User:T12/PSB: Difference between revisions

Jump to navigation Jump to search
14,749 bytes removed ,  14 December 2013
Some content archived
(→‎0053: new section)
(Some content archived)
Line 6: Line 6:
* This page will not be indexed in world wide web.  
* This page will not be indexed in world wide web.  
* Punctuations followed according to the book.</div>}}
* Punctuations followed according to the book.</div>}}
== 0021 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি আলোকঝলমল, পূর্ণিমাদীপ মেঘলা রাতে,
দিক্‌ভ্রান্তের তুমি ধ্রুবতারা একলা পথে,
তুমি সকল ব্যাথার 'পরে মধুর প্রলেপ সবার কাছে
তোমারে চেয়েছি সকল কাজে,
না-বলা ব্যাথার মাঝে আর্ত যেমন যাচে,
আছো দিনে, আছো রাতে, আছো সুখে, আছো দুঃখেতে,
আছো সকল চলার পথে ক্লেশ ভোলাতে সাথে সাথে—
সাথে সাথে, সাথে সাথে
</poem>
== 0022 ==
{{Status|done}}
<poem>
ওগো বন্ধু, বলিতে পারো সারা দিন ধরে' তুমি কী করো ?
যাহা কিছু আসে যাহা কিছু যায়, তোমার চরণতলে সব কিছু হয়
তোমার মনের মাঝে সব কিছু লেখা আছে,
এত কথা মনে রেখে' তুমি কী করো
যত কিছু সুখ যত মধুরতা, যত কিছু দুঃখ যত বিরূপতা
এত নিয়ে লীলাখেলা কী করে' করো ?
বলো তোমার গোপন কথা কী আছে আরো
</poem>
== 0023 ==
{{Status|done}}
<poem>
নূতনের আলোক ওগো, ছিলে তুমি কোন্‌ সুদূরে ?
জগতের ছন্দ এখন নাচছে তোমায় ঘিরে' ঘিরে'
আমার ওই আঁধার রাতে ঢাকা ছিলে কোন নিভৃতে ?
নূতনের ডানা মেলে' এলে উড়ে' তিমির চিরে'
কেটে' গেছে সব হতাশা, ফুটেছে আজ সকল আশা,
সর্বব্যাপী ভালবাসা বাসছে এখন বিশ্ব জুড়ে'
</poem>
== 0024 ==
{{Status|done}}
<poem>
বন্ধু হে, হঠাৎ এলে হঠাৎ গেলে গহন রাতের মাঝে
এসে' বললে হেসে', ব্যস্ত কাজে, এখন আমি যাই যাই যাই
অনেকে চায় অনেক কিছু, দিতে তো হয় কিছু কিছু
কর্মরত দেওয়া-নেওয়ায়, তাই যে সময় নাই নাই নাই
ধরণীর অনেক কোণে অনেকে চায় সঙ্গোপনে
তাদের ডাকে দিই যে সাড়া, তাদের আমি চাই চাই চাই
চায় না যারা কোনো কিছুই, তারা যে চায় সকল কিছুই
তাদের ডাকে দিই এক্সে সাড়া, তাদের আমি চাই চাই, চাই
</poem>
== 0025 ==
{{Status|not done}}<br/>
Needs Devanagari script. Can try to transliterate, but there might be spelling mistakes. {{Smiley|sad}}
== 0026 ==
{{Status|Done}}
<poem>
বন্ধু, গাও গাও গাও মধুরগীতি, তন্দ্রা ভেঙ্গে' দিও
বন্ধু, চাও চাও চাও নিরবধি, ওগো প্রিয়, অতি প্রিয়
(আজি) প্রাণের জড়িমা কেটে' গেছে, মনের সুষমা ভরে' গেছে
আজ তোমার ছন্দে মধুনিষ্যন্দে আমাকে নূতন করে' নিও
আজ আলকার স্রোতে আলোকনিপাতে,
লোকাতীত ভাবে ভরে' দিও
</poem>
== 0027 ==
{{Status|Done}}
<poem>
