User:T12/PSB/RA: Difference between revisions

From Sarkarverse
< User:T12‎ | PSB
Jump to navigation Jump to search
(→‎0090: Archive)
(ডিলিট)
Line 2: Line 2:
This is a "'''Rolling archive'''" of [[User:Tito Dutta/PSB]]. Content deleted from this page will not be stored anywhere.
This is a "'''Rolling archive'''" of [[User:Tito Dutta/PSB]]. Content deleted from this page will not be stored anywhere.
{{TOC right}}
{{TOC right}}
== 1— 20 ==
{| class="wikitable" style="width: 80%; text-align: center;"
|-
! Song number !! Review status !! Comment
|-
| 0001 || {{Status|done}} || There are four lines in the Bengali sing, without repetition
|-
| 0002 || {{Status|done}} || do
|-
| 0003 || {{Status|done}} ||
|-
| 0004 || {{Status|done}} ||
|-
| 0005 || {{Status|done}} || Repeated line
|-
| 0006 || {{Status|done}} || do
|-
| 0007 || {{Status|done}} || do
|-
| 0008 || {{Status|done}} ||
|-
| 0009 || {{Status|Done}} ||
|-
| 0010 || {{Status|done}} || ki needs to be changed to kii per Bengali spelling, there is no áá in Bengali lyrics. Changed ki to kii
|-
| 0011 || {{Status|done}} || Needed to make some adjustments
|-
| 0012 || {{Status|done}} || Minor adjustment ""ki" to "kii"
|-
| 0013 || {{Status|done}} ||
|-
| 0014 || {{Status|done}} ||
|-
| 0015 || {{Status|done}} ||
|-
| 0016|| {{Status|done}} ||
|-
| 0017 || {{Status|done}} || Bengali text completed, reviewed
|-
| 0018 || {{Status|done}} ||
|-
| 0019 || {{Status|done}} || Minor adjustment
|-
| 0020 || {{Status|done}} ||
|}
== 0021 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি আলোকঝলমল, পূর্ণিমাদীপ মেঘলা রাতে,
দিক্‌ভ্রান্তের তুমি ধ্রুবতারা একলা পথে,
তুমি সকল ব্যাথার 'পরে মধুর প্রলেপ সবার কাছে
তোমারে চেয়েছি সকল কাজে,
না-বলা ব্যাথার মাঝে আর্ত যেমন যাচে,
আছো দিনে, আছো রাতে, আছো সুখে, আছো দুঃখেতে,
আছো সকল চলার পথে ক্লেশ ভোলাতে সাথে সাথে—
সাথে সাথে, সাথে সাথে
</poem>
== 0022 ==
{{Status|done}}
<poem>
ওগো বন্ধু, বলিতে পারো সারা দিন ধরে' তুমি কী করো ?
যাহা কিছু আসে যাহা কিছু যায়, তোমার চরণতলে সব কিছু হয়
তোমার মনের মাঝে সব কিছু লেখা আছে,
এত কথা মনে রেখে' তুমি কী করো
যত কিছু সুখ যত মধুরতা, যত কিছু দুঃখ যত বিরূপতা
এত নিয়ে লীলাখেলা কী করে' করো ?
বলো তোমার গোপন কথা কী আছে আরো
</poem>
== 0023 ==
{{Status|done}}
<poem>
নূতনের আলোক ওগো, ছিলে তুমি কোন্‌ সুদূরে ?
জগতের ছন্দ এখন নাচছে তোমায় ঘিরে' ঘিরে'
আমার ওই আঁধার রাতে ঢাকা ছিলে কোন নিভৃতে ?
নূতনের ডানা মেলে' এলে উড়ে' তিমির চিরে'
কেটে' গেছে সব হতাশা, ফুটেছে আজ সকল আশা,
সর্বব্যাপী ভালবাসা বাসছে এখন বিশ্ব জুড়ে'
</poem>
== 0024 ==
{{Status|done}}
<poem>
বন্ধু হে, হঠাৎ এলে হঠাৎ গেলে গহন রাতের মাঝে
এসে' বললে হেসে', ব্যস্ত কাজে, এখন আমি যাই যাই যাই
অনেকে চায় অনেক কিছু, দিতে তো হয় কিছু কিছু
কর্মরত দেওয়া-নেওয়ায়, তাই যে সময় নাই নাই নাই
ধরণীর অনেক কোণে অনেকে চায় সঙ্গোপনে
তাদের ডাকে দিই যে সাড়া, তাদের আমি চাই চাই চাই
চায় না যারা কোনো কিছুই, তারা যে চায় সকল কিছুই
তাদের ডাকে দিই এক্সে সাড়া, তাদের আমি চাই চাই, চাই
</poem>
== 0025 ==
{{Status|not done}}<br/>
Needs Devanagari script. Can try to transliterate, but there might be spelling mistakes. {{Smiley|sad}}
== 0026 ==
{{Status|Done}}
<poem>
বন্ধু, গাও গাও গাও মধুরগীতি, তন্দ্রা ভেঙ্গে' দিও
বন্ধু, চাও চাও চাও নিরবধি, ওগো প্রিয়, অতি প্রিয়
(আজি) প্রাণের জড়িমা কেটে' গেছে, মনের সুষমা ভরে' গেছে
আজ তোমার ছন্দে মধুনিষ্যন্দে আমাকে নূতন করে' নিও
আজ আলকার স্রোতে আলোকনিপাতে,
লোকাতীত ভাবে ভরে' দিও
</poem>
== 0027 ==
{{Status|Done}}
<poem>
দাও সাড়া ওগো প্রভু ছন্দে গানে, দাও সাড়া ওগো প্রভু নৃত্যে তালে
ওগো প্রিয়তম দেবতা আমার, নিদ্রা যখন তুমি নিজে ভাঙ্গালে—
এসো নৃত্যে তালে, এসো নৃত্যে তালে
তিমির জগতে আমি ছিনু অচেতন, মিহির জীবনে মোর আসিলে নূতন
আলোর ছটায় তুমি এ কী করিলে, আমার জীবন-মন রঙে রাঙালে
তুমি মনে মাতালে, মনে মাতালে,
সব কুহেলিকা ভেদি' মর্মে এলে
</poem>
== 0028 ==
{{Status|done}}
<poem>
বন্ধু তোমায় কী বলিব তিমিরের ঘুম ভাঙ্গায়ে' দিয়েছো
আলোর পথেই চলিব, চলিব চলিব চলিব
অনাদরে থাকা কুসুমকলিটি মালায় গাঁথিয়া রেখেছো
ধূলিধূসরিত মনের অর্ঘ্য কোলেতে তুলিয়া নিয়েছো
সব বিনিময়ে তোমাকে পেয়েছি
তোমার কথাই শুনিব, শুনিব শুনিব শুনিব
</poem>
== 0029 ==
{{Status|done}}
<poem>
আমায় ছোট্ট একটি মন দিয়েছো অনেক আশা রেখে'
ডাকছে আমায় তারায় তারায় মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
মাটির গন্ধে গাছের পাতায় নদীর স্রোতে দূর নীলিমায়
বাঁধা আমি পড়ে' গেছি শতেক বাধার পাকে
(তবু) ডাকছো আমায় তারায় তারায় মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
জানি বন্ধু কাছেই থাকো, দূরের থেকে কেন ডাকো !
