User:T12/PSB/RA: Difference between revisions

From Sarkarverse
< User:T12‎ | PSB
Jump to navigation Jump to search
(→‎200: Add)
(Add)
Line 5: Line 5:
<center>'''Older songs'''</center>
<center>'''Older songs'''</center>
* [http://sarkarverse.org/index.php?title=User:Tito_Dutta/PSB/RA&oldid=17269 0001—0100]
* [http://sarkarverse.org/index.php?title=User:Tito_Dutta/PSB/RA&oldid=17269 0001—0100]
* [http://sarkarverse.org/index.php?title=User:Tito_Dutta/PSB/RA&oldid=31364 0101—0200]
}}
}}
== 101 ==
{{Status|done}}
<poem>
শীতের শেষেতে নব পাতা আসে, পুরোনোরা যায় ঝরে'
বসন্ত এলো দ্বারে নৃত্যের তালে তালে
নৃত্যের তালে বেণী উপচিয়া কবরী খসিয়া পড়ে
শীতের শেষেতে অপুষ্পতরু কলিতে ভরিয়া পড়ে
তুষার গলিবে এই ভরসায় অঙ্কুর সব হাসিমুখে চায়
পাখীরা কুলায় তার গান গায়, নব সাজ সব পরে
</poem>
== 102 ==
{{Status|done}}
<poem>
আশোকে পলাশে নব উল্লাসে ঋতুরাজ আজ আসে
মলয় পবনে সঘন স্বপনে ফুলের পরাগ ভাসে
ফুলের সুবাস সঙ্গে এলেছে, সকল মাধুরী লুটায়ে দিয়েছে
বিশ্বনিখিলে কবোষ্ণোনিলে প্রাণের প্রদীপ হাসে
বর্ণচ্ছটায় তব মহিমায় ধরা ভাসে উল্লাসে
</poem>
== 103 ==
{{Status|done}}
<poem>
বসন্ত আজ জাগলো আম্রমুকুল-বকুল-শিমুল-পারুল-পলাশে
ফুলের বনের অনাহুতের রবাহুতের পাশে
এসো বন্ধু, আমরা সবাই তোমার তালে তাল দিয়ে যাই
তোমার ছন্দে ছন্দ মিলাই নূতন পরিবেশে সকলের সকাশে
ফুলে ভরে যাওয়া কাঞ্ছন বনে কোকিল মেতেছে নূতনের গানে
ফুলের সুবাসে সেই গান আজ তোমা' পানে যায় ভেসে' অনাবিল আবেশে
</poem>
== 104 ==
{{Status|done}}
<poem>
নৃত্যের তালে তালে নৃত্যের ছন্দে ওই আসে বসন্ত, ওই আসে
কুয়াসায় ঢাকা তবু আলোঝলমল হয়ে নব কিশলয় ফুলে পুনঃ হাসে
বনফুল-আভরণ সারা তনু ঢাকিয়া, আলুথালু এলোকেশ আকাশে মেলিয়া
পূর্বাশা নৃত্যের ছন্দে ছুটিয়া চলে সুশোভনা প্রকৃতি মধুমাসে
মলয়ের ঢেউ আসে, উষ্ণ জলধি হাসে, সরে' যাওয়া মধুরিমা ফিরে আসে
যার এই মধুরিমা যাহার এই গরিমা তাহার কথাটি সদা মনে ভাসে
</poem>
== 105 ==
{{Status|done}}
<poem>
(আজি) বসন্ত পবনে লীলায়িত চরণে নেচে' যাই, নেচে' যাই ঝরণা সম
নির্মেঘ গগনে অঞ্জিত নয়নে এঁকে' যাই, এঁকে' যাই মাধুরী মম
আজ এগিয়ে চলি তব ছন্দে, সুরভিত হই তব গন্ধে
হাসিয়া বেড়াই আনন্দে,
রঞ্জিত করি পথ কিংশুকরঞ্জনে তব লাগি' অন্তরতম
আজ এগিয়ে চলায় নাহি বাঁধা, মোর হিয়া তব হারে গাঁথা,
মোর গান তব সুরে সাধা
(আজ) পিকতানে মধুগানে সব কুছু মোর ভেসে' যায়
ভেসে' যায় যার পানে তাকে নমো নমো নমঃ
</poem>
== 106 ==
{{Status|done}}
<poem>
ফুলের সাজি সাথে নিয়ে কে এলো গো, কে এলো
গানের মালা হাতে নিয়ে সুরের স্রোতে ভাসালো
বকুল-বেলা চোখ মেলে' চায়, মধুক-পুশপ নেশা ধরায়,
ভ্রমর কথা শোণাতে চায়, মধুপ গন্ধে মাতালো
দূর আকাশের তারা হাসে, ফুলের পরাগ হাওয়ায় ভাসে
প্রাণের ভূবন তাতে মিশে বিশ্বভূবন রাঙালো
সুদীর্ঘ কাল বসে' বসে' ছিনু যাহার আসার আশে
সে এই প্রাতে নিজের হাতে বসন্তদোল দোলালো
</poem>
== 107 ==
{{Status|done}}
<poem>
বসন্ত আজ হাসলো, শুধু হাসিখুশী এই ধরণীতে,
ফুলের মিষ্টি চাহনিতে, ফুলের মধুর মধুতে
আজ ছুটে যাই চলো দ্যুলোকের পানে ছন্দে ও গানে কেকা-পিকতানে
মুছে' ফেলে' দাও সব মলিনতা, ডাক দেয় পাখী মধু রাতে
ঋতুরাজ আজ দ্বারে সমাগত, কোরকেরা আজ সদা জাগ্রত
সরাইয়া দাও সকল জড়তা প্রাণের উষ্ণ প্রবাহেতে
প্রাণের পরশে সব কিছু হাসে, সব কিছু ভাসে তারই স্রোতে
</poem>
== 108 ==
{{Status|done}}
<poem>
রৌদ্রের খরতাপে গ্রীষ্মের দাবদাহে,
বেলা-মালতীর স্নিগ্ধ সমীর কিছু শীতলতা আনে
মন আরো শীতলতা চাহে
সহকারশাখা ভারেতে আনত, থরে থরে ফুল জম্বুক নত
প্রচণ্ড তাপ সহে না যে আর, মন সদা এই কহে
নৈশ বাতাশে কুসুম সুবাসে কিছু উপশম আনে,
মন আরো উপশম চাহে
শত জনমের শত ক্লেশ যত
গ্রীষ্মেতে যেন হলো একীভূত
রুদ্র দেবতা বৃষ্টি নামাও
মন সদা এই কহে
</poem>
== 109 ==
{{Status|done}}
<poem>
বন্ধু, তোমার গোপন কথা কয়ে যাও মোর কাণে কাণে
গ্রীষ্মকালের সবার ব্যাথা জানাও আমার গানে গানে
ফুটল যে ফুল সে যায় পুড়ে', ফোটে নি যে যায় সে ঝরে'
অর্ধপথে নদীর ধারা বাষ্পতে যায় উড়ে'
এ কি শুধু আমার ব্যাথা, জীবের ব্যাথা, এ কি নয় তোমার ব্যাথা সব খানে
তৃণের আঁকুর জাগিতে চায়, জাগে না সে দাহেরই ভয়
তুষারপুঞ্জ উষ্ণতাতে অশ্রু হয়ে বয়
</poem>
== 110 ==
{{Status|done}}
<poem>
গ্রীষ্মাবকাশে সে যদি আসে দু'হাত ভরিয়া দোব ফুল, দোব ফুল, শুধু ফুল
অরুণাকাশে বেলা-চাঁপা পাশে ছন্দময় চরণ রাতুল
নিয়ে ছন্দময় চরণ রাতুল
কোকিল এখনও কিছু কথা কয়, সন্ধ্যা-সকালে মলয়জ বয়
কিংশুক শাখে পাপিয়া ডাকিছে, বিশুষ্কপ্রায় নদীকুল
আশোকপুষ্প প্রায় ঝরোঝর, শাল্মলী তরু বীজে ভরোভর
দ্রাক্ষার থোকা ফলে থরোথর
মাধবীকুঞ্জে পুঞ্জে পুঞ্জে আলি গুঞ্জরে পেয়ে' ফুল
</poem>
== 111 ==
{{Status|done}}
<poem>
আজি বেণুকার বন কী কথা কয়,
পাতা ঝরিবার বেদনাতে হায় মূক মুখে সে যে চাহিয়া রয়
হারায়েছে সে যে সব শ্যামলিমা, ধূলিঝঞ্ঝায় সকল সুষমা
বেতসকুঞ্জে নীপনিকুঞ্জে মধু বায়ু আর নাহি বয়
রুদ্র দেবতা, এ কী তব খেলা অনল দাহনে অকরুণ লীলা
বর্ষার সুর আরও কত দূর, চাতক যাচিছে মরুতৃষায়
</poem>
== 112 ==
{{Status|done}}
<poem>
ঈশান কোণেতে মেঘ জমিয়াছে, খরতর বায়ু বহিতেছে
(আজি) কালবৈশাখী আসিয়াছে
গবাক্ষদ্বার বন্ধ করিয়া, অশনি ধ্বনিতে ত্রস্ত হইয়া
গৃফকোণে বসে' সকলে এখন নীরনর্ত্তন শুণিতেছে
কত প্রিয় তরু উপড়িয়া যায়, আহত ফলেরা ঝরে' পড়ে' যায়
ঝঞ্ঝা গতিতে শিলাবৃষ্টিতে নীড়হারা পাখী কি কাঁদিতেছে
নিদাঘের মাঝে বজ্ররূপেতে রুদ্র দেবতা এ কি নাচে মাতে!
জলে থাকা তরী মহা আতঙ্কে ঢেউয়ের দোলায় দুলিতেছে
</poem>
== 113 ==
{{Status|done}}
<poem>
বিশাখাতনয় বৈশাখ তুমি ভৈরবদ্যুতি নিয়ে এসেছো
ধরার প্রতিটি অণুতে অণুতে রুদ্র ঝলক ভরে' দিয়েছো
ধূলিঝঞ্ঝায় সবে ধূসরিত, সবুজের শোভা প্রায় বিলুপ্ত
তপ্ত ভূমেতে শুষ্ক তৃণেতে ঋতু-পরিচয় বলে' দিয়েছো
সরিতার জল সরিয়া গিয়াছে, নির্মেঘ রাত তারায় ভাসিছে
যাহার লীলায় সব কিছু হয় অপরূপ রূপে তারে এনেছো
</poem>
== 114 ==
{{Status|done}}
* '''Note''': Please check the spelling of "nupur" first line, second last word
<poem>
কেকা-কলরবমুখরিত প্রাতে কে গো এলে নুপুর পা'য়
শত বীণানন্দিত মধুর নিক্কনে জলদের ছটা মেখে' গা'য়
তালী-তমালেরা আজ নব রূপে সেজেছে, নীপনিকুঞ্জ সুবাসে হেসেছে
স্নিগ্ধ সমীরণ কেতকীপরাগ মাখি' দূর নীলিমায় ভেসে' যায়
দর্দুরেরা আজ আনন্দে মেতেছে, যুথিকারা আজ তার সনে কী যেন কী কহিছে
সলাজ কামিনী ফুল সুগন্ধ ছড়ায়ে কার পানে বারে বারে চায়
</poem>
== 115 ==
{{Status|done}}
<poem>
বরষার রাতে তুমি এসেছিলে রজনীগন্ধা-বনে
আমি ছিনু অভিমানে অর্গল-দেওয়া ঘরে, ছিনু ছোট্ট গৃহকোণে