দাও সাড়া ওগো প্রভু ছন্দে গানে, দাও সাড়া ওগো প্রভু নৃত্যে তালে
ওগো প্রিয়তম দেবতা আমার, নিদ্রা যখন তুমি নিজে ভাঙ্গালে—
এসো নৃত্যে তালে, এসো নৃত্যে তালে
তিমির জগতে আমি ছিনু অচেতন, মিহির জীবনে মোর আসিলে নূতন
আলোর ছটায় তুমি এ কী করিলে, আমার জীবন-মন রঙে রাঙালে
তুমি মনে মাতালে, মনে মাতালে,
সব কুহেলিকা ভেদি' মর্মে এলে
</poem>
== 0028 ==
{{Status|done}}
<poem>
বন্ধু তোমায় কী বলিব তিমিরের ঘুম ভাঙ্গায়ে' দিয়েছো
আলোর পথেই চলিব, চলিব চলিব চলিব
অনাদরে থাকা কুসুমকলিটি মালায় গাঁথিয়া রেখেছো
ধূলিধূসরিত মনের অর্ঘ্য কোলেতে তুলিয়া নিয়েছো
সব বিনিময়ে তোমাকে পেয়েছি
তোমার কথাই শুনিব, শুনিব শুনিব শুনিব
</poem>
== 0029 ==
{{Status|done}}
<poem>
আমায় ছোট্ট একটি মন দিয়েছো অনেক আশা রেখে'
ডাকছে আমায় তারায় তারায় মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
মাটির গন্ধে গাছের পাতায় নদীর স্রোতে দূর নীলিমায়
বাঁধা আমি পড়ে' গেছি শতেক বাধার পাকে
(তবু) ডাকছো আমায় তারায় তারায় মেঘের ফাঁকে ফাঁকে
জানি বন্ধু কাছেই থাকো, দূরের থেকে কেন ডাকো !
পারি কি তাকাতে আমি বলো তোমার দিকে
</poem>
== 0030 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি মর্মে এসে' আমার ঘুম ভাঙ্গালে,
তুমি নিজের রঙে আমার মন রাঙালে
ছিলো পথের ক্লান্তি, ছিলো বোঝার ভ্রান্তি,
জীবনকে অশান্তি বিষিয়ে ছিলো
তুমি নিজের হাতে তাদের সরিয়ে দিলে,
তোমার ছন্দে প্রাণ নাচিয়ে দিলে
ছিলো মান-অপমান, ছিলো পাওয়ার পরিমাণ,
সকল বোঝা তুমি সরিয়ে দিলে
তোমার আলোয় আমায় ভরিয়ে দিলে
</poem>
== 0031 ==
{{Status|done}}
<poem>
কোন্‌ তিমিরের পার হ'তে ফুটে' উঠেছো মোর জীবনের ধ্রুবতারা !
কোন্‌ অমরার লোক হ'তে বয়ে এনেছো বসুধার সুধাধারা
এসো প্রভু প্রাণের ধূপে, এসো প্রভু মনের দীপে,
এসো প্রভু হৃদয়ের নীপে, সুরভিত করো এই ধরা
এসো প্রভু প্রাণের তানে, এসো প্রভু মনের গানে,
এসো প্রভু হৃদয়ের ছন্দে, জাগাও ঘুমায়ে আছে যারা
</poem>
== 0032 ==
{{Status|done}}
<poem>
উচাটন মন মানে না বারণ, শুধু তার পানে যেতে চায়—
কেন চায় ওগো কেন চায়, কেন চায় ওগো কেন চায়
ধরণীর ধূলি বনের কাকলি ফেলে'আসা সেই মধু দিনগুলি,
মনের মাধুরী সবাইকে নিয়ে তারই মাঝে মূরছায়
যত ছিলো কথা, যত ছিলো মান, না-বলা ব্যাথার যত অভিমান,
সবাই আজকে মিলিয়া মিশিয়া তারই পানে কেন ছুটে' যায়
</poem>
== 0033 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমার নামে তোমার গানে হয়েছি আপনহারা,
আঁধারপানে চলা পথিক পেয়েছি আলোকধারা
মাতাল হাওয়া মোহের ডোরে যদি বা চায় বাঁধতে মোরে,
মিষ্টি হেসে' বলবো তারে ভেঙ্গেছি পাষাণকারা
সকল প্রাণই আদরণীয়, প্রণাম নাও আমার,