পারি কি তাকাতে আমি বলো তোমার দিকে
</poem>
== 0030 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি মর্মে এসে' আমার ঘুম ভাঙ্গালে,
তুমি নিজের রঙে আমার মন রাঙালে
ছিলো পথের ক্লান্তি, ছিলো বোঝার ভ্রান্তি,
জীবনকে অশান্তি বিষিয়ে ছিলো
তুমি নিজের হাতে তাদের সরিয়ে দিলে,
তোমার ছন্দে প্রাণ নাচিয়ে দিলে
ছিলো মান-অপমান, ছিলো পাওয়ার পরিমাণ,
সকল বোঝা তুমি সরিয়ে দিলে
তোমার আলোয় আমায় ভরিয়ে দিলে
</poem>
== 0031 ==
{{Status|done}}
<poem>
কোন্‌ তিমিরের পার হ'তে ফুটে' উঠেছো মোর জীবনের ধ্রুবতারা !
কোন্‌ অমরার লোক হ'তে বয়ে এনেছো বসুধার সুধাধারা
এসো প্রভু প্রাণের ধূপে, এসো প্রভু মনের দীপে,
এসো প্রভু হৃদয়ের নীপে, সুরভিত করো এই ধরা
এসো প্রভু প্রাণের তানে, এসো প্রভু মনের গানে,
এসো প্রভু হৃদয়ের ছন্দে, জাগাও ঘুমায়ে আছে যারা
</poem>
== 0032 ==
{{Status|done}}
<poem>
উচাটন মন মানে না বারণ, শুধু তার পানে যেতে চায়—
কেন চায় ওগো কেন চায়, কেন চায় ওগো কেন চায়
ধরণীর ধূলি বনের কাকলি ফেলে'আসা সেই মধু দিনগুলি,
মনের মাধুরী সবাইকে নিয়ে তারই মাঝে মূরছায়
যত ছিলো কথা, যত ছিলো মান, না-বলা ব্যাথার যত অভিমান,
সবাই আজকে মিলিয়া মিশিয়া তারই পানে কেন ছুটে' যায়
</poem>
== 0033 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমার নামে তোমার গানে হয়েছি আপনহারা,
আঁধারপানে চলা পথিক পেয়েছি আলোকধারা
মাতাল হাওয়া মোহের ডোরে যদি বা চায় বাঁধতে মোরে,
মিষ্টি হেসে' বলবো তারে ভেঙ্গেছি পাষাণকারা
সকল প্রাণই আদরণীয়, প্রণাম নাও আমার,
সকল মনই অতুলনীয়, নাও গো নমস্কার
এসেছিনু চলার ঝোঁকে মধুর মতই ফুলকোরকে,
আজকে মোহন নামের ডাকে হয়েছি বাঁধনছাড়া
</poem>
== 0034 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমার নয়নতলে সব কিছু নেচে' চলে,
তোমার চরণতলে অবনী বহিয়া যায়
ফেলে-আসা দিনগুলি, গেয়ে-আসা গানগুলি,
কয়ে আসা কথাগুলি তোমাতে মিশিয়া যায়
কতবার এসেছি, নেচেছি, গেয়েছি,
কত ভালো বেসেছি, কত মায়া ছিঁড়েছি
কত খেলা খেলেছি, তোমা' পানে চলেছি,
চলিতে চলিতে ধরা ধূলায় মিলিয়া যায়
(তবু) ধূলার এ ধরনী তোমা' ছাড়া হয়নি,
তোমার ছন্দে সে যে অমৃতে ভাসিয়া যায়
</poem>
== 0035 ==
{{Status|done}}
<poem>
আকাশ বাতাস সুধানির্যাস কৃষ্ণ মেঘের ডাক
হৃদয় মাঝে মধুর বাজে পাঞ্চ্জন্য শাঁখ
এ কি নাচের গানের তান, এ কি হিয়ার আলোর বান
হারিয়ে দিশে শুণছি বসে' সব পেয়েছির ডাক
নিরুদ্দেশের পানে এমন মধুর গানে কে সে আমায় দিয়ে' গেল ডাক
কথার ফাঁকে ফাঁকে সে যে দিচ্ছে আমায় ডাক
আঁধারের পরে আলো হঠাৎ আমার প্রাণ জুড়ালো
সকল হিয়ায় ভরে' গেল অনাহতের বাক্‌
</poem>
== 0036 ==
{{Status|done}}
<poem>
সবার বন্ধু, সবার আপন, সবার প্রাণের সাধনা—
(তুমি) সবার প্রাণের সাধনা
আঁধার নিশায় দীপাবলী তুমি, মরুসরণীর ঝরণা
(তুমি) সবার প্রাণের সাধনা
জানাজানি সব হয়ে গেছে যবে লুকোচুরি খেলা কেন মিছে তবে,
নিজ পরিচয়ে এসো গো হৃদয়ে বহায়ে' মধুর করুণা
আলোঝলমল তোমার পথেতে লুকোবার কথা ভেবো না
</poem>
== 0037 ==
{{Status|done}}
<poem>
কোন্‌ ভুলে'-যাওয়া ভোরে সহাস সমীরে
মনের মুকুরে এসেছিলে, তুমি মনের মুকুরে এসেছিলে
সোণালী আলোয় হাসিয়া, তুমি মনের সুবাসে ভাসিয়া
সকল কালিমা নাশিয়া ফুলের মতন ফুটেছিলে
প্রাণের পরাগ মাখিয়া, নূতনের ছবি আঁকিয়া
বজ্রবাণীতে ডাকিয়া সব শৃঙ্খল ভেঙ্গেছিলে
তুমি সব শৃঙ্খল ভেঙ্গেছিলে
</poem>
== 0038 ==
{{Status|done}}
<poem>
সে যে এসেছে মোর হৃদয়ে গুঞ্জরিয়া সুধা ভরিয়া মধু ঝরিয়া
অলখ দেবতা মনের মাঝারে সব কিছু আলোকিত করিয়া
মধু ঝরিয়া ঝরিয়া
এমন মোহন সাজে সে কেন যে আসে, পরাণ মাতানো হাসি কেন সে হাসে,
তারই আলো তারই আলো মোর বেদনার মেঘে
রামধনু রঙ দিলো ভরিয়া
জগতের যত গান, যত সুর, যত তান, মনে প্রাণে তাকে নিলো বরিয়া
</poem>
== 0039 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি আসিয়াছো শত জনপদ বাহিয়া
অযুত কন্ঠে সুর ভরিতে ভরিতে
তুমি আসিয়াছো শত নীহারিকা ভেদিয়া
অযুত ছন্দে নাচ নাচিতে নাচিতে
ধরনী পেয়েছে প্রাণ তোমারে বরিয়া,
ধরণী পেয়েছে মন তোমারে জপিয়া
তোমার অপার দানে তোমার সংবেদনে,
ধরণী শিখেছে গান গাইতে নাচিতে
তুমি ছাড়া গান নাই, তুমি ছাড়া নাচ নাই,
