|
|
Line 11: |
Line 11: |
| * [[/RA]] | | * [[/RA]] |
|
| |
|
|
| |
|
| |
| == 0091 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| শেষ হেমন্তে হিমেল হাওয়ায় কমল কেন ফোটে না,
| |
| মধুবিহীন ফুলগুলিতে মধুপ কেন জোটে না
| |
|
| |
| বনে কমল নাই বা ফুটুক মনে কমল ফোটে গো,
| |
| ফুলে মধুপ নাই বা জুটুক চিত্তে মধুপ জোটে গো
| |
|
| |
| হেমন্তের এই করুণ তানে কাননভরা ব্যাথার গানে,
| |
| তার মননে কিন্তু কোথাও কোন ব্যাথাই থাকে না
| |
|
| |
| গন্ধমধু নাই বা থাকুক, গন্ধমধু উদ্গীত হোক
| |
| তা'র আশিষে করব মোরা নোতুন ধরা রচনা
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 0092 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| হেমন্ত আজি প্রাতে এসেছে, শিশিরে করিয়া স্নান এসেছে
| |
| সে কেন এসেছে, সে কেন এসেছে ! তোমাকে সাজাবে বলে এসেছে
| |
| ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা এনেছে, সোণালী ধানের শীষে হেসেছে
| |
|
| |
| বাতাবী নেবুর মধু এনেছে, রঙছোঁয়া কমলাতে হেসেছে
| |
| বদরীফুলের ঘ্রান এনেছে, রস ঝরা খর্জুরে হেসেছে
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 0093 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| হেমন্তেরই ধানের গন্ধে নবান্ন-দিন মনে পড়ে
| |
| নবান্নেরই নৈবেদ্য তোমায় স্মরণ করে'
| |
|
| |
| তারায় তারায় ভরা আকাশ, মন্দমধুর হালকা বাতাস
| |
| ভরা নদী প্লাবন হারা বইছে শত ধারা
| |
|
| |
| অন্তরীক্ষে জলে স্থলে সব কিছু আজ ঝলমলে
| |
| সবার মুখেই মিষ্টি হাসি খুশির মুকুট পরে'
| |
|
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 0094 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| শীতের কাঁপুনি নিয়ে এলে কে গো তুমি, এ কী তব সুন্দরতা
| |
| তুষারে ঢাকিয়া শ্যামভূমি কে গো তুমি, এ কী গো তব মধুরতা
| |
|
| |
| কনকনে উত্তুরে বায়ে পাতাঝরা পথতরু-গা'য়ে
| |
| লিখে দিলে' অজানা কী বানী, হায় তব এ কী দীনতা, এ কী তব কৃপণতা
| |
|
| |
| ঝড়-ঝঞ্ঝায় প্রাণ কাঁপিয়ে, লতাপাতা সব শোভা হারিয়ে,
| |
| গেয়ে যায় অজানা কী গীতি, ভালবাসা মাঝে এ কী নির্মমতা
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 0095 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| চন্দনবীথি কুয়াসায় ঢাকি' ভোরের আলোকে কালো করে'
| |
| আসিয়াছো তুমি নবতর ভাবে আপরূপ এক রূপ ধরে
| |
|
| |
| চেনা-জানা পথ আঁধারেতে ঢেকে', সকল মাধুরী লুকাইয়া রেখে'
| |
| আসিয়াছে শীত যুগান্তের বেদনা বহন করে'
| |
|
| |
| তমসার পরপারে রবির রশ্মি থমকিয়া থাকে শুধু ক্ষণেকের তরে
| |
| আলোর দেবতা আঁখি মেলে' চায়, কালো কুহেলিকা আসীমে মিলায়
| |
| শীত আসে, তাই আলো ভাসে ভাই আরো আরো ভালো করে'
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 0096 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| শিশিরসিক্ত খর্জুরবীথি-কন্টকে থরথরি,
| |
| আসিয়াছে শীত জমানো তুহিনে নব হিমবাহ গড়ি'
| |
|
| |
| পশুপক্ষীরা ছুটে চলে যায় দূর হতে দূর দেশে