ঝটিকার পর ঝটিকা এসেছে, আঘাতের পর আঘাত লেগেছে
তবু তুমি সারা রাত জেগেছিলে সুরের ঐকতানে
মুষলধারায় বৃষ্টি নেমেছে, ঝাপ্টার পর ঝাপ্টা লেগেছে
তবু তুমি সারা রাত জেগেছিলে মমতামধুর তানে
ঝড়ের রাতে তুমি এসেছিলে রজনীগন্ধা-বনে
আমি ছিনু আনমনে অর্গল-দেওয়া ঘরে, রজনীগন্ধা জানে
</poem>
== 116 ==
{{Status|done}}
<poem>
বরষা এসেছে নীপনিকুঞ্জে বেতসকুঞ্জে নাচিতে নাচিতে
শিখীরা সকলে ছন্দে মেতেছে
বীনার ধ্বনিতে মন্দ্রিত গীতিতে ছন্দহারা ধরা প্রাণ পেয়েছে
যুথির সুবাস ভাসে সজল হাওয়ায়, মনের পরাগ হাসে মধুর মায়ায়
ছন্দে ছন্দে বিপুলানন্দে আধমরা তবু সব জেগে' উঠেছে
</poem>
== 117 ==
{{Status|done}}
<poem>
বরষার দিনে সবাকার সনে ঐকতানে এগিয়ে চলো
এগিয়ে চলিতে নাহি চাহ যদি, ঝরা পাতারই গল্প বলো
শুয়ে ঝরা পাতারই গল্প বলো
সবাই আজিকে মেতেছে ছন্দে কেকা-কলরব শিখীর কন্ঠে
সলাজ ধরণী নেচে' চলে সে যে, সবুজের সাজে মন ভোলালো
হাসিখুশীভরা এই সমারোহে উতলা পবন নানা দিকে বহে
আলাপে আবেশে গানে উল্লাসে সবার জীবন ভরিয়ে তোলো
</poem>
== 118 ==
{{Status|done}}
<poem>
বরষা এসেছে, ভরসা এসেছে, চাতকের তৃষা মিটেছে
শুষ্ক তৃণেরা শ্যামল শোভায় গালিচার রূপ ধরেছে
জল পড়িতেছে ঝমাঝম্‌ করে অমরার সুধা যেন ঝরে' পড়ে
হারানো মাধুরী তরুতে ফিরেছে, জীবেরা নূতন প্রাণ পেয়েছে
(আজি) চলো ছুটে চলি লক্ষ্যের পানে দুরন্ত গানে দুর্দম প্রাণে
ফিরে' চাহিবার ঘুমে কাটাবার সব অবসর চলে' গেছে
আজ সব অবসর চলে' গেছে
</poem>
== 119 ==
{{Status|done}}
<poem>
মেঘ, তুমি কাছে এসো, কল চাই, আরো জল চাই
সবুজ ধানের চারা শুকাইয়া যায়, এক কণা জল নাই, জল নাই
নেবুর ফুলেতে আজও মধু ভরেনি, আতার ফুলেতে কোন ফল ধরেনি
বাতাবীর ফুল গন্ধে মাতেনি, এই নিদারুণ খরা থেকে ত্রান পেতে চাই
কদম্বকলি সব ঝরে' পড়ে' যায়, রজনীগন্ধা ফুল ফুটিতে না পায়
আগুনের হল্কায় মাটি পুড়ে' যায়, বর্ষার স্নিগ্ধতা কোথা খুঁজে' পাই
</poem>
== 120 ==
{{Status|done}}
<poem>
শারদপ্রাতে মোর একতারাতে শেফালীপগন্ধে মোর মন গানে মেতেছে
মন্দমধুর হাওয়াতে শিশিরে ভেজা মর্ত্যভূমিতে নৃত্যে তালে ধরা ছুটে চলেছে
(আজ) আলোর পথে নাই মেঘের মানা, নীলাকাশে পাখী মেলেছে সব ডানা
এই অবারিত পরিবেশে প্রাণের নবাবেশে উদ্বেল হিয়া কোথা' ভেসে' চলেছে
(আজ) প্লাবনের বারিধারা কমে' এসেছে, জেগে ওঠা-ভূমি নব সাজে সেজেছে
ভূলোক-দ্যুলোক মাঝে নন্দন-মধুসাজে কে গো নিজে ধরা দিলে সবার কাছে
</poem>
== 121 ==
{{Status|done}}
<poem>
আমি শরৎ সকালে শিশিরেতে ধুয়ে' শেফালীর মালা গেঁথেছি
আমি শেফালীর মালা গেঁথেছি
সাজাবো যতনে তোমার চরণে এই সাধ নিয়ে এসেছি
তখন শাদা মেঘরাশি আকাশেতে ভাসি' চলেছিলো মধু মাখিয়া
তখন দুলিতেছিলো সে সুরভি-রভসে কমল-কুমুদ হাসিয়া
আমি সেই পরিবেশে বসিয়া আবেশে মালাগুলি মোর গেঁথেছি
মালাগুলি মোর গাঁথা নয় শুধু ঝরা শেফালিকা কুড়ায়ে'
আছে মমতার গীতি প্রভাতের প্রীতি প্রতি পাপড়িতে জড়ায়ে'
আমি সারা সকালটি সব কাজ ফেলি মালাগুলি মোর গেঁথেছি
শুধু মৃদু হেসে' শুধু ভালোবেসে তোমার লাগিয়া এনেছি
</poem>
== 122 ==
{{Status|done}}
<poem>
পথিক, তুমি একাকী এসে' শিউলি-ঝরা রাতের শেষে,
দুয়ার আমার বন্ধ দেখে' দাঁড়িয়েছিলে পথেরই পাশে
ঘুমে আমার জড়ানো আঁখি, কিছু বা দেখি, কিছু না দেখি,
(তাই) রাতের শেষে হিমে ভিজে' তুমি ভোরে চলে' গেলে অরূপে ভেসে
আমার দ্বারের যূথিকা লতা এখনো বহে তব বারতা,
শিশিরের জল মুছিতে মুছিতে জেগে' আছে সে যে তোমারই আশে
সেই সময় যদি দ্বার খুলিতাম, কোন কিছু কথা কাণে কহিতাম
শারদ নিশীথে তাহারই সুরেতে ভাসিয়া যেতাম মিলে' মিশে'
</poem>
== 123 ==
{{Status|done}}
<poem>
শরৎ ওই আসে, ওই আসে, ওই আসে
শরৎ নাচের তালে তালে পা ফেলে' ফেলে'
মন্দাক্রান্তা ছন্দে ধরায় হাসে
শরৎ  শুধু নয় শেফালীর সুগন্ধতে
শরৎ  শুধু নয় শাদা মেঘের ভেলাতে
শরৎ  প্রাণে আসে, শরৎ মনে আসে
শরৎ  ভুবনকে ভুলিয়ে মর্মে হাসে
শরৎ  শুধু নয় বাতাবী নেবুর গন্ধে
শরৎ  শুধু নয় কুশ-কাশ দোলার ছন্দে
শরৎ  প্রাণে আসে, শরৎ মনে আসে
শরৎ  ভুবনকে ভুলিয়ে মর্মে হাসে
</poem>
== 124 ==
{{Status|done}}
<poem>
শরৎ তোমার সুরের মায়ায় আকাশ-বাতাস মাতালো
দূর নীলিমার সুধারাশি ধরার জীবন রাঙালো
জলে ভরা সরিতারা, শ্যামলিমায় গাছপালারা
মধুর গন্ধে ফল-ফুলেরা সোণার স্বপন জাগালো
রজত রঙের মিষ্টি মেঘে সকল আশা আছে জেগে'
সকল ছন্দ ছুটছে বেগে তার পানে যে সব কিছুকেই নাচালো
</poem>
== 125 ==
{{Status|done}}
<poem>
(আজ) আকাশে তারার মেলা, ধরনী আত্মহারা
ফুলের সুবাসে মদির বাতাসে সবাই হাসিখুশীতে ভরা
আজ আলোধারা বহে' যায়, খুশীতে পাপিয়া গায়,
আজ মধুনিক্কনে রাতুল চরণে কে গো এলো প্রাণভরা
আজ সুধাধারা বহে' যায়, খুশীতে ত্রিলোক গায়
আজ সকল আকূতি মধুরসে মাখি' কে গো এলে মধুভরা
</poem>
== 126 ==
{{Status|done}}
<poem>
এক পরিক্রমার হলো অন্ত
দিন তিথি বহে' যায়, বৎসর চলে যায়
কত ফুল ঝরে' যায়, কত ফল পড়ে' যায়
কত উত্তাপে ছন্দে গানেতে কত উদ্বেগে অশ্রুধারাতে
বৎসর ছিলো মোর প্রাণে মিশে', আজি হায় হারাইয়া যায়
অজানায় সরে' যায়
যারা আসে, আসে যাবার জন্যে
যারা যায়, যায় আসার জন্যে
দূর নীলিমায় যারা ভেসে' যায় তারা পুনঃ এসে' যায়
নব রূপে এসে' যায়
</poem>
== 127 ==
{{Status|done}}
<poem>
এক নূতনের সুর আজি বাজলো ফুলে ফুলে দোলা দিয়ে
ধরিত্রী নব সাজে সাজলো, সব ক্লেশ-বাধা দিলো ভুলিয়ে
আজ সুমুখে চলার পথে নেই কোন বাধা, কন্ঠভরা গান একই সুরে সাধা
আজ ভেদ ভুলে মিলে'মিশে' এগিয়ে চলো হেসে'
(চলো) সবাইকে সঙ্গে নিয়ে
নৃত্যের ছন্দে অমিত আনন্দে পরাণের পরাগের সুরভিত গন্ধে
নববর্ষের এই হর্ষের পরিবেশে
সে গো কোথা সবারে যে দিলো নাচিয়ে, দিলো মাতিয়ে
</poem>
== 128 ==
{{Status|done}}
<poem>
বৎসর, নব বৎসর, তুমি কল্যাণ এনো চারিদিকে
নূতন ভোরের হাতছানিতে নূতন ঊষার নবালোকে
বৃক্ষ-লতারা সবুজে ভরুক, বন্য পশুরা নিরাপদ হোক,
পাখীরা কণ্ঠে অমিয় ভরিয়া উড়িয়া বেড়াক দিকে দিকে
মানুষে মানুষে ভেদ দূর হোক, বুদ্ধির অপচয় রোধ হোক,
শক্তির সর্বনাশা প্রতাপ সংযত হোক সব দিকে
</poem>
== 129 ==
{{Status|done}}
<poem>
সুরের ধারা এগিয়ে চলে প্রাণের ধারার সাথে
ঝড়-ঝঞ্ঝা-বজ্র, স্নেহ-ভালবাসা-মধুর গেহ
সবাই আছে সুরে বাঁধা, আছে সুরে মেতে'
নব বর্ষের নূতন আলো তোমার সুরে সুর মেলালো
কোন কিছুই বেসুরো নয় লীলার এ জগতে
জানি বন্ধু, কাছেই আছো, সুখ-দুঃখের ভার নিয়েছো
কবে তোমার কথা ভেবে' ভেবে' ভাসবো তোমার স্রোতে
নব বর্ষের এই প্রভাতে তোমার হাসিতে হাসিতে
</poem>
== 130 ==
{{Status|done}}
<poem>
সোণালী ভোর জীবনে মোর আবার কি রে আসছে ফিরে'
শত ব্যাথার, শত বেদনার, শত লাঞ্ছনার আঁধার চিরে'
কত প্রদোষ, কর প্রভাত, কত শরৎ, বসন্ত রাত
কত আশা, কত ভরসা ভেসে' গেছে অশ্রুনীরে
পূর্বাকাশে অরুণ হাসে, বাতাস ভাসে ফ্যলসুবাসে
