User:T12/PSB: Difference between revisions

From Sarkarverse
Jump to navigation Jump to search
(→‎127: new section)
m (Abhidevananda moved page User:Tito Dutta/PSB to User:T12/PSB: Automatically moved page while renaming the user "Tito Dutta" to "T12")
 
(422 intermediate revisions by 2 users not shown)
Line 6: Line 6:
* This page will not be indexed in world wide web.  
* This page will not be indexed in world wide web.  
* Punctuations followed according to the book.
* Punctuations followed according to the book.
* Older content may be found at [[/RA]]</div>}}
* Older content may be found at '''[[/RA]]'''
* Editor's own library is available at [[/library]]</div>}}
----
----
; Sub-page
; Sub-page
Line 12: Line 13:
----
----


== 111 ==


{{Status|done}}
<poem>
আজি বেণুকার বন কী কথা কয়,
পাতা ঝরিবার বেদনাতে হায় মূক মুখে সে যে চাহিয়া রয়
হারায়েছে সে যে সব শ্যামলিমা, ধূলিঝঞ্ঝায় সকল সুষমা
বেতসকুঞ্জে নীপনিকুঞ্জে মধু বায়ু আর নাহি বয়
রুদ্র দেবতা, এ কী তব খেলা অনল দাহনে অকরুণ লীলা
বর্ষার সুর আরও কত দূর, চাতক যাচিছে মরুতৃষায়
</poem>
== 112 ==
{{Status|done}}
<poem>
ঈশান কোণেতে মেঘ জমিয়াছে, খরতর বায়ু বহিতেছে
(আজি) কালবৈশাখী আসিয়াছে
গবাক্ষদ্বার বন্ধ করিয়া, অশনি ধ্বনিতে ত্রস্ত হইয়া
গৃফকোণে বসে' সকলে এখন নীরনর্ত্তন শুণিতেছে
কত প্রিয় তরু উপড়িয়া যায়, আহত ফলেরা ঝরে' পড়ে' যায়
ঝঞ্ঝা গতিতে শিলাবৃষ্টিতে নীড়হারা পাখী কি কাঁদিতেছে
নিদাঘের মাঝে বজ্ররূপেতে রুদ্র দেবতা এ কি নাচে মাতে!
জলে থাকা তরী মহা আতঙ্কে ঢেউয়ের দোলায় দুলিতেছে
</poem>
== 113 ==
{{Status|done}}
<poem>
বিশাখাতনয় বৈশাখ তুমি ভৈরবদ্যুতি নিয়ে এসেছো
ধরার প্রতিটি অণুতে অণুতে রুদ্র ঝলক ভরে' দিয়েছো
ধূলিঝঞ্ঝায় সবে ধূসরিত, সবুজের শোভা প্রায় বিলুপ্ত
তপ্ত ভূমেতে শুষ্ক তৃণেতে ঋতু-পরিচয় বলে' দিয়েছো
সরিতার জল সরিয়া গিয়াছে, নির্মেঘ রাত তারায় ভাসিছে
যাহার লীলায় সব কিছু হয় অপরূপ রূপে তারে এনেছো
</poem>
== 114 ==
{{Status|done}}
* '''Note''': Please check the spelling of "nupur" first line, second last word
<poem>
কেকা-কলরবমুখরিত প্রাতে কে গো এলে নুপুর পা'য়
শত বীণানন্দিত মধুর নিক্কনে জলদের ছটা মেখে' গা'য়
তালী-তমালেরা আজ নব রূপে সেজেছে, নীপনিকুঞ্জ সুবাসে হেসেছে
স্নিগ্ধ সমীরণ কেতকীপরাগ মাখি' দূর নীলিমায় ভেসে' যায়
দর্দুরেরা আজ আনন্দে মেতেছে, যুথিকারা আজ তার সনে কী যেন কী কহিছে
সলাজ কামিনী ফুল সুগন্ধ ছড়ায়ে কার পানে বারে বারে চায়
</poem>
== 115 ==
{{Status|done}}
<poem>
বরষার রাতে তুমি এসেছিলে রজনীগন্ধা-বনে
আমি ছিনু অভিমানে অর্গল-দেওয়া ঘরে, ছিনু ছোট্ট গৃহকোণে
ঝটিকার পর ঝটিকা এসেছে, আঘাতের পর আঘাত লেগেছে
তবু তুমি সারা রাত জেগেছিলে সুরের ঐকতানে