অযুত মন্ত্র এলো তোমাকে স্মরিতে
</poem>
== 0040 ==
{{Status|done}}
<poem>
চম্পক বনে দখিনা পবনে ঝঙ্কৃত গানে আজি এলে
তুমি ঝঙ্কৃত গানে নিজে এলে
হারানোর ব্যাথা না-পাওয়া কথা সকল দীনতা ভুলাইলে
তুমি সকল দীনতা ভুলাইলে
স্মৃতিবিজড়িত চলার পথেতে আশা-নিরাশার দোদুল দোলাতে
মমতার বেণু বাজাতে বাজাতে সব মধুরমিয়া ভরে ছিলে
তুমি সব মধুরিমা ভরে ছিলে
আলোকের ওই ঝরণাধারাতে শত রূপে নিজে ধরা দিলে
তুমি শত রূপে নিজে ধরা দিলে
</poem>
== 0041 ==
{{Status|done}}
<poem>
আঁধার পেরিয়ে আপনি এসেছো, তুমি এসেছো জীবন মাঝারে
গুণাগুণ ভুলি' ভালো বাসিয়াছো, তুমি ভালো বাসিয়াছো আমারে
ছোট্ট মনেতে বাসনা দিয়েছো, ছোট্ট ভাবেতে জড়ায়ে রেখেছো
অত বড় তুমি তবু শিখায়েছো আপন করিতে তোমারে
তোমাকে ভাবিয়া তোমাকে স্মরিয়া বলেছো চিনিতে নিজেরে
</poem>
== 0042 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমারে পেয়েছি
অরুণালোতে হাসিমাখা প্রাতে কমল কাননে কূজনে
প্রভাত-সমীরে নীর-নির্ঝরে বনবীথিকায় বিজনে
চলার পথের পতনোথ্থানে হাসিতে নৃত্যে ছন্দে ও তানে
মধুর স্মৃতিতে মর্মগীতিতে সকল শ্রবনে মননে
তোমারে চিনেছি
ভালোবাসিয়া কাছেতে পেয়েছি মুখর স্বপনে স্মরণে
</poem>
== 0043 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমরা যা' খুশি তাই বলো আমার না-থামিয়া চলা
না-থামিয়া চলা আমার না কাঁদিয়া বলা
রূপোর মেঘে ভরা আকাশ, কাশের রঙে দুলছে বাতাস
শিউলি ঢেলে' দিচ্ছে সুবাস শিশিরে উতলা
খুঁজছি যারে পাইনি তারে, সেও জানি খুঁজছে মোরে,
আমার গানে গেঁথেছে সে ছোট্ট একটি মালা
</poem>
== 0044 ==
{{Status|done}}
<poem>
আর কোনো কথা আমি মানি না, মানিতে চাহি না, চাহি না
আঁধার হইতে চলি আলোর পানে, গগ্বর হ'তে ছুটি তারার গানে
সবার মনের ব্যাথা নিয়ে পরাণে, আর কোনো কথা আমি শুণি না
শুণিতে চাহি না, চাহি না
নাচের ছন্দে চলি তোমার পানে, প্রাণের মাধুরী ভরি তোমার গানে
সবার মনের কথা নিয়ে পরাণে, আর কোনো কথা আমি জানি না
জানিতে চাহি না, চাহি না
</poem>
== 0045 ==
{{Status|done}}
<poem>
বকুল গন্ধে মধুরানন্দে মধুপ ছন্দে এসেছিলো
সে যে মধুপ ছন্দে এসেছিলো
শেষের পরেও শুরু হয়ে থাকে, শেষ নাই তাহা বলেছিলো
জীবনের ধারা অশেষ অপার, মরুমাঝে হারা হয় না চলার
তোমার গতিতে তোমার দ্রুতিতে তোমার স্রোতে সে চলেছিলো
সব বেদনার সকল বাধার লৌহকপাট ভেঙ্গেছিলো
সে যে লৌহকপাট ভেঙ্গেছিলো
</poem>
== 0046 ==
{{Status|done}}
<poem>
এরা কান্নায় ভাঙ্গা রুধিরেতে রাঙা হতাশায় ভাঙ্গা সবহারা
এরা হতাশায় ভাঙ্গা সবহারা
এদের নেইকো দৃপ্তি, নেই কো পূর্ত্তি, নেইকো দীপ্তি দিশেহারা
এরা হতাশায় ভাঙ্গা সবহারা
এদের চলো নিয়ে যাই আলোকস্নানেতে, বসাইয়া দিই সফল মানেতে,
সব অপূর্ত্তি দূর করে' দিই মমতার ডাকে হৃদি-ভরা
একের বেদনা সবার বেদনা সবাকার এই বসুধরা
</poem>
== 0047 ==
{{Status|done}}
<poem>
কুঞ্জবনেতে গুঞ্জরণেতে মধুপ কী কথা বলিতে চায়
বলিতে চায় গো বলিতে চায়
মনের বীণাতে তারেতে তারেতে মরমী কী কথা শোণাতে চায়
ভাব যত ছিলো ভাষা তত নাই, সাধ যত ছিলো সাধ্য তো নাই
সকল মহিমা, সকল গরিমা তব পদে তাই লুটাতে চায়
অমল সমল সকল কমল তোমারে অর্ঘ্য দানিতে চায়
</poem>
== 0048 ==
{{Status|done}}
<poem>
আলো ঝরে' পড়ে ঝলকে ঝলকে, আলোর দেবতা এসেছে
আলোর দেবতা এসেছে আজিকে, আলোর দেবতা এসেছে
কালো ছায়া যত সরে' যেতে রত, ভয়েতে কাঁপিয়া উঠেছে
তারা ভয়েতে কাঁপিয়া উঠেছে
অশনি গরজে, ঝড় বহিতেছে, রুদ্র পুরুষ কহিয়া চলেছে,
"ওরে ভয় নাই, ভয় নাই তোর", সকল কুয়াসা কেটেছে
জলদমন্দ্রে তারকা-চন্দ্রে নিখিল ভুবন জেগেছে
</poem>
== 0049 ==
{{Status|done}}
<poem>
ডাক দিয়ে যাই যাই যাই, আমি ডাক দিয়ে যাই যাই যাই,
আলোকের পথ ধরে' যারা যেতে চায় তাহাদের চিনে' নিতে চাই
মানুষ পেয়েছে নানা ব্যাধি-ক্লেশ-তাপ, মানুষ পেয়েছে নানা শোক-সন্তাপ
তাদের অশ্রু যারা মুছাইতে চায় তাহাদের জেনে' নিতে চাই
মানুষ সয়েছে বহু ক্ষুধার জ্বালা, সহিয়াছে অপমান-অবহেলা
যারা তাদের ক্ষতেতে প্রলেপ দিতে চায় তাহাদের মেনে' নিতে চাই
</poem>
== 0050 ==
{{Status|done}}
<poem>
রক্তিম কিশলয়, আমি রক্তিম কিশলয়
সোজা পথে চলি আমি, বাঁকা পথে কভু কভু নয়
আমার সুমুখে আছে শ্যামল শোভা
