে এগিয়ে চলো
সবাকার অতি প্রিয় আদরণীয়
এগিয়ে চলিতে নাহি চাহ যদি, ঝরা পাতারই গল্প বলো
সকল বক্ষ মাঝে কৌস্তুভ মণি
শুয়ে ঝরা পাতারই গল্প বলো
তোমাতে সদাই তুমি ছাড়া নাই
না চিনিয়াও তোমাকেই শুধু চিনি


সবাই আজিকে মেতেছে ছন্দে কেকা-কলরব শিখীর কন্ঠে
সকল কুসুম মাঝে তুমি সুরভি গো
সলাজ ধরণী নেচে' চলে সে যে, সবুজের সাজে মন ভোলালো
সকল সৃষ্টি মাঝে পদ্মনাভি গো
তোমারই পরশে তোমারই রূপে রসে
সকল অজানা মাঝে তোমাকেই শুধু জানি


হাসিখুশীভরা এই সমারোহে উতলা পবন নানা দিকে বহে
মণিকার দ্যুতি তুমি তারকার জ্যোতি তুমি
আলাপে আবেশে গানে উল্লাসে সবার জীবন ভরিয়ে তোলো
বসুধার সুধা তুমি তোমাকেই সদা নমি
আসা যাওয়া নাহি তব প্রতি পলে লীলা নব
বিরাট পুরুষ রূপে তোমাকেই শুধু মানি
<div style=text-align:right>
Madhumalainca, Kolkata
1983 March 3
</div>
</poem>
</poem>

Latest revision as of 11:35, 6 November 2022

Tito Dutta   Talk   Editing events   Sandbox   Tasks   Extensions   PSB   PSS    



Sub-page


0307

Status:    Done

সবাকার অতি প্রিয় আদরণীয়
সকল বক্ষ মাঝে কৌস্তুভ মণি
তোমাতে সদাই তুমি ছাড়া নাই
না চিনিয়াও তোমাকেই শুধু চিনি

সকল কুসুম মাঝে তুমি সুরভি গো
সকল সৃষ্টি মাঝে পদ্মনাভি গো
তোমারই পরশে তোমারই রূপে রসে
সকল অজানা মাঝে তোমাকেই শুধু জানি

মণিকার দ্যুতি তুমি তারকার জ্যোতি তুমি
বসুধার সুধা তুমি তোমাকেই সদা নমি
আসা যাওয়া নাহি তব প্রতি পলে লীলা নব
বিরাট পুরুষ রূপে তোমাকেই শুধু মানি


Madhumalainca, Kolkata
1983 March 3