| |
| প্রাণের তাগিদে উত্তাপ পেতে নব সূর্যের আশে
| |
| মধুকহ্লার ফোটে নাকো আর সলাজ মাধুরী অরি
| |
|
| |
| আজ বলো কা'র ইঙ্গিতে এই কাঁপন জাগানো প্রাতে,
| |
| রঙে ভরা ধরা হলো সাজহারা এলো যোগীরূপ ধরি
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 0097 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| শীতে শিউলি কেন ফোটে না, কমল কেন কথা কয় না
| |
| না না না, তা'রা কথা কয় না, শীতেতে তা'রা কুঁকড়ে গেছে
| |
|
| |
| আজ যা'রা আছে তব ভাবে আছে, মনেতে সবাই তোমায় যাচে
| |
| ধরা আজি মনে মজেছে, সে বুঝি তোমায় চিনে' নিয়েছে
| |
| না না না, ধরা কথা কয় না, শীতেতে সে যে কুঁকড়ে গেছে
| |
|
| |
| মনের জুসুম শতধারে ফুটে মনেতেই চাপা পড়েছে
| |
| না না না, তারা কথা কয়া না, শীতেতে তারা কুঁকড়ে গেছে
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 0098 ==
| |
|
| |
| {{Status|Done}}
| |
| <poem>
| |
| শীত আসিয়াছে, সাথে আনিয়াছে রঙীন ফুলের ছবি,
| |
| গন্ধবিহীন, মধুবিহীন ফুল, অল্প রোদের রবি
| |
|
| |
| রবি ছিলো কাছে ভাবিতাম মনে, আসহ্য তাপ সহে নাকো প্রাণে
| |
| রুদ্রপুরুষ, প্রসন্ন হও বরষার বরদানে
| |
| কাছে ছিলো যবে তবে ভালো ছিলো তবে এই কথা আজ ভাবি
| |
|
| |
| শোণো ভাই সব শোণো
| |
| দূরের তপন কাছেতে আসিবে, চিন্তা কোরো না কোনো
| |
| ধরার শীতেতে আশার গীতেতে আঁকি' নূতনের ছবি
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 0099 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| ভাবি নিকো আসবে তুমি শীতের রাতে, বৃষ্টিঝরে শীতের রাতে
| |
| এসেছিলে অনেক কাছে, বলিনি তো এসো কাছে, আরো কাছেতে
| |
|
| |
| বাইরে কনকনে হাওয়া, সকল দ্বারেই আগল দেওয়া
| |
| আগল খুলে' বলি নি তো, এসো ভিতরে, এসো ঘরের মাঝেতে
| |
|
| |
| তুলে' নয়ন মুখের পানে চাইলে কেন কেই বা জানে
| |
| ছিলে তুমি অভিমানে তখন মানিনি, একটি বারও বলিনি তো কথা বলিতে
| |
|
| |
| চলে' গেলে দূরে সরে'একলা পথের সাথী করে'
| |
| বাইরের কন্কনে হাওয়া উপেক্ষা করে',
| |
| একটি বারও বলিনি তো থাকো ঘরেতে
| |
| </poem>
| |
|
| |
| == 100 ==
| |
|
| |
| {{Status|done}}
| |
| <poem>
| |
| কমলা নেবুর বর্ণে গন্ধে নূতন ছন্দে এসেছো
| |
| আজ নূতন ছন্দে এসেছো
| |
|
| |
| হিমানীর মাঝে ঝঞ্ঝা জাগায়ে মেরুশীতলতা এনেছো
| |
| তুমি মেরুশীতলতা এনেছো
| |
|
| |
| অবসর আর নাহিক তোমার, শিহরণ আনো অমেয় অপার
| |
| (আজ) তুহিনের গানে কম্পন এনে' লীলাখেলা করে' চলেছো
| |
| তুমি লীলাখেলা করে' চলেছো
| |
|
| |
| শোভাঞ্জনতে ফুল ধরিয়াছে, বদরীতরুরা ফলে ভরে' গেছে
| |
| (আজ) হিমনিদ্রায় যারা শুয়ে আছে তাদের কথা কি ভেবেছো
| |
| তুমি তাদের কথা কি ভেবেছো
| |
|
| |
| এই শীতের নিশীথে নীরবে নিভৃতে লোকাতীত ভাবে মেতেছো
| |
| তুমি লোকাতীত ভাবে মেতেছো
| |
| </poem>
| |
|
| |
|
| == 101 == | | == 101 == |
|
- This page will not be indexed in world wide web.
- Punctuations followed according to the book.