সকল মনই অতুলনীয়, নাও গো নমস্কার
এসেছিনু চলার ঝোঁকে মধুর মতই ফুলকোরকে,
আজকে মোহন নামের ডাকে হয়েছি বাঁধনছাড়া
</poem>
== 0034 ==
{{Status|done}}
<poem>
তোমার নয়নতলে সব কিছু নেচে' চলে,
তোমার চরণতলে অবনী বহিয়া যায়
ফেলে-আসা দিনগুলি, গেয়ে-আসা গানগুলি,
কয়ে আসা কথাগুলি তোমাতে মিশিয়া যায়
কতবার এসেছি, নেচেছি, গেয়েছি,
কত ভালো বেসেছি, কত মায়া ছিঁড়েছি
কত খেলা খেলেছি, তোমা' পানে চলেছি,
চলিতে চলিতে ধরা ধূলায় মিলিয়া যায়
(তবু) ধূলার এ ধরনী তোমা' ছাড়া হয়নি,
তোমার ছন্দে সে যে অমৃতে ভাসিয়া যায়
</poem>
== 0035 ==
{{Status|done}}
<poem>
আকাশ বাতাস সুধানির্যাস কৃষ্ণ মেঘের ডাক
হৃদয় মাঝে মধুর বাজে পাঞ্চ্জন্য শাঁখ
এ কি নাচের গানের তান, এ কি হিয়ার আলোর বান
হারিয়ে দিশে শুণছি বসে' সব পেয়েছির ডাক
নিরুদ্দেশের পানে এমন মধুর গানে কে সে আমায় দিয়ে' গেল ডাক
কথার ফাঁকে ফাঁকে সে যে দিচ্ছে আমায় ডাক
আঁধারের পরে আলো হঠাৎ আমার প্রাণ জুড়ালো
সকল হিয়ায় ভরে' গেল অনাহতের বাক্‌
</poem>
== 0036 ==
{{Status|done}}
<poem>
সবার বন্ধু, সবার আপন, সবার প্রাণের সাধনা—
(তুমি) সবার প্রাণের সাধনা
আঁধার নিশায় দীপাবলী তুমি, মরুসরণীর ঝরণা
(তুমি) সবার প্রাণের সাধনা
জানাজানি সব হয়ে গেছে যবে লুকোচুরি খেলা কেন মিছে তবে,
নিজ পরিচয়ে এসো গো হৃদয়ে বহায়ে' মধুর করুণা
আলোঝলমল তোমার পথেতে লুকোবার কথা ভেবো না
</poem>
== 0037 ==
{{Status|done}}
<poem>
কোন্‌ ভুলে'-যাওয়া ভোরে সহাস সমীরে
মনের মুকুরে এসেছিলে, তুমি মনের মুকুরে এসেছিলে
সোণালী আলোয় হাসিয়া, তুমি মনের সুবাসে ভাসিয়া
সকল কালিমা নাশিয়া ফুলের মতন ফুটেছিলে
প্রাণের পরাগ মাখিয়া, নূতনের ছবি আঁকিয়া
বজ্রবাণীতে ডাকিয়া সব শৃঙ্খল ভেঙ্গেছিলে
তুমি সব শৃঙ্খল ভেঙ্গেছিলে
</poem>
== 0038 ==
{{Status|done}}
<poem>
সে যে এসেছে মোর হৃদয়ে গুঞ্জরিয়া সুধা ভরিয়া মধু ঝরিয়া
অলখ দেবতা মনের মাঝারে সব কিছু আলোকিত করিয়া
মধু ঝরিয়া ঝরিয়া
এমন মোহন সাজে সে কেন যে আসে, পরাণ মাতানো হাসি কেন সে হাসে,
তারই আলো তারই আলো মোর বেদনার মেঘে
রামধনু রঙ দিলো ভরিয়া
জগতের যত গান, যত সুর, যত তান, মনে প্রাণে তাকে নিলো বরিয়া
</poem>
== 0039 ==
{{Status|done}}
<poem>
তুমি আসিয়াছো শত জনপদ বাহিয়া
অযুত কন্ঠে সুর ভরিতে ভরিতে
তুমি আসিয়াছো শত নীহারিকা ভেদিয়া
অযুত ছন্দে নাচ নাচিতে নাচিতে
ধরনী পেয়েছে প্রাণ তোমারে বরিয়া,
ধরণী পেয়েছে মন তোমারে জপিয়া
তোমার অপার দানে তোমার সংবেদনে,
ধরণী শিখেছে গান গাইতে নাচিতে
তুমি ছাড়া গান নাই, তুমি ছাড়া নাচ নাই,
অযুত মন্ত্র এলো তোমাকে স্মরিতে
</poem>


== 0040 ==
== 0040 ==
14,091

edits

Navigation menu