নন বর্ষে নব হর্ষে ব্যাথার স্মৃতি যায় যে সরে'
</poem>
== 131 ==
{{Status|done}}
<poem>
নব বর্ষে আলো আজি সবারে আনন্দ দিতে
ফুলে ফলে পাতায় রসে সুরভিতে মন মাতাতে
যারা চলে' গেছে দূরে, দূর হতে আরও দূরে
তারা আজও বেঁচে আছে সুরেরই সুধাঝঙ্কারে
(আজি) তাদের আশিস সুরের স্রোতে প্রেরণা দিক চলার পথে
চয় ঋতুর পরিক্রমা মেরু হিমের ওঠা-নামা
এই পরিবেশে এসে' প্রাণ ঢেলে' দিই সবার হিতে
</poem>
== 132 ==
{{Status|done}}
<poem>
জন্মতিথিতে নূতনের স্রোতে নূতনের আলো যেন পাই
ছন্দোময়ের ছান্দসিকতা নব ভাবে ভরে' নিতে চাই
যাহা দিবে তা' দু'হাত পেতে নোব, যা শোণাবে তাহা মর্মে রাখিবো
তোমার জীবন তোমাকেই দোব, তব নামে যেন মেতে' যাই
কচি কিশলয় পত্র হয়েছে, রক্তিমা-শামলিমায় ভরেছে
নব শক্তিতে নব সামর্থ্যে সবার কাজে লাগিতে চাই
নিরাশার গান গাইবো না আর, জীবনকে কভু ভাবিবো না ভার
অযুত ছন্দে মধুরানন্দে তব বাণি যেন বয়ে যাই
</poem>
== 133 ==
{{Status|done}}
<poem>
তব শুভ জন্মদিনে
প্রভাতের আলো নব রূপে আসে, নব ভাবে আসে ক্ষণে ক্ষণে
(আজ) আকাশে বাতাসে সুধা উপচিয়া যায়
খুশীর জোয়ারে উদ্বেল হিয়া কোথায় ভাসিয়া যায়
(আজ) পাওয়ার আনন্দে মোহন ছন্দে মধু স্মৃতি পড়ে মনে
আজ নীলাকাশে স্নিগ্ধ বাতাসে পাখীরা গাইয়া যায়
গাছের মুকুলে হাসিমাখা ফুলে মধু ধারা বহে' যায়
(আজ) সকলের কাছে সকলের মাঝে তোমারে পেয়েছি প্রাণে প্রাণে
</poem>
== 134 ==
{{Status|done}}
<poem>
জনম লগনে
(তব) জনম লগনে প্রভাতের আলো নব রূপে এলো নব আশ্বাসে
সকল চাওয়ার সকল পাওয়ার পূর্ণতা এলো স্মিত নীলাকাশে
আজ পাখীরা কী কথা কয়, ফুলে ফলে গাছ নত হয়ে' রয়
আজ মন্দ্রিত বনে মধুর পবনে সবাই নাচিছে নব উল্লাসে
আজ হাসিতে খুশীতে গীতে তৃপ্তিতে পূর্ণতা এলো নূতন বাতাসে
</poem>
== 135 ==
{{Status|done}}
<poem>
জন্মদিনে এই শুভ ক্ষণে প্রাণভরা অপার আনন্দে
অণুতে অণুতে প্রতি পরমাণুতে দোলা লাগে নব বর্ণ গন্ধে
খুশীতে বিভোর আপনহারা, সবাকার মন আবেশে ভরা
উদ্বেল হিয়া তোমারই লাগিয়া নেচে' চলে মোহন ছন্দে
ভালোবেসে এসেছো কাহটিতে রয়েছো, আলোর ছটায় আছো সবার আনন্দে
</poem>
== 136 ==
{{Status|done}}
<poem>
আজকের এই শিশুতরু ফলে ফুলে পত্রপুঞ্জে ঢেকে' দেবে তপ্ত মরু
জলসিঞ্চনে মমতার ডাকে আমরা সবাই বাঁচাবো তোমাকে
জলে ঝড়ে রোগে সব উপসর্গে তব সাথে মোরা আছি তরু,
ঊষর ধূসর ঢাকা পড়ে' যাক, মরুতৃষ্ণিকা লীন হয়ে' যাক
শ্যামলে কোমলে ছেয়ে' যাক সব বিশ্বের যত আছে মরু
</poem>
== 137 ==
{{Status|done}}
<poem>
(মোরা) বেশী কিছু নাহি চাই,
চাই একটু ভালোবাসা, ছোট্ট একটি বাসা
রোদে জলে হিমে মাথা গুঁজিবার ঠাঁই
জেনে' শুণে' অনাদর হতাদর করিবো না তোমাকে
(নিজে) যেমন থাকিবো তেমনি রাখিবো আমাদের এ গৃহকে
বাই মমতামদির শান্তির নীড়, এর বেশী চাহি নাই
ঝড়ে ঝঞ্ঝাতে অশনিনিপাতে তুমি আশ্রয়দাতা, মমত্বে তুমি পিতা
এই অবারিত স্নেহ, অনুপম গেহ চিরদিন যেন পাই
</poem>
== 138 ==
{{Status|done}}
<poem>
আমি  যেদিকে তাকাই হেরি ও রূপ কেবল
সে যে  বাহিরে ভিতরে রহে আলোঝলমল
সে যে  আকাশে বাতাসে ভাসে অমল আভায়
সে যে  পুষ্পে পুষ্পে হাসে মধুর আভায়
সে যে  হিয়া মাঝে গান গায় না-বলা ভাষায়
সে যে  নৃত্যের তালে আসে মধু দ্যোতনায়
তারে  কেমনে ভুলিব আমি
সে যে  দোলায় নাচায় সদা সপ্ত ভূমি
যদি  লুকোবার তরে যাই গিরিগুহাতে
যদি  নীল বেশে নীলাকাশে যাই ভুলাতে
আমি  যেদিকে তাকাই সে যে ঘিরিয়া আছে
হাসে  আঁখির তারায় কালো রঙেরই মাঝে
পাশরিতে যত চাই পাশরা না যায় গো, পাশরা না যায়
তারে ছেড়ে' বেঁচে' থাকা হলো এ কী দায় গো, হলো এ কী দায় গো
আমি যেদিকে তাকাই হেরি ও রূপ কেবল
সে যে আমারই মাঝে হাসে আলোঝলমল
</poem>
== 139 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি এসেছিলে নীরব নিশীথে হৃদাকাশ মোর আলো করিতে
(মোর) কোন গুণ নাই, তবু এসেছিলে, শিখাইছিলে ভালোবাসিতে
সলল প্রাণীকে ভালোবাসিতে
(আমি) যত ভুলি ভুলি করি তত জড়াইয়া ধরি
যত ভুলি ভুলি করি ভুলিতে যে নাহি পারি
তোমার সর্বনাশা সেই যে বাঁশী
বাঁশী দু'কূল প্লাবিয়া হৃদয় ছাপিয়া অশ্রু সরায়ে ভরায় হাসি
সর্বনাশা সেই যে হাসি, প্রাণ কেড়ে' নেওয়া সেই যে হাসি
প্রাণ কেড়ে' নেওয়া সেই যে বাঁশী
(তুমি) সকল ঋতুতে সকল তিথিতে মোর প্রাণে আছো জড়ায়ে
(আর) তনুতে তনুতে অণুতে অণুতে মোর প্রাণে আছো জড়ায়ে
জড়ায়ে আছো, মনের সঙ্গে জড়ায়ে আছো
তনু তনুতে অণুতে অণুতে মোর মনে আছো জড়ায়ে
জড়ায়ে আছো, মনের সঙ্গে জড়ায়ে আছো
তুমি এসেছিলে নীরব নিশীথে হৃদাকাশ মোর আলো করিতে
(মোর) কোন গুণ নাই, তবু এসেছিলে, শিখাইছিলে ভালোবাসিতে
সব কিছুকে ভালো বাসিতে
</poem>
== 140 ==
{{Status|done}}
<poem>
(আছো) কবরীবেণীরে কালো ডোর হয়ে' কালোয় কালোয় মিলে' গো
(আছো) কপালের টিপে চোখের কাজলে, কাছে তবু নাহি দেখি গো
(এই) অপরূপ লীলা লুকোচুরি খেলা কেন তাহা নাহি বুঝি গো
আমার সুখের শেষ নাহি যে
তোমায় পেলাম এত কাছে, আমার সুখের শেষ নাহি যে
(আমি) হারাই হারাই সদা ভয় পাই, কেন পাই তাহা নাহি জানি
ভাবিবো না ভাবি, আরো বেশী ভাবি, কেন ভাবি তাহা নাহি জানি
আমি যুগ যুগ ধরি' বসে' আছি জাগি' প্রাণের প্রদীপ জ্বেলে'
মোর প্রাণের প্রদীপ জ্বেলে', মোর মনেরই ডানা মেলে'
সম্মুখে এসে দাঁড়াও গো হেসে' মধুর চরণ ফেলে'
তব মধুর চরণ ফেলে', তব রাতুল চরণ ফেলে'
আছো কবরীবেণীতে কালো ডোর হয়ে কালোয় কালোয় মিশে' গো
মোর কপালের কালো তিলে গো, মোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে' গো
</poem>
== 141 ==
{{Status|done}}
<poem>
(সে যে) আকাশে সাগরে বনে কান্তারে লতায় পাতায় লুকায়ে রয়
শারদ নিশীথে শেফালী ফুলেতে গন্ধে গন্ধে ভরিয়া রয়
বিশ্বের রূপ যাহার রূপেতে তাকে কি কখনো ভোলা যায়
ভোলা যায় না, যায় না, যায় না, যায় না
বিশ্বের আলো যাহার আলোতে তার থেকে দূরে থাকা কি যায়
থাকা যায় না, যায় না, যায় না, যায় না
তার থেকে দূরে থাকা যায় না, যায় না, যায় না
তাকে কভু দূরে রাখা যায় না, যায় না, যায় না, যায় না
(যদি_ কুসুমবাস নিয়ে ফুটি কোন নির্জন বন-তরুশাখে
সে যে কিশলয় হয়ে রক্তিমাভাতে চারি পাশে মোর ঘিরে' থাকে
(আমি) এই ঘিরে থাকাটাই চাই, দূরে নাহি যেতে চাই
(সে যে) আকাশে সগরা বনে কান্তারে ল্পতায় পাতায় লুকায়ে রয়
প্রভাত নিশীথে সকল ফুলেতে গন্ধে গন্ধে ভরিয়া রয়
সে যে গন্ধে গন্ধে ভরিয়া রয়
</poem>
== 142 ==
{{Status|done}}
<poem>
আকাশে সাগরে
আকাশে সাগরে যেখানে মিশেছে তার চেয়ে আরও দূরে,
নিয়ে যাও মোর হাতখানি ধরে' সেই দিগন্ত পারে
নিয়ে যাও হে, হাতখানি ধরে' মোর নিয়ে যাও হে
নিয়ে যাও মোর হাতখানি ধরে' সেই দিগন্ত পারে
(আমি) ভেসে যেতে চাই অরূপে আলোতে লোকাতীত তব সুরে
যত বার ভাবি দেখিবো না আমি তোমাকে আমার মনে
তাকাইয়া দেখি বসে' আছো তুমি আলো করে' মনে গোপনে
প্রভাতে নিশীথে সকল তিথিতে সব খানে আছো তুমি