আমার দু'পাশে আছে অরুণ আভা
উঁচু শিরে চলি আমি, নীচু শিরে কভু কভু নয়
আমার বাহুতে আছে বজ্রের বল,
আমার আঁখিতে আছে দৃষ্টি বিমল
সোজা কথা ভাবি আমি, বাঁকা কথা কভু কভু নয়
</poem>
== 0051 ==
{{Status|done}}
<poem>
(মোর) মধুকার বনে স্পন্দন এনে' আলোর দেবতা এলো রে
এলো এলো এলো রে
জীবনের শত ধারা শত রূপে ঝলমল করি' এলো রে
এলো রে এলো রে
বসে কাঁদিবার নাহিকো সময়, পথে থামিবার দিন এ তো নয়
সব বেদনার সব হাহাকার আজিকে ভুলায়ে দিলো রে
দিলো দিলো দিলো রে
শক্তির কোনো অপচয় নয়, শোণিত দুলিছে কর্মদোলায়
মনের মাধুরী সব দিক হেরি' অসীমে ছুটিয়া গেলো রে
গেলো গেলো গেলো রে
হৃদয়ের নীপে, প্রাণের প্রদীপে সব কিছু মোর নিলো রে
সে যে সব কিছু মোর নিলো রে, নিলো নিলো নিলো রে
</poem>
== 0052 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি উজ্জ্বল ধ্রুবতারা, তুমি অলকার গান
চম্পকসৌরভ মণিদ্যুতিবৈভব নির্ঝর-কলরব,
সবার উপরে তুমি অলকার প্রাণ
মেঘের হুঙ্কার ধনুকের টঙ্কার অশনি-ঝনৎকার,
সবার উপরে তুমি অলকার প্রাণ
তোমারে পেয়েছি দিনে রাতে জীবনের ছন্দে ও স্রোতে
সকল মর্মে ধ্যানেতে সবার মাঝারে' থেকে
সবার উপরে তুমি, তুমি মহাবিশ্বের প্রাণ
</poem>
== 0053 ==
{{Status|done}}
<poem>
ওগো প্রভু, তোমাকে আমি ভালো বাসি, ভালো বাসি
সতত মনের মাঝে জাগিয়া থাকে তোমারই হাসি, মধুর হাসি
তোমাকে আমি ভালো বাসি, ভালো বাসি বালো বাসি
আঁধার নিশায় তুমি ধ্রুবতারা, মরুতৃষায় তুমি নীরধারা
সম্পদে বিপদে সঙ্গে আছো কাছাকাছি, পাশাপাশি
কোনো গুণ নাহি, তবু কাছে টেনে' নাও
পাশেতে বসাও, ক্ষুদা মিটাও দিবানিশি, দিবানিশি
</poem>
== 0054 ==
{{Status|done}}
<poem>
আমি ঋজু পথে চলি' ভাই
আবোল-তাবোল নয়, সোজা কথাটি বলে' যেতে চাই
আজ বলে যেতে চাই
আকাশে লেগেছে রামধনুর খেলা, মাটিতে রয়েছে নানা রূপের মেলা
তারই মাঝে বায়ু বহে ভাবে উতলা
আমি ইহাদের সকলকে বাঁচাইতে চাই
রূপ-রস-গন্ধ যা' আছে ধরাতে, স্নেহ ভালোবাসা যা' আছে মনেতে,
ইহাদের নিষ্কলুষ করিতে এসো হাতে হাতে সাথে সাথে কাজ করে' যাই
</poem>
== 0055 ==
{{Status|done}}
<poem>
সুরসপ্তকে মাধুরী ভরি' এগিয়ে চলার গান গাই
মোরা এগিয়ে চলার গান গাই
মনোমন্দিরে মমতা মাখি' বলি, কেউ তো মোদের পর নাই
দ্যুলোকের যত পুলকরাজি ভূলোকেতে নাচিছে আজি
সপ্তলোকের যত সুধারাশি একাকার হয়ে গেছে ভাই
মধুচম্পকসুরভি ঢালি' সবাইকে প্রণতি জানাই
</poem>
== 0056 ==
{{Status|done}}
<poem>
কে গো তুমি পথপাশে দাঁড়িয়ে একা, আঁখি অশ্রুভরা, আঁখি অশ্রুভরা
কে গো তুমি নভোনীলে তাকিয়ে একা, বাহু ঊর্ধ্বে করা, বাহু ঊর্ধ্বে করা
যাহা চাহিয়াছো তুমি, তাহা পাওনি, যাহা পাইয়াছো তুমি তাহা চাওনি
মেটেনি জথর-প্রাণ-মনের ক্ষুধা, শুকায়েছে ভালবাসা হৃদয়ভরা
যাদের চেয়েছো তুমি ভালোবেসেছো, তাদের নিকট হ'তে ঘৃণা পেয়েছো
সব কিছু হারায়েছো, কিবা পেয়েছো, শুধু সঞ্চয় আছে গান কন্ঠভরা
</poem>
== 0057 ==
{{Status|done}}
<poem>
ছন্দ আমার নৃত্যের তালে তালে চলে, দ্বন্দ্ব আমার ভাবের মাঝে যায় গলে'
যাহা কিছু ভাবিয়াছি সবাইকে ভাবিয়া, যাহা কিছু করেছি সবাইকে চাহিয়া
দ্বারে দ্বারে ঘরে ঘরে বিলায়েছি চম্পকগন্ধ
ছন্দ আমার সবাইকে নাচাতে, দ্বন্দ্ব আমার সবাইকে বাঁচাতে
মধুছন্দা সুরে গিয়েছিনু বহু দূরে, আনিয়াছি মধুনিষ্যন্দ
</poem>
== 0058 ==
{{Status|done}}
<poem>
দু'জনে যখন মিলিছে তখন এদের তোমরা আশিষ দিও
দহ্বনজ্বালাতে ফুলের মালাতে দুঃখ-সুখেতে সাথে থাকিও
মানব সমাজ অবিভাজ্য, কোন নীড় নয় পরিত্যজ্য
সবাই মিলিয়া নাচিয়া গাইয়া এদের তোমরা মানিয়া নিও
ধরণীর ধ্বনি মমতার বানী এদের জীবন রাঙিয়ে দিও
</poem>
== 0059 ==
{{Status|done}}
<poem>
ননীর পুতুল টুটুল টুটুল, হাত-পা নাড়ছে হেসে' হেসে'
অঙ্গুলিগুলি চম্পককলি, দ্যুলোকের দ্যুতি চোখে ভাসে
কুসুমিত বন করিয়া চয়ন এসেছে খোকন (খুকু) নব দেশে
গড়ে' তুলে' নোব, বড় করে' নোব, কোলে তুলে' নোব ভালোবেসে'
</poem>
== 0060 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমার জিনিস তোমাকে দিয়েছি, তুমি নাও প্রভু কোলে তুলে
কাঁদিয়া দিয়েছি, বেদনা সয়েছি, এই সান্ত্বনা তুমি নিলে
মোর এই সান্ত্বনা তুমি নিলে
যারা এসেছিল সবাই রয়েছে, অসীমের মাঝে সবে জেগে' আছে