মুষলধারায় বৃষ্টি নেমেছে, ঝাপ্টার পর ঝাপ্টা লেগেছে
== 0307 ==
তবু তুমি সারা রাত জেগেছিলে মমতামধুর তানে
 
ঝড়ের রাতে তুমি এসেছিলে রজনীগন্ধা-বনে
আমি ছিনু আনমনে অর্গল-দেওয়া ঘরে, রজনীগন্ধা জানে
</poem>
 
== 116 ==


{{Status|done}}
{{Status|done}}
<poem>
<poem>
বরষা এসেছে নীপনিকুঞ্জে বেতসকুঞ্জে নাচিতে নাচিতে
সবাকার অতি প্রিয় আদরণীয়
শিখীরা সকলে ছন্দে মেতেছে
সকল বক্ষ মাঝে কৌস্তুভ মণি
বীনার ধ্বনিতে মন্দ্রিত গীতিতে ছন্দহারা ধরা প্রাণ পেয়েছে
তোমাতে সদাই তুমি ছাড়া নাই
 
না চিনিয়াও তোমাকেই শুধু চিনি
যুথির সুবাস ভাসে সজল হাওয়ায়, মনের পরাগ হাসে মধুর মায়ায়
ছন্দে ছন্দে বিপুলানন্দে আধমরা তবু সব জেগে' উঠেছে
</poem>
 
== 117 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
বরষার দিনে সবাকার সনে ঐকতানে এগিয়ে চলো
এগিয়ে চলিতে নাহি চাহ যদি, ঝরা পাতারই গল্প বলো
শুয়ে ঝরা পাতারই গল্প বলো
 
সবাই আজিকে মেতেছে ছন্দে কেকা-কলরব শিখীর কন্ঠে
সলাজ ধরণী নেচে' চলে সে যে, সবুজের সাজে মন ভোলালো
 
হাসিখুশীভরা এই সমারোহে উতলা পবন নানা দিকে বহে
আলাপে আবেশে গানে উল্লাসে সবার জীবন ভরিয়ে তোলো
</poem>
 
== 118 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
বরষা এসেছে, ভরসা এসেছে, চাতকের তৃষা মিটেছে
শুষ্ক তৃণেরা শ্যামল শোভায় গালিচার রূপ ধরেছে
 
জল পড়িতেছে ঝমাঝম্‌ করে অমরার সুধা যেন ঝরে' পড়ে
হারানো মাধুরী তরুতে ফিরেছে, জীবেরা নূতন প্রাণ পেয়েছে
 
(আজি) চলো ছুটে চলি লক্ষ্যের পানে দুরন্ত গানে দুর্দম প্রাণে
ফিরে' চাহিবার ঘুমে কাটাবার সব অবসর চলে' গেছে
আজ সব অবসর চলে' গেছে
</poem>
 
== 119 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
মেঘ, তুমি কাছে এসো, কল চাই, আরো জল চাই
সবুজ ধানের চারা শুকাইয়া যায়, এক কণা জল নাই, জল নাই
 
নেবুর ফুলেতে আজও মধু ভরেনি, আতার ফুলেতে কোন ফল ধরেনি
বাতাবীর ফুল গন্ধে মাতেনি, এই নিদারুণ খরা থেকে ত্রান পেতে চাই
 
কদম্বকলি সব ঝরে' পড়ে' যায়, রজনীগন্ধা ফুল ফুটিতে না পায়
আগুনের হল্কায় মাটি পুড়ে' যায়, বর্ষার স্নিগ্ধতা কোথা খুঁজে' পাই
 