বাহিরে ভিতরে হৃদয়ে গভীরে কভু একা নহি আমি
একাকী নহি গো,  কোনো খানে কভু আমি একাকী নহি গো
বাহিরে ভিতরে হৃদয়ে গভীরে কভু একা নহি আমি
একাকী নহি গো, কোনো খানে কভু আমি একাকী নহি গো
বাহিরে ভিতরে হৃদয়ে গভীরে কভু একা নহি আমি
আকাশে সাগরে
আকাশে সাগরে যেখানে মিশেছে তার চেয়ে আরও দূরে,
নিয়ে যাও মোরে ছন্দে ও সুরে ওই দিগন্ত পারে
</poem>
== 143 ==
{{Status|done}}
<poem>
আহা কী শুণিলাম
আহা কী শুণিলাম মধুক্ষরা নাম, বিনা মূল্যে আমার বিকালো জীবন
(নাম) কেমনে পশিল কর্ণে, কেমনে ছোঁয়া দিলো মর্মে
নামেরই ছন্দে মধুরানন্দে উদ্বেল ধরা নিলো তারই শরণ
নামেরই দোলাতে দুলিতে দুলিতে তার স্রোতে আমি যাই ভেসে' ভেসে'
নামেরই আলোতে হাসিতে হাসিতে তার সনে আমি থাকি মিলে'মিশে'
মিশিয়া থাকি গো
তাহারই সঙ্গে আমি মিশিয়া থাকি গো
নামেরই আলোতে হাসিতে হাসিতে তার সনে থাকি মিশি'
(আমি) তাহারই আলোর অরুণ রাগেতে রঙে রঙে তারে রাঙাইবো
(তার) মধুর নামটি মধুর ভাবেতে সকল বিশ্বে ছড়াইব
ছড়ায়ে' দেব গো
মধুর নাম মধুর ভাবেতে ছড়ায়ে' দেব গো
তার মধুর নামটি মধুর ভাবেতে সকল বিশ্বে ছড়াইব
আহা কী শুণিলাম প্রাণভরা নাম, বিনা মূল্যে আমার বিকালো জীবন
</poem>
== 144 ==
{{Status|done}}
<poem>
এসো ধীরে ধীরে চরণ ফেলে' মোর মনের গভীরে
আমি অর্গলগুলি দিয়েছি খুলে' স্বাগত জানাতে প্রাণ ভরে'
বেলা বহে' যায়, বিহগ ব্যাথায় সন্ধ্যা ঘনায় মধুর মায়ায়
সন্ধ্যা দীপটি নিয়ে' এসো ভিতরে চারিদিক আলোকিত করে'
তব প্রাণের দোলায় প্রাণ মোর দুলে' যায়
তব সুরের মায়ায় মন মোর মেতে' যায়
মাতিয়া যায় গো
সুরের মায়ায় মন মাতিয়া যায় গো
(আছো) দখিনা পবনে মধুর স্বপনে দিক্‌দিগন্ত ঘেরিয়া
(আছো) প্রাণের প্রদীপে হৃদয়ের নীপে সব কিছু মোর ভরিয়া
ভরিয়া আছো গো
সব কিছু আমার ভরিয়া আছো গো
এসো ধীরে ধীরে চরণ ফেলে' মোর হিয়ার মাঝারে
</poem>
== 145 ==
{{Status|done}}
<poem>
দূর নীলাকাশে দখিনা বাতাসে ফুলের সুবাসে মন মধু মাসে
(তোমায়) মন সদা খুঁজে' পেতে চায়
উদ্বেল হিয়া তোমারই লাগিয়া সদাই ছুটিয়া চলে' যায়
ছুটিয়া যায় গো, তোমার পানেতে সে যে ছুটিয়া যায় গো
উদ্বেল হিয়া তোমারই লাগিয়া সদাই ছুটিয়া চলে' যায়
আমার মনের ঈশান কোণেতে মেঘ শত শত জমেছিলো
তব সোণালী আলোতে অমল হাসিতে তারা সব কোথা' ভেসে' গেলো
এই অরুণ প্রভাতে আলো-ঝরা প্রাতে মোর মন দাও রাঙিয়ে'
মোর সব লাজ দাও সরিয়ে'
(মোর) সব ভয় দাও সরিয়ে', দাও সব ক্ষুদ্রতা সরিয়ে'
সরিয়ে' দাও গো, — মোর সব ক্ষুদ্রতা সরিয়ে দাও গো
এই অরুণ প্রভাতে আলো-ঝরা প্রাতে মোর মন দাও রাঙিয়ে'
দূর নীলাকাশে দখিনা বাতাসে মন সদা খুঁজে' পেতে চায়
তোমায় মন সদা খুঁজে' পেতে চায়
মোর মন সদা খুঁজে' পেতে চায়
</poem>
== 146 ==
{{Status|done}}
<poem>
অযুত ছন্দে এসেছিলে তুমি নাচিতে নাচিতে হাসিতে হাসিতে
(তব) ধ্বনির রণনে হিয়ার মননে এসেছিলে, নূপুরনিক্কনে চরণে চরণে
ধ্বনির রণনে এসেছিলে, হিয়ার মননে এসেছিলে, নূপুরনিক্কনে এসেছিলে
আসিয়াছিলে গো, ধ্বনীর রণনে তুমি আসিয়াছিলে গো
হিয়ার মননে তুমি আসিয়াছিলে গো, নূপুরনিক্কনে আসিয়াছিলে গো
ধ্বনির রণনে হিয়ার মননে আসিয়াছিলে তুমি
হিয়ার মননে নূপুরনিক্কনে আসিয়াছিলে তুমি
যদি ফুল হয়ে তরুশাখে ফুটি তুমি সুবাস হইয়া ভরে' থেকো
যদি আকাশ হইয়া দূরে ফুটি তুমি নীল রঙ হয়ে' ঘিরে থেকো
ঘিরিয়া থেকো গো
আমায় সব দিক দিয়ে তুমি ঘিরিয়া থেকো গো
অযুত ছন্দে এসেছিলে তুমি নাচিতে নাচিতে হাসিতে হাসিতে
</poem>
== 147 ==
{{Status|done}}
<poem>
আলো-ঝলমল মধুর নিশীথে তুমি এসেছিলে মোর মনে
তুমি এসেছিলে ক্ষণেকের তরে মনের নিত্য মধুবনে
আসিয়াছিলে গো, ক্ষণেকের তরে তুমি আসিয়াছিলে গো
মনের মধুবনে আসিয়াছিলে গো
পুষ্পে পুষ্পে তব মধুরিমা, মহা সমদ্রে তোমারই মহিমা
দূর নীলিমায় তোমারই গরিমা ভেসে' যায় যত প্রাণে প্রাণে
ভাসিয়া যায় গো, পুষ্পের মধুরিমা ভাসিয়া যায় গো
নীলিমার গরিমা ভাসিয়া যায় গো, ভাসিয়া যায় গো
অণু-পরমানূ মোর হলো যে বিভোর গো
প্রতি অঙ্গ লাগি' অঙ্গ কাঁদে যে মোর গো
প্রতি অণু-পরমাণু বিভোর যে মোর গো
প্রাণের সকল ভাব ভেসে' যায় তা'র পানে
হিয়ার ছন্দ সব ছোটে যে তাহার তানে
ছুটিয়া যায় গো, হিয়ার ছন্দ সব ছুটিয়া যায় গো
প্রাণের সকল ভাব ভাসিয়া যায় গো, ভাসিয়া যায় গো
আলো-ঝলমল মধুর নিশীথে তুমি এসেছিলে মোর মনে
তুমি এসেছিলে জাগাইয়া দোলা মনের নিত্য মধুবনে
</poem>
== 148 ==
{{Status|done}}
<poem>
আলোর পারে আলোরই ঢেউ, আলোয় ভুবন ভরা
আলোর সাগর ভরে' দিলে তুমি, আলোয় হৃদয় ভরা
তোমার আলোয় হৃদয় ভরা
আমি ক্ষুদ্র দীপের শিখা, মোর ললাটে কাজল-টীকা
তবু তোমাকে আমি ভালোবাসিয়াছি, হয়েছি আত্মহারা
ভালোবেসেছি গো, তোমাকেই আমি ভালোবেসেছি গো
ক্ষুদ্র শিখা হলেও ভালোবেসেছি গো
তোমাকেই আমি ভালোবাসিয়াছি, হয়েছি আত্মহারা
আমার বুঝিবার কিছু নাই, আমার জানিবার কিছু নাই
সকল বোঝার সকল জানার শেষ কথা হলে তুমি
এতটুকু বুঝি আমি, আতটুকু জানি আমি
ক্ষুদ্র শিখাটি তোমার আলোয় হারা,
তোমার অসীমে আমি যে রয়েছি ভরা
ভরিয়া আছি গো, তোমার অসীমে আমি ভরিয়া আছি গো
তোমার আলোয় শিখা হারা যে হয়েছি
আমি ভরিয়া আছি গো, তোমার অসীমে আমি ভরিয়া আছি গো
আলোর পারে আলোরই ঢেউ, আলোয় বিশ্ব ভরা
</poem>
== 149 ==
{{Status|done}}
<poem>
মধুর স্বপনে মনেরই গহনে তোমারে দেখেছি বারে বারে
(আমি) তোমারে দেখেছি বারে বারে
হৃদয়েরই পুরে মোহন নূপুরে স্পন্দন দিলে শত ধারে
(তুমি) স্পন্দন দিলে শত ধারে
তব সুরেতে সরিতা বয়, তব রণনে হরিণী চেয়ে' রয়
(তব) পরশে যত অণু-পরমাণু ঐকতানেতে কথা কয়
(তারা) ঐকতানেতে কথা কয়
কথা যে কয় গো, ঐকতানেতে তারা কথা যে কয় গো
পরশে যত অণু-পরমাণু ঐকতানেতে কথা কয়
মন দেশ-কাল ভুলে' যায়, সবে দেশাতীতে কালাতীতে ধায়
সব সংবেগ সব ভাবাবেগ সব ছেড়ে' তোমা' পেতে চায়
মধুর স্বপনে — মধুর স্বপনে মনেরই গহনে
তোমারে পেয়েছি শত ধারে মধুর স্বপনে
</poem>
== 150 ==
{{Status|done}}
<poem>
বল দাও, মোরে বল দাও, সব বন্ধন ছিঁড়ে' দিতে চাই
সুর দাও, আরও সুর দাও, সদা যেন তব গান গাই
পাওয়া না-পাওয়ার আশা-নিরাশায় মনকে কখনো যেন না জড়াই
এই মহাস্পন্দন মাঝে একটুকু নাড়া দিয়ে যেন যাই মিশে' তোমারই কাজে
মিশিয়া যাই গো, একটুকু নাড়া দিয়ে যেন যাই মিশে' তোমারই কাজে
তোমারই কাজে আমি মিশিয়া যেতে চাই
একটুকু নাড়া দিয়ে যেন যাই মিশে' তোমারই কাজে
এই গতানুগতিকতায় মন থেমে' যেতে নাহি চায়
দেখে' নিতে চায় সুরের সুধায় বসুধায় শতেক ধারায়
দেখে যে নিতে চায়, সুরের সুধায় সে যে দেখে যে নিতে চায়
এই বসুধায় সে যে দেখে' যে নিতে চায়
শতেক ধারায় সে যে দেখে' যে নিতে চায়
দেখে' নিতে চায় সুরের সুধায় বসুধায় শতেক ধারায়
বল দাও, মোরে বল দাও, সব সংস্কার ভেঙ্গে' দিতে চাই
সুর দাও, আরও সুর দাও, সদা যেন তব গান গাই
</poem>
== 151 ==
{{Status|done}}
<poem>