হারাই হারাই আমরা সদাই ভেবে' কেঁদে' মরি তোমা' ভুলে'
প্রভু, ভেবে' কেঁদে' মরি তোমা' ভুলে'
</poem>
== 0061 ==
{{Status|done}}
<poem>
(আমি) পরাণ ধরিয়া দিই তোমারই চরণে
এসে' থাকা হৃদিমাঝে নিতি নিতি নব সাজে
(তাই) পরাণ ভরিয়া দিই তোমারই স্মরণে
এসে' থাকা গানে নাচে কাছে থেকে আরো কাছে,
(তাই) পরাণ সঁপিয়া দিই তোমারই বরণে
সুর থেকে আরো সুরে নিয়ে' গেছো বহু দূরে
(তাই) পরাণ ঢালিয়া দিই তোমারই মননে
</poem>
== 0062 ==
{{Status|done}}
<poem>
নয়নে এসেছিলে স্বপনে, এ কি তব লুকোচুরি খেলা
জাগরণে চলে' গেছো বিজনে, এ কি তব অকরুণ লীলা
আকাশে উজ্জ্বল তারা, হৃদয়ে দীপজ্যোতিহারা,
তবু তুমি বিনা ফণী মণিহারা
সহে না, সহে না একেলা, এ কি তব লুকোচুরি খেলা
আলো-আঁধারিতে ইন্দ্রধনুতে মন ভোলানোর এ কি মেলা
</poem>
== 0063 ==
{{Status|done}}
<poem>
দীপাবলী সাজায়েছি, প্রভু, তোমারে করিতে বরণ
এসো তুমি হৃদি মাঝে নিতি নিতি নব সাজে ধীরে ধীরে ফেলিয়া চরণ
এসো তুমি মন মাঝে আরো গানে আরো নাচে মৃদু হাসি করি' বিকিরণ
এসো তুমি ভাবলোকে ছন্দে ও নবালোকে জাগায়ে মোহন স্পন্দন
</poem>
== 0064 ==
{{Status|done}}
<poem>
আকাশে আজ রঙের মেলা, মনেতে আজ আলো,
বাতাসে আজ সুবাস ভরা, সবই লাগে ভালো
অজানা কার আগমনে হৃদয়ভরা ছন্দে গানে
প্রাণের পরশ দিয়ে সে যে সরায় সকল কালো
এমন দিনে সবার সনে প্রাণের প্রদীপ জ্বালো
</poem>
== 0065 ==
{{Status|done}}
<poem>
কাছে এলে বলে' গেলে না কে গো তুমি কে তুমি
ভালোবেসে' সবই দিলে বলে' গেলে না কে আমি
মালঞ্চে যে ফুল ফুটেছে, সে জানে না কে যে সে
সুরের মায়ায় মন যে নাচে, সে জানে না কেন নাচে সে
হাসিতে চাঁদের জোয়ার আসে, চাঁদ জানে না কেন সে আসে
(এই) বিশ্বলীলায় ছন্দ জোগাও কে গো তুমি দিবস-যামী
</poem>
== 0066 ==
{{Status|done}}
<poem>
রুম্‌ঝুম্‌ রুম্‌ঝুম্‌ নূপুর বাজায়ে কে গো তুমি এলে হৃদিমাঝে,
মননের উত্তাল তরঙ্গে দিয়ে তাল কে গো এলে মোহন সাজে
মধুর হাসিতে ধরা সুরভিত করিয়া অধরের বাঁশীতে মুখরিত করিয়া
চারিদিক আলোকিত করিতে করিতে কে গো এলে ছন্দে ও নাচে
রুম্‌ঝুম্‌ রুম্‌ঝুম্‌ নূপুর ধ্বনিটি হৃদিমাঝে যেন সদা বাজে
</poem>
== 0067 ==
{{Status|done}}
<poem>
তারই পথ পানে মন ছুটে' যায়, তারই পথ চেয়ে থাকে আঁখি
আঁখি গো, তারই পথ চেয়ে থাকে আঁখি
তারই লাগি' হিয়া উদ্বেল হয় গো, তারই লাগি' আনমনা থাকি
থাকি গো, তারই লাগি' আনমনা তাকি
আজি মোর শয্যা যে কন্টকশয্যা, মোর দৃষ্টিতে হেরে'-যাওয়া লজ্জা
মোর সজ্জা যে নিষ্প্রভ সজ্জা, এ দুখ আমার কোথা' রাখি
রাখি গো, এ দুখ আমার কোথা' রাখি
এত ভালোবাসে তবু আসে না, কোমলে কঠোরে ভরা সে কি
সে কি গো, কোমলে কঠোরে ভরা সে কি
</poem>
== 0068 ==
{{Status|Not needed, English song}}
== 0069 ==
{{Status|done}}
<poem>
কে এলে, না বলে' এলে ঘুমের ঘোর ভাঙ্গানোর ডাক দিয়ে
চঞ্চল পবনে লীলায়িত করিয়া সব-পেয়েছির গান গেয়ে;
আকাশে সূর্য্য পদতলে ধরণী, বাজিছে তূর্য্য মুখরিত সরণী
ঘুমিয়ে থাকিবার কেঁদে কাল কাটিবার অলসতা ভুলে' গিয়ে
আলোর ওই ধারার পানে ছন্দে নাচে ও গানে
এগিয়ে চলার পথ বেয়ে' ঘুমের ঘোর ভাঙ্গানোর ডাক দিয়ে
</poem>
== 0070 ==
{{Status|done}}
<poem>
আমি যাবো না, যাবো না, যাবো না রে সুরের এই ছান্দসিক জগৎ থেকে
মোর মানস লোকে মোর আত্মিক লোকে বেঁচে' আছি সুরে জড়িয়ে থেকে'
আমি বেঁচে আছি সুরে জড়িয়ে থেকে'
সুরের হাওয়ায় আমি খুঁজি তাকে, সুরের ছায়ায় আমি পাই যে তাঁকে
সুরের ছন্দে মধুরানন্দে রন্ধ্রে রন্ধ্রে সে যে লুকিয়ে ত্থাকে
আমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে সে যে লুকিয়ে ত্থাকে
আমার সকল চাওয়ার আমার সকল পাওয়ার
শেষ কথা রয়েছে সুরের বুকে
</poem>
== 0071 ==
{{Status|done}}
<poem>
জগৎটা নয় মিথ্যে মায়া, মিথ্যে রঙের খেলা
লীলাময়ের লীলা এ ভাই লীলার মোহন মেলা
সূর্য্য আসে, প্রভাত হাসে, সকল দিকই রঙে ভাসে
রঙের ঝিলিক প্রাণে মেশে রঞ্জনে উতলা
দিনে রাতে তারই আশে চেয়ে' থাকি নিনিমেষে
এই চাওয়া ভাই পূর্ণ হবে তাহার সাথে মিশে
নানা রঙের নানা ফুলে ভরবে রঙের ডালা
</poem>
== 0072 ==
{{Status|done}}
<poem>
মউমাছি গুনগুনিয়ে কাননে কী কথা যায় শুণিয়ে
বসুধার বর্ণে ও গন্ধে, সুরের উপচে'-পড়া ছন্দে
যে রাগ হয়নি হারা মরুতে তাদের মাঝারে বসে' মালা গেঁথে যাই