- Older content may be found at /RA
|
- Sub-page
101
Status: Done
শীতের শেষেতে নব পাতা আসে, পুরোনোরা যায় ঝরে'
বসন্ত এলো দ্বারে নৃত্যের তালে তালে
নৃত্যের তালে বেণী উপচিয়া কবরী খসিয়া পড়ে
শীতের শেষেতে অপুষ্পতরু কলিতে ভরিয়া পড়ে
তুষার গলিবে এই ভরসায় অঙ্কুর সব হাসিমুখে চায়
পাখীরা কুলায় তার গান গায়, নব সাজ সব পরে
102
Status: Done
আশোকে পলাশে নব উল্লাসে ঋতুরাজ আজ আসে
মলয় পবনে সঘন স্বপনে ফুলের পরাগ ভাসে
ফুলের সুবাস সঙ্গে এলেছে, সকল মাধুরী লুটায়ে দিয়েছে
বিশ্বনিখিলে কবোষ্ণোনিলে প্রাণের প্রদীপ হাসে
বর্ণচ্ছটায় তব মহিমায় ধরা ভাসে উল্লাসে
103
Status: Done
বসন্ত আজ জাগলো আম্রমুকুল-বকুল-শিমুল-পারুল-পলাশে
ফুলের বনের অনাহুতের রবাহুতের পাশে
এসো বন্ধু, আমরা সবাই তোমার তালে তাল দিয়ে যাই
তোমার ছন্দে ছন্দ মিলাই নূতন পরিবেশে সকলের সকাশে
ফুলে ভরে যাওয়া কাঞ্ছন বনে কোকিল মেতেছে নূতনের গানে
ফুলের সুবাসে সেই গান আজ তোমা' পানে যায় ভেসে' অনাবিল আবেশে
104
Status: Done
নৃত্যের তালে তালে নৃত্যের ছন্দে ওই আসে বসন্ত, ওই আসে
কুয়াসায় ঢাকা তবু আলোঝলমল হয়ে নব কিশলয় ফুলে পুনঃ হাসে
বনফুল-আভরণ সারা তনু ঢাকিয়া, আলুথালু এলোকেশ আকাশে মেলিয়া
পূর্বাশা নৃত্যের ছন্দে ছুটিয়া চলে সুশোভনা প্রকৃতি মধুমাসে
মলয়ের ঢেউ আসে, উষ্ণ জলধি হাসে, সরে' যাওয়া মধুরিমা ফিরে আসে
যার এই মধুরিমা যাহার এই গরিমা তাহার কথাটি সদা মনে ভাসে
105
Status: Done
(আজি) বসন্ত পবনে লীলায়িত চরণে নেচে' যাই, নেচে' যাই ঝরণা সম
নির্মেঘ গগনে অঞ্জিত নয়নে এঁকে' যাই, এঁকে' যাই মাধুরী মম
আজ এগিয়ে চলি তব ছন্দে, সুরভিত হই তব গন্ধে
হাসিয়া বেড়াই আনন্দে,
রঞ্জিত করি পথ কিংশুকরঞ্জনে তব লাগি' অন্তরতম
আজ এগিয়ে চলায় নাহি বাঁধা, মোর হিয়া তব হারে গাঁথা,
মোর গান তব সুরে সাধা
(আজ) পিকতানে মধুগানে সব কুছু মোর ভেসে' যায়
ভেসে' যায় যার পানে তাকে নমো নমো নমঃ
106
Status: Done
ফুলের সাজি সাথে নিয়ে কে এলো গো, কে এলো
গানের মালা হাতে নিয়ে সুরের স্রোতে ভাসালো
বকুল-বেলা চোখ মেলে' চায়, মধুক-পুশপ নেশা ধরায়,
ভ্রমর কথা শোণাতে চায়, মধুপ গন্ধে মাতালো
দূর আকাশের তারা হাসে, ফুলের পরাগ হাওয়ায় ভাসে
প্রাণের ভূবন তাতে মিশে বিশ্বভূবন রাঙালো
সুদীর্ঘ কাল বসে' বসে' ছিনু যাহার আসার আশে
সে এই প্রাতে নিজের হাতে বসন্তদোল দোলালো
107
Status: Done
বসন্ত আজ হাসলো, শুধু হাসিখুশী এই ধরণীতে,
ফুলের মিষ্টি চাহনিতে, ফুলের মধুর মধুতে
আজ ছুটে যাই চলো দ্যুলোকের পানে ছন্দে ও গানে কেকা-পিকতানে
মুছে' ফেলে' দাও সব মলিনতা, ডাক দেয় পাখী মধু রাতে
ঋতুরাজ আজ দ্বারে সমাগত, কোরকেরা আজ সদা জাগ্রত
সরাইয়া দাও সকল জড়তা প্রাণের উষ্ণ প্রবাহেতে
প্রাণের পরশে সব কিছু হাসে, সব কিছু ভাসে তারই স্রোতে
108
Status: Done
রৌদ্রের খরতাপে গ্রীষ্মের দাবদাহে,
বেলা-মালতীর স্নিগ্ধ সমীর কিছু শীতলতা আনে
মন আরো শীতলতা চাহে
সহকারশাখা ভারেতে আনত, থরে থরে ফুল জম্বুক নত
প্রচণ্ড তাপ সহে না যে আর, মন সদা এই কহে
নৈশ বাতাশে কুসুম সুবাসে কিছু উপশম আনে,
মন আরো উপশম চাহে
শত জনমের শত ক্লেশ যত
গ্রীষ্মেতে যেন হলো একীভূত
রূদ্র দেবতা বৃষ্টি নামাও
মন সদা এই কহে
109
Status: doing
বন্ধু, তোমার গোপন কথা কয়ে যাও মোর কাণে কাণে
গ্রীষ্মকালের সবার ব্যাথা জানাও আমার গানে গানে
ফুটল যে ফুল সে যায় পুড়ে', ফোটে নি যে যায় সে ঝরে'
অর্ধপথে নদীর ধারা বাষ্পতে যায় উড়ে'
এ কি শুধু আমার ব্যাথা, জীবের ব্যাথা, এ কি নয় তোমার ব্যাথা সব খানে