এসেছিলে তুমি প্রভু অন্ধকারের পার হ'তে
তোমা লাগি বসেছিনু যুগে যুগে দিনে রাতে
কত তিথি গেছে ঝরে', কত তারা খসে' পড়ে'
তবু আমি ছিনু জেগে' চেয়ে' তব আসা-পথে
(আমার) সব আশা আলোয় ভরে' এসেছিলে মধুরাতে
</poem>
== 152 ==
{{Status|done}}
<poem>
চম্পক-বনে মধুর স্বপনে তাহাকে দেখেছি মায়ামুকুরে
শান্ত বাতাসে মদির সুবাসে মুগ্ধ নয়নে সরিতা তীরে
সেথা কুসুম-পরাগ অলকে আসিয়া অলকে ভাসিয়া যায়
সেথা মনে ময়ূর নীলাকাশে চাহি' কলাপ মেলিয়া দেয়
জ্যোৎস্না-নিশীথে বিজন বীথিতে ভালোবাসা নাচে তাকে ঘিরে' ঘিরে'
</poem>
== 153 ==
{{Status|done}}
<poem>
আলোর পারেতে আলো, তারপরে আরো আলো
অপার আলোর ঢেউ বয়ে' চলে' যায়
যা'র লাগি' এত আলো, সে আমারে বাসে ভালো
মোর মনে তা'র ছবি ভাসিয়া বেড়ায়
কখনো বা অতি কাছে, কখনো বা অতি দূরে
নানান রূপে নানা গানে ও সুরে
সবাইকে দোলা দিয়ে' নেচে' সে যে যায়
মনের কমল কত বর্ণে বিকশিত, গন্ধমধু নিয়ে তারই পানে ধায়
</poem>
== 154 ==
{{Status|done}}
<poem>
প্রভু, এসো এসো আমার হৃদয়ে
রাতুল চরণ, মধুর আনন, মিষ্টিমধুর হাসি নিয়ে'
তব নামে প্রাণে শিহরণ জাগে, রঞ্জিত হই তোমারই রাগে
যায় তব গানে তব নাচে সব কিছু মোর মিলিয়ে'
প্রাণে প্রাণে ধ্যানে ধ্যানে যাই যে আমি হারিয়ে'
</poem>
== 155 ==
{{Status|done}}
<poem>
কেন অমন করিয়া ডাকিতেছো আমায়
হাজার কাজেতে জড়ায়ে রয়েছি দিতে কি পারি সময়
আমি দিতে কি পারি সময়
ছন্দে ও সুরে মধুময় তানে আলাপে আবেশে সুধামাখা গানে
কাজের মাঝারে সাড়া দিই কী করে', বোঝ না কি মনোময়
তুমি বোঝ না কি মনোময়
কাজের পেছনে কাজ জমে' আছে, বেলা যে বহিয়া যায়
মোর বেলা যে বহিয়া যায়
</poem>
== 156 ==
{{Status|done}}
<poem>
এগিয়ে' চলো, এগিয়ে' চলো, সবাইকে নিয়ে এগিয়ে' চলো
রক্তিমারুণ সামনে দাঁড়িয়ে, তাহারই পানে এগিয়ে' চলো
দেশে দেশে যাও ভাইয়ের মতন সবাকার ব্যাথা করিয়া স্মরণ
বিশ্বমানব পরিবার আজ তোমাকে ডাকিছে আঁখি-ছলোছল
সরাইয়া দাও সব ব্যাথাভার, মুছাইয়া দাও সব আঁখিধার
সবার সেবার তুমি আসিয়াছো, এই কথাটাই বুঝিয়ে' বলো
</poem>
== 157 ==
{{Status|done}}
<poem>
না চিনিয়াই যাহাকে ডেকেছি সে যে এসেছিলো স্বপনে
রঙীন মেঘের রামধনু রঙে তাহাকে দেখেছি গোপনে
রুনু-ঝুনুঝুনু নূপুর রণনে হিয়া উপচিয়া মোহন মননে
বুঝিয়াছি আমি যাহাকে দেখিনি সে যে ছিলো মোর নয়নে
সব কিছু জানা হলেও তাহাকে যত জানি তত জানি নে
</poem>
== 158 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি সবার মনে আছো, সবাই তোমার মনে আছে
দুঃখে সুখে না জেনে' তাই সবাই তব কৃপা যাচে
এসো কাছে, এসো আরো কাছে, সবাই তব কৃপা যাচে
তুমি সবার ব্যাথার ব্যাথী, নিত্যকালের তুমি সাথী
তব মোহন বাঁশী আর মোহন হাসি বাঁধভাঙ্গা সুখ দেয় উপচে'
আঁধার সাগরপারে তুমিই আলো, সবার চেয়ে বাসো বেশী ভালো
স্বপনঘোরে আনমনে তাই তোমারই ছন্দে সব নাচে
</poem>
== 159 ==
{{Status|done}}
<poem>
প্রভু, আমি ভালবাসি, তোমায় ভালবাসি
তব নয়ন-ভুলানো মধুর হাসি ভালবাসি
ব্রততী-তরুতে কুসুমরেণুতে নভোনীলিমায় সরিতার স্রোতে
ছড়ায়ে' দিয়েছো মধুর হাসিটি সকল তমিস্রা নাশি'
গিরিকন্দরে মহোদধিতলে অণুতে অণুতে ভাবের অতলে
রহিয়াছো তুমি চিরজাগ্রত মনের মধুকোরকে ভাসি'
</poem>
== 160 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমাকে পেয়েছি প্রভু স্মরণে মননে
নির্মল আকাশে, চম্পক সুবাসে, রাগে অনুরাগে ভরা হৃদয়ে বিজনে
মমতার পরশে আলোকের হরষে ধরণীর স্নেহভরা দোলা-দেওয়া রণনে
অভ্রংলেহী গিরি তোমাকে প্রণতি করি' নত শির চেয়ে আছে তুহিন্স্রবণে
</poem>
== 161 ==
{{Status|done}}
<poem>
(তব) গানের সুরে পরাণ আমার যায় ভেসে' সুদূরে
অণুতে অণুতে সে যে গাঁথা, উত্তাল জলধিতে তারই কথা
মহাকাশের মায়াভরা মহাছন্দে সব কিছুর ভিতরে সে যে ভরে'
মনের মণিকোঠায় তারই আসন, চিত্তেরই দোলাতে তারই দোলন
হিয়ার উদ্বেলতা তারই স্পন্দন, বাহিরে ভিতরে আছে ঘিরে'
</poem>
== 162 ==
{{Status|done}}
<poem>
কিছু ক'য়ে যাও, কিছু শুণে যাও, অত তাড়াতাড়ি যেও না
মহানভোনীলে তোমারই নিখিলে আমারে মুছিয়া ফেলো না
মিলাইয়া দাও তোমাতে আমারে শত পথ বেয়ে শত ধারা ধরে'
মনের কুসুম-কোরকের মধু শুকাইয়া যেতে দিও না
ভালোবাসিয়াছি তোমারেই আমি দুঃখে সুখেতে দিবস-যামী
পঙ্কে কমল ফোটায়ে' রেখেছি, দলগুলি তার ছিঁড়ো না
</poem>
== 163 ==
{{Status|done}}
<poem>
মনকে কোন ছোট কাজেই নাবতে দোব না,না না না, নাবতে দোব না
ধ্যানের আলোয় বসিয়ে দোব, করবো নতুন ধরা রচনা
ভূলোক দ্যুলোক আমারই আশে চেয়ে' আছে রুদ্ধ আবেশে
তাদের আশা পূর্ণ করে' বহাবো প্রাণের ঝরণা
অশ্রু মুছে আনবো হাসি, কান্না সরে' বাজবে গো বাঁশী
মাটির 'পরে আসবে সুদিন, ক্লেশ-যাতনা কারও রবে না
</poem>
== 164 ==
{{Status|done}}
'''Note''' Please check the spelling নূতন in the second line. In the book it is নুতন. I used the spelling I knew. Else it might be নতুন na{{~~|t}}un
<poem>
কে নিবি আয়, আয় ছুটে' আয়, প্রাণের পসরা এসেছে
মাধুরী ভরিয়ে মনকে রাঙিয়ে নূতন প্রভাত এসেছে
স্থলে জলে আর আকাশে বাতাসে পলে অণুপলে মদির সুবাসে
শত দীপে জ্বেলে আলোকের মালা নবতর দেশে এনেছে
আনন্দঘন মধুর আবেশে নিখিল ভুবন হেসেছে
</poem>
== 0165 ==
{{Status|done}}
<poem>
পায়ে চলার  পথের কথা  আরো আছে গো  আরো আছে
তারই দিকে  যায় যে চলে  আলোর পথে  আলোর নাচে
সবার সাথে  হাত মিলিয়ে'  যাই যে মোরা  যাবো মোরা
হাতটি ধরে'  তুলবো তাদের  পড়িয়া যায় যারা যারা
পায়ে চলার  ছন্দগীতি  প্রাণের মাঝে  মনের মাঝে
চাই যাহারে  সে চায় মোরে  চলার পথে  শেষে সে রাজে
</poem>
== 166 ==
{{Status|done}}
<poem>
আলোকের ঢেউ আঁধার ভেদিয়া অসীমের পানে যায়
সবাইকে ডাক দিয়ে' সে যে যায়
সবাইকে দোলা দিয়ে যায়, যায় যায় যায়
মনমঞ্জরী তারই তালে নাচে, শিখী-খঞ্জনী শুভাশিস যাচে
ভাবাবেগভরা দ্রুতিময় বেগে সব কিছু কাছে টেনে' নেয়, নেয় নেয় নেয়
অতীতে যা ছিলো, এখন যা' আছে
যাহা থাকিবে তা' এক করে' দেয়, দেয় দেয় দেয়
</poem>
== 0167 ==
{{Status|done}}
<poem>'
বিশ্বত্রাতার চরণের রেণু ছড়ায়ে রয়েছে নিখিলে
আছে নিখিলের কোণে কোণে
সবাকার মনে অণুতে অণুতে লুকাইয়া আছে গোপনে
বাহিরে যতই খুঁজিয়া বেড়াই, বাহির বিশ্বে দেখিতে না পাই
বাহির ভিতর এক করে' দেখি, আছে তাহা সবখানে
{তাকে} ভালবেসে' পাবো, মমতায় পাবো, পাবো প্রাণের অনুরণনে
</poem>
== 0168 ==
{{Status|done}}
<poem>'
আজ অরুণে রাঙানো সব আশা, সার্থক হলো ভালোবাসা
আজ সার্থক হলো ভালোবাসা
ফুলভারে ভরা বনলতা, আজ আনন্দে নত মনলতা
মাধুর্যে ভরা সব ভাষা, সার্থক হলো ভালোবাসা
এসো আলোর সাগর পানে পাড়ি দিই, ভালোর সব কিছুই মেনে' নিই
এসো ভালোর সব কিছুই মেনে' নিই
এসো ভাবের মধুরিমায় গেয়ে' যাই ভুকে' অতীতের কাঁদা-হাসা
এসো মমতার টানে সবাকার গানে গানে করি মেলামেশা