প্রাণের সকল সুধা ভরিয়ে
যে মধু ছিলো ঢাকা, যে সুবাস পরাগেতে মাখা
যে মমতা হৃদি মাঝে রাখা
সবারে জাগায়ে আমি গান গেয়ে' যাই
বীণার সকল তার ছাপিয়ে
</poem>
== 0073 ==
{{Status|done}}
<poem>
ওগো প্রিয়, আমায় ভুলিও না তুমি,
তোমায় পেতে আলোর পথে চলি আমি
ধরায় এসেছি তোমার কাজ করিতে গো
ভালো বেসেছি তোমার গান শোণাতে গো
অণুতে অণুতে তোমার লীলা
সুরেতে সুরেতে তোমার খেলা
ছন্দেতে ছন্দতে তুমি নাচো
রন্ধ্রে রন্ধ্রে তুমি লুকিয়ে' আছো
</poem>
== 0074 ==
{{Status|done}}
<poem>
চল্‌ চল্‌ চল্‌ চল্‌ গান গেয়ে' চল্‌
আশার আলোকশিখা অতি উজ্জ্বল
অবনীকে করে তুলি' মুক্তাঞ্চল
চল্‌ চল্‌ ঘরে ঘরে গান গেয়ে চল্‌
পাপের শত্রু মোরা, ভালোদের বল
বাঁচাই তাদের মোরা যারা দুর্বল
যত ভাষা যত মত রহিয়াছে যত পথ
সবারে শ্রদ্ধা মোরা করি অবিচল
</poem>
== 0075 ==
{{Status|done}}
<poem>
কে এলে, আজিকে এলে, বিশ্বদোলায় দোল দিয়ে' এলে
(তুমি) বিশ্বদোলায় দোল দিয়ে' এলে
ভাবলোকে ছিলে, নীচে নেবে' এলে, ধরার ধরাছোঁয়ায় মিশিয়ে গেলে
সুদূরের তারা কাছটিতে এলে, সুদূরের রাগ মন মাতালে
হারানো ধ্বনি তুমি কাণে ভেসে' এলে, হারানো ছন্দে নাচ নাচিয়ে দিলে
অশ্রুভরা আঁখি মুছিয়ে' দিলে, সাগরের মণি তুমি প্রাণে জুড়ালে
</poem>
== 0076 ==
{{Status|done}}
<poem>
স্বপনে খোঁজ পেয়েছিনু, স্বপন মাঝেই ভালো বেসেছি
স্বপন মাঝে চেনা-শোনা, সবই সে যে জেনে' গেছি
বল্‌ গো তোরা স্বপন শেষে কোথায় হারা হলো যে সে
জাগরণের বাস্তবেতে চলে' গেল হেসে হেসে'
সোণার স্বপন আবার কি রে মোর জীবনে আসবে ফিরে'
সেই আশাতেই বেঁচে' আছি, সেই আশাতেই জেগে' আছি
</poem>
== 0077 ==
{{Status|done}}
<poem>
স্বপনে তা'রে চিনেছি
স্বপনে আমি জ্যোৎস্না-রাতে নিষ্প্রভ দীপ নিয়ে' হাতে
ভেসেছিনু সুরের স্রোতে নূতন জীবন পেয়েছি
স্বপনে তা'রে দেখেছি, দেখেছি গো দেখেছি
প্রাণের প্লাবনে সে যে ভুবনভরা, মধুর হাসিতে তার মুকুতাঝরা
নাচ গানে বীণার তানে গন্ধমদির সমীরণে
প্রাণের পরশ মাখিয়ে' প্রাণে নূতন আলোয় মেতেছি
স্বপনে তা'রে পেয়েছি, পেয়েছি গো পেয়েছি
</poem>
== 0078 ==
{{Status|done}}
<poem>
স্বপনে সে এসেছিলো, স্বপন মাঝেই চলে' গেলো
না বলিয়াই চলে গেলো', না ডাকিতেই এসেছিলো
হিয়ার মাঝে গোপন কোণে না বলিতেই বসেছিলো
নিজের হাতে নাড়া দিয়ে তন্ত্রীতে সুর বাজিয়েছিলো
তুলে' নয়ন মুখের পানে বলতে সে কী চেয়েছিলো
না-জানি কোন অভিমানে না জানিইয়েই চলে' গেলো
</poem>
== 0079 ==
{{Status|done}}
<poem>
(তব) স্বপনের ছোঁয়া লেগে' জীবন পেয়েছে নব প্রাণধারা
আশাতে মন্দিত গান ভাষাতে স্পন্দিত তান, ভালবাসা হলো সীমাহারা
(তব) স্বপনের মায়া মেখে' মর্ম হয়েছে মধুভরা
সুরেতে উচ্ছল ছন্দ কুসুমে উন্মদ গন্ধ, দিক্‌ভ্রান্ত পেলো ধ্রুবতারা
(তব) স্বপনের মাধুরী মেখে' জগৎ পেয়েছে গতিধারা
চারিদিকে উজ্জ্বল আলো, যা'কে দেখি তা'কে লাগে ভালো
অণু-পরমাণু হলো দৃপ্ত, ভাব-ব্যঞ্জনা, আনন্দে ধরা হলো ভরা
</poem>
== 0080 ==
{{Status|done}}
<poem>
স্বপনে এসেছো আনন্দঘন তুমি, সবার তুমি আনন্দ
মঞ্জুল মহাকাশে মহাপ্রাণে আছো মিশে' রূপাতীত অপরূপ ছন্দ
তুমি রূপাতীত অপরূপ ছন্দ
চোখে অনুরক্তি চরণে বিমুক্তি ভাবাতীত সুধানিষ্যন্দ
তুমি ভাবাতীত সুধানিষ্যন্দ
জেনে' বা না জেনে' ভালবাসি একই জনে, সে ভালবাসার নাহি অন্ত
</poem>
== 0081 ==
{{Status|done}}
<poem>
স্বপনের ঘোরে দিন চলে' যায়, এগিয়েই চলাই রীতি
দিন চলে' যায়, ফিরে' নাহি চায়, ফিরে' না চাওয়াই রীতি
কয়ে-যাওয়া কথা সয়ে-যাওয়া ব্যাথা অসীমেতে হারায়
দিনগুলি চলে' যায়
অতীতে যাহার হয়েছে সূচনা, তারও আগেকার কথা
মর্মবীণায় স্বপ্নের তারে সুরেতে রয়েছে গাঁথা
হারায় যাহারা আমাদের থেকে আছে তব দ্যোতনায়
</poem>
== 0082 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি এসেছো, প্রাণে এসেছো, ভুবন আলো করে' প্রাণে এসেছো
তোমার নূপুরধ্বনি মর্মে পশিয়া সকল ক্লেশ ভুলায়ে দিলো গো
আমার সকল ক্লেশ ভুলায়ে দিলো গো
আছো সঙ্গে, থেকো সঙ্গে, আনন্দের মূর্চ্ছনায় থেকো সঙ্গে
তোমার মধুর হাসি হৃদয় ছাপিয়ে সব কিছু মোর কেড়ে' নিলো গো
</poem>
== 0083 ==
{{Status|done}}<br/>
'''Note''': Please verify spelling of "তাকা" (fourth line, second word).