</poem>
 
== 120 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
শারদপ্রাতে মোর একতারাতে শেফালীপগন্ধে মোর মন গানে মেতেছে
মন্দমধুর হাওয়াতে শিশিরে ভেজা মর্ত্যভূমিতে নৃত্যে তালে ধরা ছুটে চলেছে
 
(আজ) আলোর পথে নাই মেঘের মানা, নীলাকাশে পাখী মেলেছে সব ডানা
এই অবারিত পরিবেশে প্রাণের নবাবেশে উদ্বেল হিয়া কোথা' ভেসে' চলেছে
 
(আজ) প্লাবনের বারিধারা কমে' এসেছে, জেগে ওঠা-ভূমি নব সাজে সেজেছে
ভূলোক-দ্যুলোক মাঝে নন্দন-মধুসাজে কে গো নিজে ধরা দিলে সবার কাছে
</poem>
 
== 121 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
আমি শরৎ সকালে শিশিরেতে ধুয়ে' শেফালীর মালা গেঁথেছি
আমি শেফালীর মালা গেঁথেছি
সাজাবো যতনে তোমার চরণে এই সাধ নিয়ে এসেছি
 
তখন শাদা মেঘরাশি আকাশেতে ভাসি' চলেছিলো মধু মাখিয়া
তখন দুলিতেছিলো সে সুরভি-রভসে কমল-কুমুদ হাসিয়া
আমি সেই পরিবেশে বসিয়া আবেশে মালাগুলি মোর গেঁথেছি
 
মালাগুলি মোর গাঁথা নয় শুধু ঝরা শেফালিকা কুড়ায়ে'
আছে মমতার গীতি প্রভাতের প্রীতি প্রতি পাপড়িতে জড়ায়ে'
আমি সারা সকালটি সব কাজ ফেলি মালাগুলি মোর গেঁথেছি
 
শুধু মৃদু হেসে' শুধু ভালোবেসে তোমার লাগিয়া এনেছি
</poem>
 
== 122 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
পথিক, তুমি একাকী এসে' শিউলি-ঝরা রাতের শেষে,
দুয়ার আমার বন্ধ দেখে' দাঁড়িয়েছিলে পথেরই পাশে
 
ঘুমে আমার জড়ানো আঁখি, কিছু বা দেখি, কিছু না দেখি,
(তাই) রাতের শেষে হিমে ভিজে' তুমি ভোরে চলে' গেলে অরূপে ভেসে
 
আমার দ্বারের যূথিকা লতা এখনো বহে তব বারতা,
শিশিরের জল মুছিতে মুছিতে জেগে' আছে সে যে তোমারই আশে
 
সেই সময় যদি দ্বার খুলিতাম, কোন কিছু কথা কাণে কহিতাম
শারদ নিশীথে তাহারই সুরেতে ভাসিয়া যেতাম মিলে' মিশে'
</poem>
 
== 123 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
শরৎ ওই আসে, ওই আসে, ওই আসে
শরৎ নাচের তালে তালে পা ফেলে' ফেলে'
মন্দাক্রান্তা ছন্দে ধরায় হাসে
 
শরৎ  শুধু নয় শেফালীর সুগন্ধতে
শরৎ  শুধু নয় শাদা মেঘের ভেলাতে
শরৎ  প্রাণে আসে, শরৎ মনে আসে
শরৎ  ভুবনকে ভুলিয়ে মর্মে হাসে
শরৎ  শুধু নয় বাতাবী নেবুর গন্ধে
শরৎ  শুধু নয় কুশ-কাশ দোলার ছন্দে
শরৎ  প্রাণে আসে, শরৎ মনে আসে
শরৎ  ভুবনকে ভুলিয়ে মর্মে হাসে
</poem>
 
== 124 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
শরৎ তোমার সুরের মায়ায় আকাশ-বাতাস মাতালো
দূর নীলিমার সুধারাশি ধরার জীবন রাঙালো
 