করি মধুমাখা মেলামেশা, সার্থক করি ভালোবাসা,
আজ সার্থক হলো ভালোবাসা
</poem>
== 169 ==
{{Status|done}}
<poem>
এসেছিলে প্রভু ঘুম ভাঙ্গাতে, চেতনার পথে নিয়ে যেতে,
আমায় চেতনার পথে নিয়ে যেতে
তোমারে ভুলিয়া বিপথে চলেছি, পারিনি নিজেকে কাজে নিতে
কত দিন গেছে, সন্ধ্যা হয়েছে, কত বিভাবরী কাঁদিয়া কেটেছে
চলিতে পারিনি পথ পাইনি গো, আপনি এসেছো নিতে সাথে
আজ আপনি এসেছো নিতে সাথে
সব যাতনার শেষে হতাশার শেষ হ'লো তুমি এসে যেতে
</poem>
== 170 ==
{{Status|done}}
<poem>
সবার আপন, তুমি সবার আপন, সবার সঙ্গে আছো ভরে' জীবন
ফুলের মাঝে তুমি মধুনির্যাস, মনের মাঝে তুমি রঙের বিকাশ
হারানো দিনগুলির হাল্কা সুবাস, প্রাণে মনে রহিয়াছো সদা চেতন
তুমি প্রাণে মনে রহিয়াছো সদা চেতন
তোমাকে জানিতে গেলে অজানা হও
তোমাকে বুঝিতে গেলে না-বোঝা রও
তোমাকে ধরিতে গেলে ধরা যে দেয়
ধরা দেয় তব ওই মোহন চরণ, তব মোহন আনন
</poem>
== 171 ==
{{Status|done}}
<poem>
মনমঞ্জুষা মোর সতত জাগিয়া আছে
তব আসা-পথ চেয়ে ওগো মোর প্রভু
এসো তুমি গানে নাচে, আরও কাছে আরও কাছে
হৃদয়-দুয়ার বন্ধ করি না কভু
এসো তুমি ধূপে দীপে, কুসুম-মধু পরাগে
স্নিগ্ধ শিশিরে ধোয়া রাগে অনুরাগে
নির্বাত দীপশিখা সদাই জ্বলিয়া আছে
তোমার আরতি লাগি', বিশ্ববিভু
যতই ঝটিকা আনো, রুদ্র অশনি হানো
মোর দীপ নিবাইতে পারিবে না তবু
</poem>
== 172 ==
----
[[File:Fairytale bookmark gold.svg|20px]] {{grey|Please do not remove this line from this document page. [[User:Tito Dutta]] has marked this song as one of his favourite ''Prabhat Samgiita'' songs.}}
----
{{Status|done}}
<poem>
তব কৃপা বিনা আমার তরণী অকূলে ভাসিয়া যায়
কোন কথা আমি শুণিতে চাহিনি, কোন জ্ঞান আমি পাইতে চাইনি
শুধু চাহি তুমি কাছটিতে এসো, দু'হাত বাড়ায়ে ধরিবো পায়
কর্মের দম্ভকে ভয় করি, জ্ঞানের অস্মিতা সহিতে না পারি
(তাই)  নীরবে আসিয়া কাছটিতে বসো, প্রাপ্তির সুখে সুধা ঝরায়
যেন প্রাপ্তির সুখে সুধা ঝরায়
তোমাতেই কর্ম, তোমাতেই জ্ঞান, তোমাকে পাইলে সব পাওয়া যায়
</poem>
== 173 ==
{{Status|done}}
<poem>
দ্যুলোকে ভূলোকে তারই পদধ্বনি, তাহারই রণনে অনুরণন
হিমানীগিরির শুভ্র শিখরে নীলোদধি-ঢেঊয়ে তারই লিখন
লতায় পাতায় কুসুমরেখায় মনের কোণেতে রঙীন মেলায়
সকল ভোলার শেষ ভাবনায় থেকে' যায় শুধু তারই স্পন্দন
(তাই) ডাক দিয়ে দিয়ে বলে' চলে' যাই, তারই ধারা করো অনুসরণ
</poem>
== 174 ==
{{Status|done}}
<poem>
আমার মনেতে তুমি, সবার মনেতে তুমি
সবাই তোমার মনে, তোমারই শরণ চায়
উত্তুঙ্গ গিরি তোমাকে প্রণতি করি'
তোমার চরণরজে শান্তির খোঁজে যায়
যত দূর আমি চাই, তুমি ছাড়া কিছু নাই
তোমা' হতে আসিয়াছি, তোমাতে মিলিয়া যাই
তোমার যতেক লীলা, যত লুকোচুরি খেলা
সবারে সঙ্গে নিয়ে অসীমের পানে ধায়
তোমাকে ভুলিয়া থাকা, নিজেকে ভুলিয়ে' রাখা
অন্ধ তমিস্রাতে সে যে হারাইয়া যায়
</poem>
== 175 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমার গোপন কথা আনন্দঘন দিনে
আজিকে ভরিয়া দিও নূতনের গানে গানে
সবাই নিকটতম, সবাই মমতাঘন প্রাণাধিক প্রিয় গান
বহে দাও প্রাণে প্রাণে
তাহারই ছন্দে ধরণী আজিকে নবতর রাগে গায়
মূর্চ্ছনা দিতে সকন প্রাণীকে সুরে সুরে মূরছায়
আজ সকল মনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আশা ভরে' দাও তানে তানে
ভুবন-ভোলানো ভাস্বর দীপ হ্বেলে' দাও আজ প্রাণে প্রাণে
</poem>
== 176 ==
{{Status|done}}
<poem>
জীবনটা নয় থেমে' থাকা ভাই, অরূপের পানে নেচে' চলি
কাঁদিবার তরে আসিনি আমরা, ছন্দে ও গানে কথা বলি
দূর নীহারিকা মহাকাচশে চলে, মনের মণিকা ভাবে লয়ে দোলে
ধূলিকণা সেও চলে পলে পলে, তৃণের বুকে ফোটে কলি
প্রাণের আকূতি চেতনার দ্যূতি সব নিরাশাকে চলে দলি'
</poem>
== 177 ==
----
[[File:Fairytale bookmark gold.svg|20px]] {{grey|Please do not remove this line from this document page. [[User:Tito Dutta]] has marked this song as one of his favourite ''Prabhat Samgiita'' songs.}}
----
{{Status|done}}
<poem>
তব পথ চেয়ে' আছি জানো না কি তুমি
কত দিন চলে' গেছে, কত নিশি হারায়েছে
তবু জেগে' বসে' আছি, বসে' আছি আমি
এ কী লীলাখেলা তব নিতি নিতি নব নব
ভেবেছো কি ছেড়ে দোব লীলাখেলার ভয়ে দমি'
মোর লাগি' সুমুখেতে আসিতে হইবে নামি'
</poem>
== 178 ==
----
[[File:Fairytale bookmark gold.svg|20px]] {{grey|Please do not remove this line from this document page. [[User:Tito Dutta]] has marked this song as one of his favourite ''Prabhat Samgiita'' songs.}}
----
{{Status|done}}
<poem>
তোমারই দেওয়া মনে তোমারই ভাবনাতে দিবানিশি মোর কেটে যায়
তুমি মোর ধ্রুবতারা, করো নাকো দিশাহারা
সব কিছু তাই তোমা' পানে ধায়
তোমারই দেওয়া প্রাণে বসে' তব ধ্যানাসনে
জীবনের স্রোত তব স্রোতে হারায়
সবাই তোমার মনে, তুমি সবাকার মনে
সকল ভাবনা তাই তোমাতে মিশায়
</poem>
== 179 ==
{{Status|done}}
<poem>
ধরা দিলে তুমি প্রভু ঝঞ্ঝা-ঝড়ের মাঝখানে
থেকো মনের শ্বেত কমলে যুগে যুগে সর্ব ক্ষণে
কত সন্ধ্যা রাঙা প্রভাত, গেছে কত না জ্যোৎস্না-রাত
হ'লো সময় হে জ্যোতির্ময় কালাতীতের ব্যবধানে
মোর প্রাণে মোর মনে এসেছিলে সংগোপনে
গোপনে সেই আসা তব জানিলো না বিশ্বজনে
</poem>
== 180 ==
{{Status|done}}
<poem>
সুপ্ত হৃদয় জাগিয়া উঠেছে, এগিয়ে চলেছে তব পানে
সব বন্ধন সব শৃঙ্খল ছিঁড়ে সে চলেছে গানে গানে
কোন মোহডোর বাঁধিতে নারিবে, কোন জড়তা না জড়াতে পারিবে
সব মোহডোর সকল জড়তা ছিঁড়ে ভেঙে যাব তব প্রাণে
প্রাণেতে প্রবল বারণের পরে লুতাতন্তুরা কত বল ধরে
অবহেলে তারে' অস্বীকার করে' চলে সে বিরাটের টানে
</poem>
== 181 ==
{{Status|done}}
<poem>
(তুমি) নিকট হইতে আর নিকটএতে এসো মোর মনোমাঝে
হিয়ার রণনে প্রাণস্পন্দনে নিত্য নূতন সাজে
অরূপ হইতে রূপেতে এসেছো ওগো অরূপের রাজা
(আজ) সার্থক হ'লো সকল এষণা, সার্থক হ'লো খোঁজা
(আজ) সবাই তোমারে চাহে প্রাণভরে
তুমি বিনা কারও কিছু থাকে না, বিশ্ব তা বুঝিয়াছে
</poem>
== 182 ==
{{Status|done}}
<poem>
সবার চিত্ত আজ একই সুরে উদ্গীত
একেরই ভাবনা নিয়ে সবাই নাচিয়া যায়
একেরই অপার স্নেহে, একেরই মধুর গেহে
একই মুখপানে চেয়ে সুমুখের দিকে ধায়
একেরই মমতাডোরে বাঁধা সবে ধরা পরে'
একেরই অমৃতস্রোতে সবাই মিলিয়া যায়
সবাকার রূপে রসে সবাকার ভাবাবেশে
সবারে সঙ্গে নিয়ে সুধাধারা বরষায়
</poem>
== 183 ==
{{Status|done}}
<poem>
গানের জগৎ কাছে পেয়েছি, পুরোনো জীবন ভুলে গিয়েছি
তোমাকে পেয়েছি, সব পেয়েছি, সব ছেলেখেলা ছেড়ে দিয়েছি
পতঙ্গ ধায় প্রদীপের দিকে, জানেনা সে ছোটে মরণের মুখে
চেতনকে ভুলে জড় নিয়ে থাকা মরণ যে তাহা বুঝে' নিয়েছি
ছুটিয়া চলিব তোমার পানেতে, মাতিয়া থাকিব তোমারই গানেতে
সকল চাওয়ার সকল পাওয়ার শেষ কথা তুমি, সার জেনেছি