<poem>
চির নূতনের আহ্বানে
ছন্দ আমার নেচে' ছুটে' যায় দূর নীলিমার পানে
আজ এগিয়েই চলাই গান, হাসিয়া ডাকাই প্রাণ
চেয়ে' তাকা পিছে বসে' থাকা মিছে, চাই যাকে সে যে টানে
মন মহামনে প্রাণ মহাপ্রাণে মিশে' যায় এক তানে
</poem>
== 0084 ==
{{Status|done}}
<poem>
সুমুখে আসিয়া দাঁড়াইয়া ছিলে শত সূর্যের সাথে, ছিলে শত সূর্যের সাথে
আমি ছিনু এক পাশে মাটির দীপটি হাতে, ছিনু মাটির দীপটি হাতে
ঢেউয়ের উপরে ঢেউ এসে' পড়ে উত্তাল জলধিতে
রণহুঙ্কারে মেতে' ওঠে তারা সফেন প্রাণের স্রোতে
ছুটে চলে শত অণু-পরমাণু দুরন্ত সঙ্গীতে
কাছে থেকে দূরে, দূরে থেকে কাছে বজ্রে ও বিদ্যুতে
</poem>
== 0085 ==
{{Status|done}}
<poem>
দিনগুলি চলে' যায়, মনের মুকুরে স্মৃতিরেখা রেখে' যায়
কবে এসেছিনু ভুলিয়া গিয়েছি, কেন এসেছিনু তাও না জেনেছি
মধু বায় বয়ে যায়, আলোরাশি ছুটে' যায়
তোমার মনের একটি কোণেতে রয়েছে আমার মন
তোমার হিয়ার একটি কণাতে আমি আছি অনুক্ষণ
সুধারাশি ভেসে' যায়, তা'রা তব স্রোতে মূরছায়
</poem>
== 0086 ==
{{Status|done}}
<poem>
মেঘের মাঝে আগুন' জ্বেলে বজ্রের মতো এসেছো
তুমি বজ্রের মতো এসেছো
ধরার শিলায় কাঁপন দিয়ে' ভূমিকম্পে নেচেছো
তুমি ভূমিকম্পে নেচেছো
তোমার লীলার নেই যে অন্ত, অসীম থেকে দূর দিগন্ত
শব্দে স্পর্শে রূপে রসে গন্ধে হিয়ায় ফুটেছো
ছোট্ট ফুলের পরাগ তুমি, মহোদধির অতল ভূমি
সবার রঙে রঙ মিশিয়ে এ কী লীলায় মেতেছো
তুমি এ কী লীলায় মেতেছো
</poem>
== 0087 ==
{{Status|done}}
<poem>
কত জনমের প্রতীক্ষা পরে তব আগমন হয়েছে
তব আগমন হয়েছে আজিকে, তব আগমন হয়েছে
কত ফুলমালা শুকাইয়া গেছে, কত ফুলকলি ঝরেছে
কতই দিবস কাঁদিয়া কেটেছে, কত না যামিনী হারাইয়া গেছে
(আজ) দু'কূল ছাপিয়া হিয়া উপচিয়া প্রাণের দেবতা এসেছে
আজ প্রাণের দেবতে এসেছে
পাবো কি পাবো না আশা-নিরাশায় কত যুগ মোর বৃথা চলে যায়
(যবে) পাবোই পাবো দৃঢ়তা জেগেছে
তবেই দুয়ার খুলেছে, তব বন্ধ দুয়ার খুলেছে
</poem>
== 0088 ==
{{Status|done}}
<poem>
হেমন্তে শিরশিরে হাওয়াতে সে যে আসে, সে আসে, সে যে ওই আসে
মালঞ্চে মালতী ঝরে-পড়া বকুল বেলা যুঁই কোথায় হারা
চন্দ্রমল্লিকা বাহু বাড়ায়ে তাহারে ডাকিয়া যায় হেসে' হেসে'
গোলাপের কুঁড়িগুলি ফূটে চলেছে, দোলনচাঁপার প্রাণে নেশা ধরেছে
ভ্রমরের গুঞ্জন বহু আশাতে আকাশের পানে যায় ভেসে ভেসে
নির্মেঘ আকাশে তারার ফুটকি হাসে, তা'রা সব জেগে আছে তাহারই আশে
</poem>
== 0089 ==
{{Status|done}}
<poem>
কিছু ফুল চায় হাত বাড়াতে, হেমন্তে সদা ধরে রাখিতে
শীতের আমেজ আজও আসেনি, হেমন্ত যাই যাই করেনি
গাছের পাতারা আজও ঝরেনি, এই পরিবেশে বসে' গান গেয়ে' যাই
আমি এই পরিবেশে বসে' গান গেয়ে' যাই
তোমায় সতত যেন কাছ থেকে পাই
শীতের আড়ষ্টতা আজও আসেনি, কুয়াসা আজও চোখে ভাসেনি,
কমলার বন রঙে হাসেনি, এই পরিবেশে বসে' তোমাকে শুধাই
আমি এই পরিবেশে বসে' তোমাকে শুধাই
সদা কেন বলে' থাক যাই যাই যাই
</poem>
== 0090 ==
{{Status|done}}
<poem>
হেমন্তে মোর ফুলের সাজি ভরবে গো, ভরবে তোমার প্রাণের ছোঁয়াতে
ফুলেরা সব যাচ্ছে সরে' অবহেলায় অনাদরে
তা'রই মাঝে যারা আছে রঙীন পোশাক পরবে গো
পরবে তোমার প্রাণের ছোঁয়াতে
নাম না-জানা গাছের, পরে পাখীরে সব ছোট্ট নীড়ে
তোমারই নাম আপন মনে করবে গো
করবে তোমার প্রাণের ছোঁয়াতে
তোমার মনে আমি আছি রঙেতে রঙ মিশিয়েছি
তোমার সুরে সুর মিলিয়ে সুধায় ঝরে' পড়বে গো
পড়বে তোমার প্রাণের ছোঁয়াতে
</poem>
== 0091 ==
{{Status|done}}
<poem>
শেষ হেমন্তে হিমেল হাওয়ায় কমল কেন ফোটে না,
মধুবিহীন ফুলগুলিতে মধুপ কেন জোটে না
বনে কমল নাই বা ফুটুক মনে কমল ফোটে গো,
ফুলে মধুপ নাই বা জুটুক চিত্তে মধুপ জোটে গো
হেমন্তের এই করুণ তানে কাননভরা ব্যাথার গানে,
তার মননে কিন্তু কোথাও কোন ব্যাথাই থাকে না
গন্ধমধু নাই বা থাকুক, গন্ধমধু উদ্গীত হোক
তা'র আশিষে করব মোরা নোতুন ধরা রচনা
</poem>
== 0092 ==
{{Status|done}}
<poem>
হেমন্ত আজি প্রাতে এসেছে, শিশিরে করিয়া স্নান এসেছে
সে কেন এসেছে, সে কেন এসেছে ! তোমাকে সাজাবে বলে এসেছে
ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা এনেছে, সোণালী ধানের শীষে হেসেছে
বাতাবী নেবুর মধু এনেছে, রঙছোঁয়া কমলাতে হেসেছে
বদরীফুলের ঘ্রান এনেছে, রস ঝরা খর্জুরে হেসেছে
</poem>
== 0093 ==
{{Status|done}}
<poem>
হেমন্তেরই ধানের গন্ধে নবান্ন-দিন মনে পড়ে
নবান্নেরই নৈবেদ্য তোমায় স্মরণ করে'
তারায় তারায় ভরা আকাশ, মন্দমধুর হালকা বাতাস
ভরা নদী প্লাবন হারা বইছে শত ধারা
অন্তরীক্ষে জলে স্থলে সব কিছু আজ ঝলমলে
সবার মুখেই মিষ্টি হাসি খুশির মুকুট পরে'
</poem>
== 0094 ==
{{Status|done}}
<poem>
শীতের কাঁপুনি নিয়ে এলে কে গো তুমি, এ কী তব সুন্দরতা
তুষারে ঢাকিয়া শ্যামভূমি কে গো তুমি, এ কী গো তব মধুরতা
কনকনে উত্তুরে বায়ে পাতাঝরা পথতরু-গা'য়ে
লিখে দিলে' অজানা কী বানী, হায় তব এ কী দীনতা, এ কী তব কৃপণতা
ঝড়-ঝঞ্ঝায় প্রাণ কাঁপিয়ে, লতাপাতা সব শোভা হারিয়ে,
গেয়ে যায় অজানা কী গীতি, ভালবাসা মাঝে এ কী নির্মমতা
</poem>
== 0095 ==
{{Status|done}}
<poem>
চন্দনবীথি কুয়াসায় ঢাকি' ভোরের আলোকে কালো করে'
আসিয়াছো তুমি নবতর ভাবে আপরূপ এক রূপ ধরে
চেনা-জানা পথ আঁধারেতে ঢেকে', সকল মাধুরী লুকাইয়া রেখে'
আসিয়াছে শীত যুগান্তের বেদনা বহন করে'
তমসার পরপারে রবির রশ্মি থমকিয়া থাকে শুধু ক্ষণেকের তরে
আলোর দেবতা আঁখি মেলে' চায়, কালো কুহেলিকা আসীমে মিলায়
শীত আসে, তাই আলো ভাসে ভাই আরো আরো ভালো করে'
</poem>
== 0096 ==
{{Status|done}}
<poem>
শিশিরসিক্ত খর্জুরবীথি-কন্টকে থরথরি,
আসিয়াছে শীত জমানো তুহিনে নব হিমবাহ গড়ি'
পশুপক্ষীরা ছুটে চলে যায় দূর হতে দূর দেশে
প্রাণের তাগিদে উত্তাপ পেতে নব সূর্যের আশে
মধুকহ্লার ফোটে নাকো আর সলাজ মাধুরী অরি
আজ বলো কা'র ইঙ্গিতে এই কাঁপন জাগানো প্রাতে,
রঙে ভরা ধরা হলো সাজহারা এলো যোগীরূপ ধরি
</poem>
== 0097 ==
{{Status|done}}
<poem>
শীতে শিউলি কেন ফোটে না, কমল কেন কথা কয় না
না না না, তা'রা কথা কয় না, শীতেতে তা'রা কুঁকড়ে গেছে
আজ যা'রা আছে তব ভাবে আছে, মনেতে সবাই তোমায় যাচে
ধরা আজি মনে মজেছে, সে বুঝি তোমায় চিনে' নিয়েছে
না না না, ধরা কথা কয় না, শীতেতে সে যে কুঁকড়ে গেছে
মনের জুসুম শতধারে ফুটে মনেতেই চাপা পড়েছে
না না না, তারা কথা কয়া না, শীতেতে তারা কুঁকড়ে গেছে
</poem>
== 0098 ==
{{Status|Done}}
<poem>
শীত আসিয়াছে, সাথে আনিয়াছে রঙীন ফুলের ছবি,
গন্ধবিহীন, মধুবিহীন ফুল, অল্প রোদের রবি
রবি ছিলো কাছে ভাবিতাম মনে, আসহ্য তাপ সহে নাকো প্রাণে
রুদ্রপুরুষ, প্রসন্ন হও বরষার বরদানে
কাছে ছিলো যবে তবে ভালো ছিলো তবে এই কথা আজ ভাবি
শোণো ভাই সব শোণো
দূরের তপন কাছেতে আসিবে, চিন্তা কোরো না কোনো
ধরার শীতেতে আশার গীতেতে আঁকি' নূতনের ছবি
</poem>
== 0099 ==
{{Status|done}}
<poem>
ভাবি নিকো আসবে তুমি শীতের রাতে, বৃষ্টিঝরে শীতের রাতে
এসেছিলে অনেক কাছে, বলিনি তো এসো কাছে, আরো কাছেতে
বাইরে কনকনে হাওয়া, সকল দ্বারেই আগল দেওয়া
আগল খুলে' বলি নি তো, এসো ভিতরে, এসো ঘরের মাঝেতে
তুলে' নয়ন মুখের পানে চাইলে কেন কেই বা জানে
ছিলে তুমি অভিমানে তখন মানিনি, একটি বারও বলিনি তো কথা বলিতে
চলে' গেলে দূরে সরে'একলা পথের সাথী করে'
বাইরের কন্‌কনে হাওয়া উপেক্ষা করে',
একটি বারও বলিনি তো থাকো ঘরেতে
</poem>
== 100 ==
{{Status|done}}
<poem>
কমলা নেবুর বর্ণে গন্ধে নূতন ছন্দে এসেছো
আজ নূতন ছন্দে এসেছো
হিমানীর মাঝে ঝঞ্ঝা জাগায়ে মেরুশীতলতা এনেছো
তুমি মেরুশীতলতা এনেছো
অবসর আর নাহিক তোমার, শিহরণ আনো অমেয় অপার
(আজ) তুহিনের গানে কম্পন এনে' লীলাখেলা করে' চলেছো
তুমি লীলাখেলা করে' চলেছো
শোভাঞ্জনতে ফুল ধরিয়াছে, বদরীতরুরা ফলে ভরে' গেছে
(আজ) হিমনিদ্রায় যারা শুয়ে আছে তাদের কথা কি ভেবেছো
তুমি তাদের কথা কি ভেবেছো
এই শীতের নিশীথে নীরবে নিভৃতে লোকাতীত ভাবে মেতেছো
তুমি লোকাতীত ভাবে মেতেছো
</poem>

Revision as of 08:55, 20 January 2014

This is a "Rolling archive" of User:Tito Dutta/PSB. Content deleted from this page will not be stored anywhere.