জলে ভরা সরিতারা, শ্যামলিমায় গাছপালারা
মধুর গন্ধে ফল-ফুলেরা সোণার স্বপন জাগালো
 
রজত রঙের মিষ্টি মেঘে সকল আশা আছে জেগে'
সকল ছন্দ ছুটছে বেগে তার পানে যে সব কিছুকেই নাচালো
 
</poem>
 
== 125 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
(আজ) আকাশে তারার মেলা, ধরনী আত্মহারা
ফুলের সুবাসে মদির বাতাসে সবাই হাসিখুশীতে ভরা
 
আজ আলোধারা বহে' যায়, খুশীতে পাপিয়া গায়,
আজ মধুনিক্কনে রাতুল চরণে কে গো এলো প্রাণভরা
 
আজ সুধাধারা বহে' যায়, খুশীতে ত্রিলোক গায়
আজ সকল আকূতি মধুরসে মাখি' কে গো এলে মধুভরা
</poem>
 
== 126 ==
 
{{Status|done}}
<poem>
এক পরিক্রমার হলো অন্ত
দিন তিথি বহে' যায়, বৎসর চলে যায়
কত ফুল ঝরে' যায়, কত ফল পড়ে' যায়
 
কত উত্তাপে ছন্দে গানেতে কত উদ্বেগে অশ্রুধারাতে
বৎসর ছিলো মোর প্রাণে মিশে', আজি হায় হারাইয়া যায়
অজানায় সরে' যায়
 
যারা আসে, আসে যাবার জন্যে
যারা যায়, যায় আসার জন্যে
দূর নীলিমায় যারা ভেসে' যায় তারা পুনঃ এসে' যায়
নব রূপে এসে' যায়
</poem>
 
== 127 ==
 
{{Status|doing}}
<poem>
এক নূতনের সুর আজি বাজলো ফুলে ফুলে দোলা দিয়ে
ধরিত্রী নব সাজে সাজলো, সব ক্লেশ-বাধা দিলো ভুলিয়ে
 
আজ সুমুখে চলার পথে নেই কোন বাধা, কন্ঠভরা গান একই সুরে সাধা
আজ ভেদ ভুলে মিলে'মিশে' এগিয়ে চলো হেসে'
(চলো) সবাইকে সঙ্গে নিয়ে
 


সকল কুসুম মাঝে তুমি সুরভি গো
সকল সৃষ্টি মাঝে পদ্মনাভি গো
তোমারই পরশে তোমারই রূপে রসে
সকল অজানা মাঝে তোমাকেই শুধু জানি


মণিকার দ্যুতি তুমি তারকার জ্যোতি তুমি
বসুধার সুধা তুমি তোমাকেই সদা নমি
আসা যাওয়া নাহি তব প্রতি পলে লীলা নব
বিরাট পুরুষ রূপে তোমাকেই শুধু মানি
<div style=text-align:right>
Madhumalainca, Kolkata
1983 March 3
</div>
</poem>
</poem>

Latest revision as of 11:35, 6 November 2022

Tito Dutta   Talk   Editing events   Sandbox   Tasks   Extensions   PSB   PSS    



Sub-page


0307

Status:    Done

সবাকার অতি প্রিয় আদরণীয়
সকল বক্ষ মাঝে কৌস্তুভ মণি
তোমাতে সদাই তুমি ছাড়া নাই
না চিনিয়াও তোমাকেই শুধু চিনি

সকল কুসুম মাঝে তুমি সুরভি গো
সকল সৃষ্টি মাঝে পদ্মনাভি গো
তোমারই পরশে তোমারই রূপে রসে
সকল অজানা মাঝে তোমাকেই শুধু জানি

মণিকার দ্যুতি তুমি তারকার জ্যোতি তুমি
বসুধার সুধা তুমি তোমাকেই সদা নমি
আসা যাওয়া নাহি তব প্রতি পলে লীলা নব
বিরাট পুরুষ রূপে তোমাকেই শুধু মানি


Madhumalainca, Kolkata
1983 March 3