</poem>
== 184 ==
{{Status|done}}
<poem>
রুনু ঝুনু ঝুনু রবে উদ্বেল সৌরভে সে এসেছে হৃদয়কে উদ্বেল করিয়া
বীণার ঝঙ্কারে আকুল করিল মোরে মোহনকে মনমাঝে ধরিয়া
উজাড় করিয়া দাও যত কিছু মলিনতা, নিঃশেষ করে' দাও যত জড়তার স্থবিরতা
ভুলে' যাও ব্যাথাহত যত কিছু দূরগত মোহনকে শতরূপে হেরিয়া
আজ সব ভাষা সব বাক্‌ নীরবে চলিয়া যাক
মনচোরে বারে বারে স্মরিয়া
</poem>
== 185 ==
{{Status|done}}
<poem>
দিনের আলোয় গানের তরী ভাসিয়েছিনু দূর আকাশে
আঁধারে তোমায় আমি কাছে পাবো তারই আশে
ঢেউয়ের তালে ছন্দ জাগে, মনেতে তার দোলা লাগে
ফেলে' গেলে দূর বিদেশে এঁকে চরণচিহ্ন চারিপাশে
(আজ) তারার গানে মনে প্রাণে বাইবো তরী ফুলসুবাসে
</poem>
== 186 ==
{{Status|done}}
<poem>
এসো আমার মনে, বসো আমার মনে, কও কথা ওগো প্রভু মনে মনে
ওগো অন্তরতম দেবতা আমার, এসো জ্ঞানে, এসো ধেয়ানে
নির্মল মাধুরী মধুর আবেশে স্বপ্নমদির বিজড়িত দেশে
হৃদয়-মাতানো কুসুম-সুবাসে এসো উৎকণ্ঠার অবসানে
আরো ছন্দে তানে, আরো গানে গানে, এসো প্রভু হৃদয়ের কোণে কোণে
নির্মল মাধুরী
</poem>
== 187 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমাকে চেয়েছি, চেয়েছি সব কাজে
হৃদয়ে তোমার ছবিটি যেন সদা রাজে
ধরায় এসেছি কাজে ব্যাস্ত থাকিতে গো,
তোমার ভাবের স্রোতে ভাসিয়ে থাকিতে গো
তোমার কৃপার কণা প্রচার করিতে গিয়া
মনে যেন তব সুর সদা বাজে
নিভৃত নিশীথে চন্দ্রতারকা সাথে
মনের ময়ূর যেন কলাপ নাচে
</poem>
== 188 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি নিজে এলে, ধরা দিলে কেন জানি না
ধরার ধূলায় নেবে এলে কেন বুঝি না
কত যুগে দিনে রাতে আলো-ছায়ায় হতাশাতে
কেটে' গেছে কত না কাল তা' কি জানো না
এলে শেষে নীরব রাতে মনোবীণায় সুর বাজাতে
কঠিন শিলায় ফুল ফোটাতে, দিতে দ্যোতনা
</poem>
== 189 ==
{{Status|done}}
<poem>
দুঃখের সাথী তুমি, সুখের বন্ধু, তুমি চোখের আড়াল মোরে করো না
বেদনার অশ্রুতে হাসির নির্ঝরেতে আমারে একলা ফেলে' রেখো না
নৃত্যের তালে তালে রাখো মোর মালা
রঙীন ফুলেতে দেখো সাজায়েছি ডালা
মৃদু হেসে' কাছে এসে' নিয়ে যাও ভালবেসে'
বিমুখ বিরূপ কভু হ'য়ো না
যাহা চাও তাহা দিতে যদিও বা নাহি পারি,
যাহা পারি তারে হেলা করো না
</poem>
== 190 ==
{{Status|done}}
<poem>
চম্পকবনে হারায়ে ফেলেছি আমার কবিতাখানি, সৌরভে হার মানি
ভিতরে না চাহি' বাহিরে চলেছি, শুণি নি তোমার বাণী
যত ছিলো ব্যাথা মরমেতে গাঁথা, যত ছিলো কথা হারায়ে গেছে তা
কার সুরভিতে এ বিবর্ত্তন বুঝেও বুঝিতে পারি নি
আমার কবিতা আমার গীতিকা আমার নহে তা জানি
</poem>
== 191 ==
{{Status|done}}
<poem>
(তুমি) পুষ্পেতে মধু এনেছো, তুমি সঙ্গীতে সুর দিয়েছো
তুমি আলোর সাগর উত্তাল করে', বিশ্বকে দোলা দিয়েছো
(তুমি) জ্যোৎস্নায় ভরা নীরব নীশিথে চেতনার গান গেয়েছো
(তুমি) অন্ধকারের গহ্বর মাঝে জাগরণ এনে' দিয়েছো
(তুমি) সবখানে আছো, সব কালে আছো, সব কালে ছিলে,থাকিবে
সকল মনের মর্মে বসিয়া অসীমের গান গাইবে
(তুমি) সকল চাওয়ার, সকল পাওয়ার ঊর্ধ্বলোকেতে এনেছো
</poem>
== 192 ==
{{Status|done}}
<poem>
মানস-মন্দিরে এসো প্রভু কৃপা করে', বেদীটি সাজায়ে আমি রেখেছি
অরূপ জগৎ থেকে এসো তুমি রূপলোকে, বসো আরো কাছাকাছি
প্রণের প্রদীপ জ্বালি' আরতি করি, মননের সৌরভে অর্ঘ্য ভরি
পরাণের কুসুমিত শতদলে বিকশিত পুষ্পস্তবক আজি এনেছি
জ্ঞানের গরিমা নাই, দম্ভের বোঝা নাই, হাল্কা হৃদয় নিয়ে এসেছি
</poem>
== 193 ==
{{Status|done}}
<poem>
আঁধার সাগরে পথ হারিয়ে জীবনের ধ্রুবতারা ভুলো না রে
হেরো তিমিরসাগর পারে, অরূপ চিতচোরে,
যে বা নাচে আঁধারকে ঘিরে' ঘিরে'
মানসবেদীতে রাখো তাজা ফুলরাশি
চিত্তকে ভরে' দাও শিশির ধৌত হাসি
মঞ্জুল মহাকাশে দেখো তার জ্যোতি ভাসে রূপাতীত চিন্ময় সাগরে
কোনো প্রার্থনা নয়, কোনো চাওয়া-পাওয়া নয়
দেখো তারে কাছাকাছি পরাণ ভরে'
</poem>
== 194 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমাকে ভুলিয়া' কে কোথা থাকিবে বলো
উচ্ছ্বল এই প্রাণের জগৎ তোমাতেই ঝলমল
তোমাকে ভুলিয়া যাহা কিছুই ভাবি তাহা শুধু কল্পনা
যা কিছুই বলি তাহা শুধু জল্পনা
তোমার পরশ বিনা সবই মিছে জাল বোনা, ধরণীর সব হাসি আলো
তোমার আশিস চেয়ে তোমার পরশ পেয়ে সকল কিছুই লাগে ভালো
</poem>
== 195 ==
{{Status|done}}
<poem>
এসো মোর প্রাণে, এসো মোর মনে, এসো নৃত্যের ব্যঞ্জনায়
ওগো রূপের সাগর, হিয়ার গাগর ভরিয়া দাও কানায় কানায়
কুসুমকলিরা আধফোটা যবে তোমার আলোকের আশায়
দূর নীলিমায় বাণীহারা সবে তোমার সুরের প্রতীক্ষায়
তোমার আলোতে তোমার সুরেতে নব স্পন্দন আনো ধরায়
যে বা ভালবাসে তাকে ভালবাসো, ভালবাসে না যে তাহাকেও ভালবাসো
মন বিনিময়ে সকল সময়ে ভরিয়া দাও প্রাণের সুধায়
</poem>
== 196 ==
{{Status|done}}
<poem>
'''কৃষ্ণ'''
আমারে কে নিবি ভাই, দিতে যে চাই বিলায়ে সব মনে
তোমাদের দ্বার যে বন্ধ পথাবরুদ্ধ, যাই গো কেমনে
'''ব্রজবালকেরা'''
এসো ভাই, আমরা সবাই তৈরী আছি তোমাকে ধরিতে
সরায়ে পত্থেরই উপল মনকে উজল করেছি আলোতে
'''কৃষ্ণ'''
তবে ভাই সবারে নাচাই, এসো গো সবাই স্মরণে মননে
তোমরা দূর কেহ নও, মোর মাঝে রও ভাবের স্পন্দনে
</poem>
== 197 ==
{{Status|done}}
<poem>
সাথী আমার, বন্ধু আমার, ছিলে তুমি কোন্‌ বিদেশে
আমার সকল হিয়ার বাঁধ ভেঙ্গে' যায়, তোমায় দেখে' ভালবেসে'
তুমি আছো, আমি আছি, তোমার দোলায় নেচে চলেছি
আজ সবকে ফেলে' আমার কাছে কেন এলে হেসে' হেসে'
আজ পরাণ ঢেলে তোমার সুরে নেচে' চলি ভেসে' ভেসে'
</poem>
== 198 ==
{{Status|done}}
<poem>
আমার এ মনোবীণা ছন্দহীনা বাজিবে শুধু সে যদি বাজায়
তাহারই সুরেতে সুর মিলিয়ে দিয়ে বাজাতে হবে বীণায়
সকল ভাবেতে সে শুধু হাসে, বসাতে গেলে বসে না পাশে
হিয়ার হাসি কোথা' যায় ভাসি', কোন্‌ বিদেশে সে য গো যায় হারায়
আঁখি পানে চায়, ধরা নাহি দেয়, নেচে' চলে' যায় সুরের মায়ায়
</poem>
== 199 ==
{{Status|done}}
<poem>
হিয়ার মাঝারে নীরব প্রহরে কে গো ডেকে যায় গানের ভাষায়
বলে এসো এসো, পাশে বসো বসো, কেন দূরে আছো এই অবেলায়
গেছে কত কাল রঙীন সকাল, কত সাঁঝের বেলা জীবনে উত্তাল
কেন আসিলে না, কেন বসিলে না, কেন না সাড়া দিলে যে তব সাড়া চায়
ওগো দূরগত, এ কোন মায়ায় ফুলডোরে বাঁধিলে আমায়
এত দিনে মোর হ'লো মহা দায়, এ ফুলমালা তব পরাবো গলায়
</poem>
== 200 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি এসেছো, মন যে কেড়েছো, ভুলায়ে দিয়েছো শতেক জ্বালা
ভাবের স্রোতে দিবস-রাতে সুরেতে গেঁথেছো গানের মালা
উল্কা-দহন হ'লো যে চন্দন তোমারই প্রাণের পরশ পেয়ে'
মরুর তৃষা হারায়ে দিশা কোথা' চলে' গেল শ্যামল ছায়ে
(আজ) সকল যাতনা সকল বেদনা হয়ে গেল দেখি ফুলের ডালা
বসিয়া বসিয়া হৃদয় মথিয়া নিজ পানে একা চাহিয়া চাহিয়া
এটাই বুঝেছি, মানিয়া নিয়েছি, তুমি ভালোবাসো পরাণ-ঢালা
</poem>


== 201 ==
== 201 ==

Revision as of 18:41, 19 November 2014

This is a "Rolling archive" of User:Tito Dutta/PSB.

201

Status:    Done

চৈতী হাওয়ার মন যারে চায় সে যে গো কত দূরে
তাহারই আসা-পথে মন যে চলে ছুটে' বেদনাতে বিধুর

কেন গো, কেন গো, কেন সে দূরে থাকে যার জানা আছে আমায় বলো না
মেতেছি মেতেছি তারই ভাবনাতে, ভাবনা ভুলে যেতে পারি না

নিরালা রাতে জ্যোৎস্না সাথে কেঁদে মরি ব্যাথাতুর
ভোমরা গানে গানে কহে যে কাণে কাণে আশাতে ভরা সুর

202

Status:    Done

প্রথম জীবনের হারানো সুরের গানগুলি আজও রয়েছে হিয়ায়
রঙে রূপে ভরা লাজ-শরমে ঘেরা কেমনে এ গান গাইব সভায়

দরদী বঁধু ওগো লাজ সরায়ে নাও, মনের কুসুমেরে আজ ফুটিতে দাও
তোমারই লীলায় তোমারই মায়া সবাই ফুটেছে গো মধুর শোভায়

মনের কুঁড়িগুলি পাতায় ছিলো ঢাকা
পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি যে দিতেছিলো
আজ লাজ ও ভয় ভুলে' এগিয়ে যাই চলে'
রূপের ধারা থেকে অরূপ সাধনায়

203

Status:    Done

এসো গো বন্ধু মম ক্ষুদ্র এ হৃদয়ে
তোমা লাগি' জেগে' আছি যুগে যুগে পথ চেয়ে

আছো তুমি সব খানে জেনেও তা নাহি জানি
আসো যাও ভেবে' ভেবে' দেশগত বলে' মানি
যাহাই ভাবি না কেন নাও তুমি মোরে টেনে'
তোমার প্রাণে মিশিয়ে'

জাগাও তোমার জ্যোতি আমারই মানসপটে
বাজাও তোমার বীণা রাগিণী সে ছায়ানটে
বসো গো বন্ধু মম মধুমাখা হাসি নিয়ে'
তোমা' লাগি' জেগে' আছি তালেতে তাল মিলিয়ে'

204

Status:    Done

এসো গো কাছে এসো, ধরার ধূলি রূপে ভরে' নাও
ফুলেরা লাজে ঢাকা, তাদের বুকে মধু এনে' দাও

মধু রাতে চকোরেতে চাঁদের সাথে কেন যে হাসে
মনের ভোমরা আসে, গুনগুনিয়ে কী যে ভাষে
শিখীরা তরুশাখে কী যে কয়, সব কিছু শোণাও

ফোটে ফুল শুকনো ডালে, মূকও বলে যদি তুমি চাও

205

Status:    Done

এসো গো সখা তোমারই আশে নিদ নাহি মোর আঁখিপাতে
তোমারই তালে তাল মিলাতে তাল কেটে' যায় প্রতি মুহূর্ত্তে

মন চলে যায় ছোট ভাবনায় রঙের নেশায় রঙীন মায়া
তোমারই স্রোতে নাচিয়া চলিতে শক্তি যোগাও দিবস-নিশীথে

বজ্র আনাও উল্কা আনাও, বল দিয়ে যাও তারে যুঝিতে

206

Status:    Done

মনের আঁখি সতত রাখি জাগায়ে বন্ধু তোমারই গানে
সুরের স্রোতে দিবস-রাতে তোমারে হেরি হিয়ার কোণে

প্রভাত সূর্য অরুণ আভায় প্রাণ ভরে' দেয় কানায় কানায়
সন্ধ্যা=রবির রঙীন ছবি জীবিত করে নব চেতনায়

এ কী লীলাখেলা তব নিত্য নূতন অনুভব
ভালবাসার দাগ এঁকে দেয় আমারই মনে আমারই প্রাণে
তাই দ্যুলোকবাসী ভূলোকবাসী বরণ করে তোমারে ধ্যানে

207

  • Note: I could not understand line breaks in the book, please verify it.

Status:    Done

তার মন যদি চায় সব কিছু হয় ধূলিময় এ ধরণীতে
মোহনা হ'তে নদী পাহাড়ে ফেরে যদি কে বা কী গো পারে বলিতে

সে যদি চায় নিমেষে ধরায় লুপ্ত করতে পারে গো
সে যদি চায় মরু-হিমের গা'য় উত্তাপ আনতে পারে গো

সে যদি চায় পাষাণ-কারায় ফুল ফোটাতে পারে গো
সে যদি চায় আঁধার নিশায় আলো ঝরাতে পারে গো

এসো গো সখা এসো ভাবটিতে বসো মনে প্রাণে তাকে বরিতে
যেও না যেও না দূরেতে যেও না কুয়াশাতে ঢাকা পড়িতে

208

Status:    Done

আসিবে বলিয়া গিয়াছে চলিয়া বঁধুয়া ফিরিয়া এলো না আজও
বলে' গেছে মোরে বীণার ঝঙ্কারে সরলকে হেরে' বক্রকে ত্যেজো

লক্ষ্যকে ভুলে' চলেছি নানা পথে
চলি নি আলোঝরা সামনে সোজা পথে
মোহেরই হাতছানি নিয়ে' গেছে' টানি'
ভুলায়ে সার বাণী, সত্যকে খোঁজো

আজ চারিদিকে হায় আলো ঝলকায়
মোরে কয়ে যায়, তুমি কাছেই রাজো

209

Status:    Done

তোমার এ অসীম অপার ভালবাসার বিনিময়ে হায় কী বা দিয়েছি
দু'হাতে নিয়েছি সব, দিতে শিখি নি, নিতে শিখেছি

ফুলে ফলে রূপে রসে প্রাণকে আমার দিয়েছো ভরে'
বুদ্ধিদীপ্ত-মধুরতা চাওয়ারও বেশী দিয়েছো মোরে
শুধু দাও বলার অধিকার তোমারে আমার হৃদয়ে ধরেছি

পরাণের সকল মধু দুঃখের বঁধু তোমাতে আমি উজাড়ি' ঢেলেছি

210

Status:    Done

দিন গুণে' আর কাল গুণে' গুণে' বসিয়াছিলাম এলে' ফাগুনে
রূপের মায়ায় সুরের সুধায় চেয়ে' আছি মুগ্ধ-নয়নে

মন যে আমার অসীমে হারা সকল মোহের বাঁধনছাড়া
তোমারে পেয়ে' সব পেয়েছি, আনন্দ আজ প্রাণে মনে

এসো গো বন্ধু সবারে মাতাও, সবারে নাচাও আপন গুণে

211

Status:    Done

দিন আসে আর দিল চলে' যায়, কোথা' চলে' যায় কেই বা জানে
কখনো চেতনে কভু অচেতনে, কখনো ঘুমে কভু জাগরণে

কোথায় ছিলাম কবে যে এসেছি, কেন যে এসেছি ভুলিয়া গিয়াছি
আমার যতখানি আমি যে জানি, আমার চেয়ে বেশী সে-ই যে জানে

আমার প্রয়োজন যত আয়োজন সবই ভরা আছে তাহারই মনে

212

Status:    Done

নীরব রাতে তোমারই সাথে না-বলা কথা অনেক রয়ে গেছে
কেন বা গুল্‌বাগে হাজারো কাঁটা থাকে কেন গো নির্ঝর রুক্ষ পথ বাছে

কমল গন্ধে ভরা মলিন জলে ফোটে হাসিতে ভরা ধরা আঁধার পথে ছোটে
স্নেহ-মমতাভরা রঙীন খোয়াবে ঘেরা কেন গো সৃষ্টিতে কালের ছায়া নাচে

কেন গো অহমিকা কেন গো অস্মিতা লুটায়ে পড়ে তব চরনধূলি নাচে

213

Status:    Done

এসো এসো বন্ধু জীবনের প্রতি নিশ্বাসে
বসো বসো কাছে বসো মনকে ভরে সুবাসে

তুমি ছাড়া আর কে আছে আমার মনের কথা শোণাতে
আর কেহ নাই যাহাকে শোণাই গোপন কথা নিভৃতে
গাও গাও বন্ধু গাও আশায় ভরিতে বাতাসে

নাও নাও খুশী মনে নাও সব কিছু মোর হেসে হেসে

214

Status:    Done

আঁখিতে ছিলো জল মমতা ছলছল সে যবে গিয়েছিলো দূর বিদেশে
চাহিয়া মোর পানে কী যেন গোপনে কয়েছিলো মোরে বঁধুয়া শেষে

বলো গো বলো গো তোমরা বলো গো সে কি ভুলে গেলো সকল কথা
এলো না এলো না কথা বলিলো না সে কি ভুলিলো মোর মর্মব্যথা

ভুলিতে নারি আমি তাহারই স্মৃতিখানি
সে স্মৃতি আজও দোলা দেয় মানসে

ভাবিবো না ভাবি বেশী করে ভাবি
কী ফুলডোরে মোরে বাঁধিলো যে সে

215

Status:    Done

তব আসা-পথে কাণ পেতে জেগে আছি যুগ ধরে
তোমার দেওয়া মালার ডোর আছে তার ফুলগুলি সব গেছে ঝরে

দিন আসে যায় কলের খেলায় রাত্রি ঘনায় আঁধার মায়ায়
আমি যে সদাই চারি পাশে চাই পল গুণে গুণে প্রতি প্রহরে

কাণ পেতে থাকার পল গোণার ব্যথার শেষ হবে কবে বলো গো মোরে

216

Status:    Done

তুমি এসেছিলে ধরা দিয়েছিলে সে কথা ভুলিতে পারিবো না
আমি সে কথা ভুলিতে পারিবো না
মধুর চাহনি মধুর লাবণি মধুর ছন্দে আনাগোনা

রূপের সাগরে ডুব দিয়ে আমি অরূপ রতন পেয়েছিনু
কাঙাল হৃদয়ে স্মরণে মননে রাজার শিরোপা পরেছিনু
তোমার নামেতে গাইতে গাইতে স্পন্দিত হয় সে ভাবনা

(আজ) ধ্যান-ধারনায় দিবসে নিশায় সার্থক মম আরাধনা

217

Status:    Done

তোমারে চেয়েছি পরাণ দিয়েছি তুমি নিয়েছো কি জানি না
জানি না গো আমি জানি না
জানিয়া দিয়েছি বুঝিয়া দিয়েছি কোন বাধা আমি মানি না
মানি না গো আমি মানি না

ঝঞ্ঝা এসেছে উল্কা পড়েছে চারিদিক কালো মেঘে ছেয়ে গেছে
তবু আমি একা পথ চলিয়াছি সাথে নিয়ে তব ভাবনা
ভাবনা গো তব ভাবনা

তুমি সাথে স্মরি কাহারে না ডরি কোন কুচক্রে কাঁপি না
কাঁপি না গো আমি কাঁপি না